বৃহস্পতিবার ● ১৩ অক্টোবর ২০২২
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » সিলেট থেকে কোটি টাকা নিয়ে উধাও রতন মনি দাশ
সিলেট থেকে কোটি টাকা নিয়ে উধাও রতন মনি দাশ
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: সিলেটের গোলাপগঞ্জে একাধিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে বিভিন্ন অজুহাতে কৌশলে প্রায় কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে গা ঢাকা দিয়েছে রতন মনি দাশ (৩৫) নামে এক ব্যক্তি। সে উপজেলার লক্ষিপাশা ইউনিয়নের ঘোষগাঁও গ্রামের রঞ্জিত দাশের ছেলে। এঘটনায় গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন এক ব্যবসায়ী।
জানা যায়, প্রতারক রতন দাশ ব্র্যাক প্রতিষ্ঠানে চাকুরীর সুবাদে দীর্ঘদিন ধরে এলাকার অনেক শিক্ষিত বেকার যুবকদের চাকুরির প্রলোভন দিয়ে আসছে। তার সাথে অনেক উর্ধ্বতন প্রতিষ্ঠানের সম্পর্ক রয়েছে এমন চমকপ্রদ তথ্য দিয়ে আপন বোন, শ্বাশুড়ীসহ প্রচুর লোককে আকৃষ্ট করে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নেয়।
তার প্রতিবেশি সিলেট কোর্টের মহুরী নিতাই দাশ জানান, চাকুরীর প্রলোভন দেখিয়ে তার বোনের দেড় লক্ষ টাকা এবং তার ৭০হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। তাছাড়া বেশ কয়েক দিন ধরে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পেয়ে খোঁজ নিয়ে আরও জানতে পারেন তার আপন চাচাতো ভাই-বোন, ফুফাতো ভাই-বোন এবং গ্রামের একাধিক বন্ধু, পরিচিতজনদের লোভনীয় চাকুরির অফার দিয়ে নগদ কয়েক লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেয়।
সম্প্রতি ট্রেনিংয়ের উদ্দ্যেশ্যে ঢাকা যাচ্ছে বলে কৌশলে বাড়ি থেকে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে পালিয়ে যায়। বর্তমানে ভুক্তভোগী অনেকেই দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। এছাড়াও অনেকেই গত দুই সপ্তাহ থেকে হঠাৎ করে অভিযুক্তের মোবাইল ফোন বন্ধ পেয়ে পরিবারের সাথে যোগাযোগ রেখে চলেছেন।
পরিবারের সদস্যরা ভূক্তভোগীদের জানান সে অফিসিয়েল কাজে ঢাকায় গেছে বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে গেছে। তবে পরিবারের সাথেও তার কোন যোগাযোগ নাই। তারাও তাকে নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। এছাড়াও গোলাপগঞ্জ বাজারের সিঙ্গার প্লাস শো রুম থেকে ৯১টি ল্যাপটপ (যার আনুমানিক মূল্য ৭০/৭৫লক্ষ টাকা) নিয়ে গত দুই সপ্তাহ থেকে মোবাইল ফোন বন্ধ করে আত্মগোপনে যায় প্রতারক রতন মনি দাশ। এ ব্যাপারে তার সন্ধান চেয়ে গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। (নং ৩৭২/৮.১০.২২)।
এ ব্যাপারে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ওসি রফিকুল ইসলাম, অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে জানান প্রতারক রতনকে ধরতে আইন শৃংখলা বাহিনী তৎপর রয়েছে।
বিশ্বনাথে নৌকা চুরির মামলায় ১০ জনের জামিন লাভ
বিশ্বনাথ :: সিলেটের বিশ্বনাথে নৌকা চুরির মামলায় ১০ জনের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ বুধবার (১২ অক্টোবর) সিলেট জুডিশিয়াল মেজিস্ট্রাট আদালতে তাদের জামিন শুনানি করলে আদালত সকল আসামির জামিন মঞ্জুর করেন। বিষটি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন বিবাদী পক্ষের আইনজীবি অ্যাডভোকেট এস এম গফুর।
জামিন লাভ কারিরা হলেন, উপজেলার দৌলতপুর গ্রামের মৃত ইমান আলীর পুত্র আনোয়ার হোসেন ধন মিয়া, চৈতননগর গ্রামের মৃত কলমদর আলীর পুত্র আফজল, উত্তর দৌলতপুর গ্রামের মৃত ছনুফর আলীর পুত্র কুতুব উদ্দিন, দশপাইকা গ্রামের আনফর আলীর পুত্র গিয়াস উদ্দিন, মৌলভীরগাঁও গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের পুত্র মাহফুজুর রহমান, কামারগাঁও গ্রামের মৃত আব্দুল রজাকের পুত্র রুশন আলী, মৌলভীরগাঁও গ্রামের সাইবুর রহমানের পুত্র হোসন মিয়া, দশপাইকা গ্রামের মোবারক আলীর পুত্র জুনাব আলী, উজাইজুরী গ্রামের আব্দুল কদ্দুছের পুত্র আব্দুল কাদির, মৌলভীরগাঁও গ্রামের মৃত মোশাহিদ আলীর পুত্র জাহিদুল হক।
এদিকে, দশঘর মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি লিমিটেডের সহ সভাপতি ও মৎস্যজীবি জুনাব আলী রোববার (৯ অক্টোবর) মামলাটি দায়ের করেন। মামলা নং ৬ (তাং ৯.১০.২২ইং)। মামলার বাদী জুনাব আলী উপজেলার কামারগাঁও গ্রামের মৃত আব্দুল মনাফের পুত্র।
বাদী মামলার অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেছেন- দশঘর মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি লিঃ বিগত ১৪২৪-২৯ বাংলা পর্যন্ত চাউলধনী হাওর জলমহালটি বন্দোবস্থ এনে মাছ আহরণ করে আসছে। কিন্তু মামলার অভিযোক্তরা তাদের সহযোগী সন্ত্রাসী বাহিনী লেলিয়ে দিয়ে বন্দোবস্থকৃত জলমহালে বিভিন্ন সময়ে বে-আইনীভাবে প্রবেশ করে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ ও খুন-জখমের ভয়ভীতি দেখাইয়া মৎস্য আহরণ, বিষ প্রয়োগে মৎস্য সম্পদের ক্ষতিসাধন ও মাছ চুরি করিয়া ক্ষতিগ্রস্থ করে আসছে।
এনিয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা-মোকাদ্দমা চলমান ও বিচারাধীন আছে। এমনকি অভিযুক্তরা নিজেদের প্রভাব কাটিয়ে চৈতননগর গ্রামে জমিতে পানি সেচ ও রাস্তা নির্মাণকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মারামারি ও সুমেল হত্যা মামলায় বাদীসহ মৎস্যজীবি সম্প্রদায়ের অনেককে শত্রæতামূলকভাবে অভিযুক্ত করেছে।
বিগত ১৪২৭-২৮ বাংলা সনে বন্দোবস্থকৃত গ্রুপ জলমহালে মৎস্য আহরণ ও চুরি করিয়া ক্ষতিগ্রস্ত করায় সমিতির পক্ষে বাদী ও আব্দুল জলিল জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এর প্রেক্ষিতে গত ১৪ সেপ্টেম্বর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে বিশ্বনাথে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি), জনপ্রতিনিধি ও সাংবাদিকসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতি অনুষ্ঠিত সভায় আলোচনা সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত হয় মাছ আহরণে ইজারাদারদের কেউ কোন প্রকার বাঁধা দিতে পারবে না বলে সিদ্ধান্ত হয়।
কিন্তু সেই সভার সিদ্ধান্তের পর মামলার ১নং অভিযুক্তের নেতৃত্বে বন্দোবস্তকৃত জলমহালের বিভিন্ন পয়েন্টে ভেল জাল, কারেন্ট জাল, ফুরা জাল উরফে কোনা জাল দিয়ে অন্যায় ও বেআইনিভাবে মাছ করিতে থাকিলে আমরা (সমিতির নেতৃবৃন্দ) প্রশাসনের বিভিন্নস্তরে অভিযোগ করিলেও অভিযুক্তরা ও তাদের সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যরা বে-আইনী মৎস্য আহরণ বন্ধ করে নাই। উল্টো অভিযুক্তরা একে অন্যের সহযোগীতায় বিভিন্ন সময়ে অস্ত্রের মহড়া দিয়ে বন্দোবস্তকৃত জলমহালের শ্রমিক ও পাহাড়াদার মৎস্যজীবিদের খুন-জখমের ভয়-ভীতি দেখাইয়া তাড়াইয়া দেয়।
বাদী মামলার অভিযোগপত্রে আরো উল্লেখ করেছেন- জলমহালটি অরক্ষিত করার পায়তারার অংশ হিসেবে গত ৩ অক্টোবর সকালে মামলার ৩-৭নং স্বাক্ষীগণ বাশের লাটি, খুঁটি, জাল নিয়ে লিজকৃত বিলে যাওয়ার পথিমধ্যে প্রধান অভিযুক্তের নেতৃত্বে অপরাপর অভিযুক্তরা দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্রে (রামদা, ডেগার, লোহার লাইপ) সজ্জিত হয়ে তাদের (৩-৭নং স্বাক্ষীগণ) পথরোধ করে হামলা করে গূরুত্বর আহত করে।
এসময় অভিযুক্তরা মৎস্য আহরণে ব্যবহৃত বিভিন্ন সাইজের প্রায় ৫০ হাজার টাকার বাঁশের খুটিসহ প্রায় ২ লাখ ২০ হাজার টাকা মূলের মালামাল ও মৎস্য আহরণে ব্যবহৃত প্রায় দেড় লাখ টাকা মূল্যের দুটি নৌকা চুরি করে নিয়ে যায়। এরপর আমরা গূরুত্বর আহত আমতৈল গ্রামের সিরাজ আলীর পুত্র মাসুম আহমদকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য প্রথমে বিশ্বনাথ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও ৬ অক্টোবর এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করি।
বিশ্বনাথে সাংবাদিকদের সঙ্গে মেয়র প্রার্থী মাওলানা শিব্বিরের মতবিনিময়
বিশ্বনাথ :: সিলেটের বিশ্বনাথ পৌরসভা নির্বাচনে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মনোনিত মেয়র পদপ্রার্থী, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ বিশ্বনাথ উপজেলার সাধারণ সম্পাদক ও জামেয়া মাদানিয়া বিশ্বনাথের মুহতামিম মাওলানা শিব্বির আহমদ আজ বুধবার (১২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় পৌরশহরের নতুনবাজারস্থ তাঁর নির্বাচনী কার্যালয়ে বিশ্বনাথে কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন।
মতবিনিময় সভায় মাওলানা শিব্বির আহমদ বলেছেন, সবার সহযোগিতা ও মূল্যবান ভোটই হচ্ছে আমার বড়ই প্রয়োজন। আপনাদের ভোটে মেয়র নির্বাচিত হলে বিশ্বনাথ পৌরসভাকে মডেল পৌরসভায় পরিণত করব। তিনি বলেন, জনগণের সেবা করাই হচ্ছে আমার মূল লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য।
তিনি আরো বলেন, বিশ্বনাথ প্রবাসী অধ্যূষিত একটি জনপদ। বিশ্বনাথের প্রবাসীদের রেমিট্যান্সে দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করছে। সারা বিশ্বের সাথে বিশ্বনাথে সম্পর্ক রয়েছে। এই হিসেবে বিশ্বনাথ একটি মডেল শহর হওয়ার কথা ছিল কিন্তু ওই শহর এখনও অবেহিত অবস্থায় রয়েছে।
তিনি বলেন, নির্বাচিত হলে বর্জ্যব্যবস্থাপনা, রাস্তা ঘাট, ড্রেন, কালভার্ট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সব ধরনের উন্নয়ন করে একটি সুন্দর ও মডেল পৌরসভা করার চেষ্ঠা করব। এক্ষেত্রে সবার সহযোগিতা ও মূল্যবান ভোট কামনা করছি।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা জমিয়তের সহসভাপতি মাওলানা কামরুল ইসলাম ছমির, পৌর জমিয়তের সভাপতি মাওলানা শামছুল ইসলাম, প্রবাসী জমিয়ত নেতা মাওলানা ফখরউদ্দিন আহমদ, শিক্ষক মাওলানা সালেহ আহমদ রাজু, বিশ্বনাথ উপজেলা জমিয়তের যুগ্ম সম্পাদক মাওলানা ফখরুল ইসলাম, সহসাংগঠনিক সম্পাদক হাসান বিন ফাহিম, উপজেলা যুব জমিয়তের সভাপতি মাওলানা বুরহানউদ্দিন, জমিয়ত নেতা মাওলানা জিয়াউল হক, মাওলানা বিলাল আহমদ প্রমুখ।