মঙ্গলবার ● ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » জমে উঠেছে ঝিনাইদহ জেলা পরিষদ নির্বাচনী লড়াই
জমে উঠেছে ঝিনাইদহ জেলা পরিষদ নির্বাচনী লড়াই
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: ঝিনাইদহে জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দুই আ’লীগ নেতা মনোনায়পত্র প্রত্যাহার করে নেয়ায় গত নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিকারী দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী আ’লীগ সমর্থীত প্রার্থী কনক কান্তি দাসের সাথে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বঙ্গবন্ধু সৈনিকলীগের নেতা এম হারুন অর রশিদের ফের ভোটযুদ্ধ হতে যাচ্ছে। এর আগে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে আ’লীগ সমর্থীত প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান কনক কান্তি দাস, জেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার এবং শৈলকুপা উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ মকবুল হোসেন, জেলা আ’লীগের ধর্ম বিষায়ক সম্পাদক সাকে পৌর চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান খোকা ও সৃজনী বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক এম হারুন অর রশিদসহ ৪ জন মনোনায়নপত্র দাখিল করেন। দলীয় সমাঝোতায় গত ২২ সেপ্টেম্বর আনিছুর রহমান খোকা এবং গতকাল রোববার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ মকবুল হোসেন মনোনায়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন। যে কারনে গত ৫ বছর আগে অনুষ্ঠিত সেই পুরানো দুই প্রার্থী এবারো জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দিতায় লিপ্ত হয়েছেন। নির্বাচন নিয়ে আ’লীগ সমর্থীত প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান কনক কান্তি দাস বলেন, তিনি আশা করেন এবারের নির্বাচনে তেমন কোন প্রতিদ্বন্দিতা ছাড়ায় জয়লাভ করবেন। তিনি জানান দলের যে দু’জন প্রার্থী প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে মনোনায়ন দাখিল করেছিলেন, তারা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। একই সাথে ওই দুই জন নেতাসহ দলিয় নেতৃবৃন্দ তার পক্ষে কাজ করছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী সৃজনী বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক এম হারুন অর রশিদ বলেন, গত জেলা পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে তিনি সামন্য ভোটে পরাজিত হয়েছিলেন। এবারো তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে নির্বাচনে লড়ছেন। তিনি আরো বলেন গত ১১ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত ঝিনাইদহ পৌরসভা নির্বাচন সুষ্ঠ ভাবে সম্পন্ন হয়েছে। জেলা পরিষদ নির্বাচন যদি সেই ভাবে সম্পন্ন হয় তাহলে তিনি অবশ্যই বিজয়ী হবেন বলে জোর দাবি রাখেন। উল্লেখ্য হারুন অর রশিদ এর আগে একাধিকবার পৌরসভা ও উপজেলা পরিষধ নির্বাচনে দাড়িয়ে পরাজিত হন। ঝিনাাইদহ জেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও শৈলকুপা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম আব্দুল হাকিম আহম্মেদ বলেন দলিয় নেতৃবৃন্দ ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করছেন এবং দুইজন সিনিয়র নেতা তাদের মনোনায়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। যে কারনে তাদের দলিয় প্রার্থীর জয়লাভের বিষয়ে শতভাগ আশাবাদি। এদিকে জেলা নির্বাচন অফিস সুত্রে জানা যায় জেলা পরিষদের সাধারণ সদস্য পদে ৩ জন মনোনায়ন পত্র প্রত্যাহার করেছে। ফলে এখন সাধারণ সদস্য পদে ২২ জন ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ১৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দিতা করবেন।
ঝিনাইদহ জেলা যুবলীগ নেতা রাজুর সঙ্গে আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পর্ক ছিন্ন করে বহিস্কারের সুপারিশ
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহ জেলা যুবলীগের যুগ্ম-আহবায়ক রাজু আহম্মেদের সঙ্গে সকল সাংগঠনিক সম্পর্ক ছিন্ন করে তাকে বহিস্কারের সুপারিশ করেছে ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামীলীগ। সোমবার রাতে এক বিবৃতিতে ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক আছাদুজ্জামান আছাদ সাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এখবর জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যুবলীগ নেতা রাজু ও এস এম রবির অডিও রেকর্ড ভাইরাল হলে তা জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল হাই এমপি ও সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টুর দৃষ্টিগোচর হয়। অডিও রেকর্ডে যুবলীগ নেতা রাজু জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী ও জেলা আ’লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাবু কনক কান্তি দাস সম্পর্কে অশ্লিল ও কুরুচিপুর্ন শব্দ ব্যবহার করে তার বাড়িতে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে সম্প্রদায়ীক দাঙ্গার উস্কানী দেন। এ ছাড়া রাজু পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি বাবু জীবন কুমার বিশ^াস সম্পর্কে অশ্লিল শব্দ ব্যবহার করে গালিগালাজ করেন। রাজুর এহেন কথোপকথন দলীয় শৃংখলা পরিপন্থি, সাম্প্রদায়ীক দাঙ্গা বাধানোর অপচেষ্টা ও শিষ্টাচার বহির্ভুত বলে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়। রাজু অডিওতে এমন বক্তব্য দিয়ে সংগঠন বিরোধী অপরাধ করেছেন মর্মে বলা হয়। ফলে জেলা আওয়ামীলীগ রাজুর সাথে সকল সাংগঠনিক সম্পর্ক ছিন্ন এবং এ ঘটনার কোন দায় দায়িত্ব ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামীলীগ বহন করবে না। দপ্তর সম্পাদক আছাদুজ্জামান আছাদ আরো জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে ঝিনাইদহ জেলা যুবলীগ ও কেন্দ্রীয় যুবলীগকে রাজুর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে। উল্লেখ্য সম্প্রতি যুবলীগ নেতা রাজু ও হামদহ এলাকার যুবলীগ কর্মী এস এম রবির কথোপকথনের অডিও রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফাঁস হলে তা মুহুর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়। হিন্দু সম্প্রদায় ও আওয়ামীলীগের সিনিয়র দুই নেতা কনক কান্তি দাস এবং জীবন বিশ^াসকে “মালাউন” ও “চাড়াল” বলে গালি দেয় যুবলীগ নেতা রাজু। এছাড়া আসন্ন জেলা পরিষদে কনক কান্তি দাসের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহনের কথাও জানান রাজু। ফলে ফেসবুকে দেশ বিদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে যুবলীগ নেতা রাজুকে দল থেকে বহিস্কারের দাবী তোলে।
উদ্বোধনের লাল ফিতায় আটকে আছে ঝিনাইদহ কোটচাঁদপুরের গ্রাম্য এম্বুলেন্স সার্ভিস
ঝিনাইদহ :: উদ্বোধনের লাল ফিতায় আটকে আছে ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর গ্রাম্য এম্বুলেন্স সার্ভিস। সড়কে চলার আগেই অ-যতœ আর অবহেলায় নস্ট হচ্ছে এম্বুলেন্স দুইটি। ভেস্তে যেতে বসেছে সরকারের এ মহতি উদ্যেগ। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গ্রামের মানুষের স্বাস্থ্য সেবার কথা চিন্তা করে চালু করা হয়েছিল এ গ্রাম্য এ্যাম্বুলেন্স। এর অর্থায়ন করেছিল বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসুচী(এডিবি)। ২০১৯-২০ অর্থ বছরে এ্যাম্বুলেন্স দুইটি দেয়া হয়েছিল উপজেলার দুইটি ইউনিয়নে। যার মধ্যে ছিল এলাঙ্গী ও সাবদারপুর। তবে এ উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন ও একটি পৌর সভা রয়েছে। এ এ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস প্রাথমিক ভাবে চালু করা হয়েছিল দুইটি ইউনিয়নে। ভাল সুফল আসলে অন্যগুলোয়ও চালু করা হবে বলে জানিয়েছিল সংশ্লিষ্টরা। জানাগেছে, তবে প্রাথমিক ভাবে চালু হবার পরই বন্ধ হয়ে যায় সার্ভিসটি। বিষয়টি নিয়ে কথা হলে একে অপরকে দোষারোপ করে দায় এড়াচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা। এ ব্যাপারে এলাঙ্গী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বলেন, এডিপির বরাদ্দের টাকা দিয়ে ভ্যান কিনা হয়েছিল। এরপর ওই ভ্যানে ইঞ্জিন লাগিয়ে গ্রাম্য এম্বুলেন্স বানানো হয়। এটা একটা মহতি উদ্যোগ ছিল। তবে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কতৃপক্ষের অবহেলায় তা ভেস্তে গেছে। তিনি বলেন, আমার ইউনিয়নের এম্বুলেন্সটি আশাননগর গ্রামের বিপ্লবকে দেয়া হয়েছিল। সে কিছুদিন চালিয়ে ছিল। পরে ভাড়া নিয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে সমস্যা হয়েছিল। এ কারনে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জমা দিয়ে দেয়া হয় ওই সময়। বিপ্লব জানান, এ গ্রাম্য এ্যাম্বুলেন্স সাভিস চালু হওয়ায় খুশি রোগী ও তাঁর স্বজনরা। তিনি বলেন,এতে করে অল্প খরচে মানুষ স্বাস্থ্য সেবা নিতে যেতে পারছিল। এম্বুলেন্স সার্ভিস পেয়ে আসাননগর গ্রামের হীরা ও জেসমিন খাতুন বলেন, এ সার্ভিস চালু হওয়ায় আমাদের ভালই হয়েছে। আমরা অল্প খরচে পরিবহন সুবিধা পাচ্ছি। তবে কেন বন্ধ হয়ে গেল জানিনা। বিষয়টি নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আব্দুর রশিদ বলেন, উদ্ভোধন হয়েছিল। এটা ইউনিয়ন চেয়ারম্যানরা চালাতে পারেনি। এটা একটা ফেল প্রজেক্ট ছিল। দুইটি ভ্যানের মধ্যে একটা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পড়ে আছে, আরেকটি সাবদারপুর ইউনিয়ন পরিষদে আছে বলে জেনেছি। উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছাঃ শরিফুননেসা মিকি বলেন, ওই এম্বুলেন্সের একটি আমার সময় বানানো হয়। আরেকটি আগে বানানো ছিল। তিনি বলেন, এম্বুলেন্স দুইটি পড়ে আছে মূলত ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্মকর্তার কারনে। তারা কোন সহযোগিতা করেনি। খোজ নিয়ে দেখছি, ওগুলো কি অবস্থায় আছে। এরপর কয়েক দিনের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলবো।
ঝিনাইদহের হরিনাকুন্ডু পৌরসভার অবৈধ নিয়োগ বাণিজ্য ও অনিয়মের প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহের হরিনাকুন্ডু পৌরসভার মেয়র ফারুক হোসেনের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্য, জন্ম নিবন্ধনে নির্ধারিত ফি’র অতিরিক্ত আদায়, পৌর কাউন্সিলদের সাথে অসদাচরণসহ বিভিন্ন অনিয়মের প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। সোমবার দুপুরে উপজেলা শহরের দোয়েল চত্বরে এ মানববন্ধনের আয়োজন করে পৌর কাউন্সিলরবৃন্দ ও পৌরবাসী। ঘন্টাব্যাপী চলা এ মানববন্ধনে ব্যানার, লিপলেট, ফেস্টু ও প্লাকার্ড নিয়ে কাউন্সিলরবৃন্দসহ পৌরসভার বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ অংশ নেয়। এসময় পৌরসভার সাবেক মেয়র শাহীনুর রমান রিন্টু, বর্তমান কাউন্সিলর নাসির উদ্দিন, আবু আহসান রনুসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন। এসময় বক্তারা বলেন, বর্তমান মেয়র ফারুক হোসেন পৌরসভায় অবৈধভাবে নিয়োগ বাণিজ্য করছে। এছাড়াও পৌরবাসী জন্ম নিবন্ধন করতে গেলে নির্ধারিত ফি’র থেকে কয়েকগুণ বেশি টাকা আদায় করছে। যার রশিদও আছে। এছাড়াও পৌরবাসী নাগরিক সেবা নিতে গেলে বিভিন্ন অনিয়ম করছে। বক্তারা, মেয়রের এই দুর্নিতী তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানান।