শিরোনাম:
●   দীর্ঘ সময়ের জন্য অনির্বাচিত সরকার থাকা নানা দিক থেকে ঝুঁকি সৃষ্টি করে ●   সাবেক সিনিয়র সচিব মহিবুল হককে প্রতিহিংসামূলক মামলায় জড়িয়ে জেলে পোরা হয়েছে ●   দীপংকরের অবৈধ সম্পদ অর্জনের জোগানদাতা অংসুইপ্রু, বৃষকেতু,মুছা ও রেমলিয়ানা ●   ২০২৪ এর গণঅভ্যুত্থান শহীদদের স্বপ্ন বাস্তবায়নের সুযোগ সৃষ্টি করেছে ●   রাঙামাটিতে মহান বিজয় দিবসে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির শ্রদ্ধাঞ্জলী ●   মীরপুরে বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির শ্রদ্ধা নিবেদন ●   শহীদ বুদ্ধিজীবীসহ লক্ষ লক্ষ শহীদদের জীবনদানের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ জাতিরাষ্ট্রের উন্মেষ ঘটেছে ●   বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি রাঙামাটি জেলা কমিটির কাউন্সিলে সভাপতি নির্মল বড়ুয়া মিলন, সম্পাদক জুঁই চাকমা ●   ফটিকছড়িতে সম্মিলিত বৌদ্ধ সমাজের নতুন অফিস উদ্বোধন ●   রাজনৈতিক পার্থক্য স্বত্বেও আমাদেরকে ন্যুনতম ইস্যুতে জাতীয় সমঝোতা প্রতিষ্ঠা করতে করতে হবে : সাইফুল হক ●   যে কোন উসকানি মোকাবেলা করে জনগণের ঐক্য বজায় রাখতে হবে- বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি ●   রাঙামাটিতে স্বৈরাচারের দোসর আমির আলির অত্যাচার থেকে মুক্তির দাবি ●   রাঙামাটি জোন এর ব্যবস্থাপনায় বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও ঔষধ প্রদান ●   রাঙামাটি জোন এর ব্যবস্থাপনায় রাঙামাটিতে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ ●   ২৭ বছরও শান্তি চুক্তি পাহাড়ে বসবাসরত সকল জনগোষ্ঠীর অধিকার রক্ষায় সম্পূর্ণ ব্যর্থ ●   দৈনিক ভোরের চেতনা ২৬ বছরে পদার্পণ ●   মুখলেছুর রহমান ভুঁইয়া আর নেই ●   রাঙামাটি রাজবন বিহারে আসার পথে বাস উল্টে বড়ুয়া জনগোষ্ঠীর ২২ পূণ্যার্থী আহত ●   পরিকল্পিত ভাবে সাম্প্রদায়িক উসকানি সৃষ্টি করা হচ্ছে : গণতন্ত্র মঞ্চ ●   রাঙামাটি জেলা প্রশাসনে নতুন ডিসি ইশরাত ফারজানা
ঢাকা, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১

Daily Sonar Bangla
বুধবার ● ৩০ জুন ২০২১
প্রথম পাতা » উপ সম্পাদকীয় » সাঁওতাল বিদ্রোহের ১৬৬ বছর : সিধু-কানু-চাঁদ-ভৈরব-ফুলমনিসহ সকল শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা
প্রথম পাতা » উপ সম্পাদকীয় » সাঁওতাল বিদ্রোহের ১৬৬ বছর : সিধু-কানু-চাঁদ-ভৈরব-ফুলমনিসহ সকল শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা
৮৯৮ বার পঠিত
বুধবার ● ৩০ জুন ২০২১
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

সাঁওতাল বিদ্রোহের ১৬৬ বছর : সিধু-কানু-চাঁদ-ভৈরব-ফুলমনিসহ সকল শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা

ছবি : সংগৃহীতপ্রদীপ মার্ডী :: স্পর্ধার ১৬৬ বছর। আজ ঔপনিবেশিক বিট্রিশ শাসকদের উৎখাতে ঐতিহাসিক “সান্তাল হুল বা বিদ্রোহ” এর ১৬৬ তম বার্ষিকীতে, বিদ্রোহের জন নায়ক সিধু মুরমু, কানু মুরমু, ফুলমনি সহ লড়াইয়ে শহীদ সকল সূর্য সন্তানদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা।
১৮৫৫ সালের সান্তাল বিদ্রোহ উপমহাদেশীয়দের স্ব-শাসন প্রতিষ্ঠার প্রথমতম বিদ্রোহ না হলেও একটি ধারাবাহিক সংগ্রামের অংশ বটে। এর পূর্বে ১৭৮১-৮৪ সালে শহীদ তিলকা মাঝির নেতৃত্বে ছোটনাগপুর, ভাগলপুর, দামিন-কো অঞ্চলের সান্তালসহ অনান্য আদিবাসী জনগণ বিট্রিশ শাসনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিলো যা ‘খেরওয়ার বিদ্রোহ’ নামে পরিচিত। এটা বললে অত্যুক্তি হবে না যে সিধু-কানু খেরওয়ার বিদ্রোহের পুরোধা মহান তিলকা মাঝির অসমাপ্ত সংগ্রামকে এগিয়ে নিতেই সর্বগ্রাসী বিট্রিশ শাসনের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছিলো যা একপ্রকার ঐতিহাসিক দায়বোধের প্রকাশও বটে। সান্তাল বিদ্রোহের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এটি কর্মসূচি হিসেবে মুন্ডা বা অনান্য বিদ্রোহের মতো কোন ধর্মীয় সংস্কার কর্মসূচিকে সামনে রাখে নি বরং বিদ্রোহের আকাঙখা খেরওয়ার বিদ্রোহের মতোই অতিশয় বৈষয়িক ও বস্তুগত বিষয় ছিলো।
এই বিদ্রোহের নেতা সিধু ও কানু জনগণের সামনে নিজেদের কোন দেবতার প্রতিভূ হিসেবে ঘোষণা করেন নি আবার কোন স্বপ্নে আদিষ্ট বাণীও আওড়ান নি। বর্তমান সময়ে অনেক ঐতিহাসিক ১৮৫৫ সালের ‘সান্তাল হুল’কে ধর্মীয় সংস্কার আন্দোলন হিসেবে চিহ্নিত করে বিট্রিশ শাসন বিরোধীতার দিকটা খাটো করে দেখাতে চান। আসলে তৎকালীন ব্রিটিশ শাসকদের লিখিত পান্ডুলিপি থেকেই এটা পরিষ্কার হয় সান্তাল হুল কোন ধর্মীয় সংস্কার আন্দোলন ছিলো না। বিদ্রোহের দাবি ছিলো জলের মতো পরিষ্কার ‘আমাদের ভূমি, আমাদের কর্তৃত্ব’।
মূলত ছোট নাগপুর, ভাগলপুর, বীরভূম, ভগনাদিহি, দামিন-কো ইত্যাদি অঞ্চলের ভূমি ও বনাঞ্চলের উপর আদিবাসীদের চিরাচরিত সার্বভৌম অধিকার খর্ব করে বিট্রিশদের অর্পিত খাজনা ও তা আদায়ে বহিরাগত মহাজন-জমিদারদের আদিবাসী জনগণের উপর বর্বরোচিত অত্যাচারই বিদ্রোহের প্রেক্ষাপট তৈরী করেছে। এখানে বলে রাখা ভালো বিট্রিশ আগমনের পূর্বে মুঘল শাসকদের ছোট নাগপুরসহ উল্লিখিত আদিবাসী অধ্যুষিত অঞ্চলে তেমন কোন দৃঢ় কর্তৃত্ব ছিলো না। তাই এ অঞ্চলে বসবাসকারী আদিবাসীরা দীর্ঘকাল ধরেই একপ্রকার স্বাধীন জীবনাচারণের মধ্য দিয়ে বেড়ে উঠেছিলো। সেখানে হঠাৎ উদ্ভুত বিট্রিশ কর্তৃত্ব এবং অ-আদিবাসী জমিদার-মহাজনের দৌরাত্ম মূলত আদিবাসীদের ক্ষোভকে চরমে তোলে।
১৮৫৫ সালের সান্তাল বিদ্রোহের সবচেয়ে জরুরি দিক হলো এর রাজনৈতিক চরিত্র যেখানে সিধু-কানু’র নেতৃত্বে আদিবাসী জনগণ বিট্রিশ শাসক এবং তাদের অনুচর স্থানীয় জমিদার ও মহাজনদের বিতাড়িত করার মাধ্যমে স্ব-শাসন প্রতিষ্ঠায় ব্রত হয়েছিলেন। সান্তাল বিদ্রোহের এই ক্ষুরধার উদ্দেশ্যই পরবর্তীতে কোন বিদ্রোহী নেতাকে বাঁচিয়ে না রাখার অনুঘটক হিসেবে কাজ করেছে। কারণ বিট্রিশরা ভয় পেয়েছিলো, তিলকা মাঝি’র পরেও সিধু-কানু যেভাবে মাতৃভূমিকে বর্হিশত্রু মুক্ত করতে যে ঐতিহাসিক দায়বোধের পরিচয় দিয়েছে তা সংক্রামক হয়ে উঠলে তাদের রাজত্ব খুব বেশিদিন টিকবে না।
জানি উপসংহার টানার জন্য এই আলোচনা যথেষ্ট নয় তবে এটা পরিষ্কার যে, সান্তাল বিদ্রোহ নিছক একটি বুনো ক্ষোভ নয় বরং উপমহাদেশের প্রথমতম স্বাধীনতা সংগ্রামের একটি। জাতিগত বৈচিত্রতার এই পূণ্য ভূমিতে সকল জাতির সংগ্রাম যোগ্য মর্যাদা ও স্বীকৃতি পাক এবং উপমহাদেশীয়রা নিজেদের সূর্য সন্তানদের চিনতে শিখুক এই কামনায় করি।





উপ সম্পাদকীয় এর আরও খবর

২৭ বছরও শান্তি চুক্তি পাহাড়ে বসবাসরত সকল জনগোষ্ঠীর অধিকার রক্ষায় সম্পূর্ণ ব্যর্থ ২৭ বছরও শান্তি চুক্তি পাহাড়ে বসবাসরত সকল জনগোষ্ঠীর অধিকার রক্ষায় সম্পূর্ণ ব্যর্থ
পার্বত্য চুক্তির ২৬ বছরে পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণ কি-কি বৈষম্যের স্বীকার তা নিয়ে একটি পর্যালোচনা পার্বত্য চুক্তির ২৬ বছরে পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণ কি-কি বৈষম্যের স্বীকার তা নিয়ে একটি পর্যালোচনা
পার্বত্য অঞ্চলের ক্রীড়া উন্নয়নের নৈপথ্যের নায়ক নির্মল বড়ুয়া মিলন পার্বত্য অঞ্চলের ক্রীড়া উন্নয়নের নৈপথ্যের নায়ক নির্মল বড়ুয়া মিলন
১৬ বছরে রাঙামাটিতে বেশী ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে আমার পরিবার ১৬ বছরে রাঙামাটিতে বেশী ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে আমার পরিবার
রাঙামাটিতে ঐক্যবদ্ধ বড়ুয়া সমাজ গড়ে তোলার সম্ভবনার পথ দেখা দিয়েছে রাঙামাটিতে ঐক্যবদ্ধ বড়ুয়া সমাজ গড়ে তোলার সম্ভবনার পথ দেখা দিয়েছে
মহান মে দিবস ও  শ্রমিকশ্রেণীর মুক্তির সংগ্রাম মহান মে দিবস ও শ্রমিকশ্রেণীর মুক্তির সংগ্রাম
সীমান্ত হত্যাকাণ্ড ও বাংলাদেশ - ভারত সম্পর্ক সীমান্ত হত্যাকাণ্ড ও বাংলাদেশ - ভারত সম্পর্ক
বিপন্ন সভ্যতায় বিপন্ন নারী বিপন্ন সভ্যতায় বিপন্ন নারী
মূল্যবোধের অবক্ষয়ের কারণ ফেসবুক মূল্যবোধের অবক্ষয়ের কারণ ফেসবুক
গুরু শিষ্যের প্রেমময় জীবন গুরু শিষ্যের প্রেমময় জীবন

আর্কাইভ