শনিবার ● ৩ জুলাই ২০২১
প্রথম পাতা » অপরাধ » সুন্দরবনের হরিনের চামড়াসহ আটক-৪
সুন্দরবনের হরিনের চামড়াসহ আটক-৪
বাগেরহাট প্রতিনিধি :: বাগেরহাটের শরনখোলায় দুটি হরিনের চামড়া সহ চার জনকে আটক করেছে র্যাব ৬-এর একটি দল । আজ ৩ জুলাই শনিবার ভোর রাতে উপজেলার সােনাতলা গ্রাম থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন, সুন্দরবন সংলগ্ন সোনাতলা গ্রামের আমির মল্লিকের ছেলে মো. জাকির মল্লিক (৪৫), তার ছেলে মো.ওমর সানি মল্লিক (১৯), দক্ষিন রাজাপুর গ্রামের আমির পহলানের ছেলে হাফিজুল (৩৫) ও নুরুল হক ফরাজীর ছেলে মো. মাসুম ফরাজী (৩০)।
র্যাব- ৬ এর সহকারী পরিচালক (মিড়িয়া) মো. বজলুর রশিদ বলেন,গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোনাতলা এলাকায় র্যাব-৬এর এস আই শফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি দল অভিযান চালায় । এ সময় দুটি হরিনের চামড়া সহ ওই চার ব্যাক্তিকে আটক করা হয় । আটক কৃতদের বিরুদ্ধে বন্য প্রানী আইনে মামলা দ্বায়ের করে তাদেরকে শরনখোলা থানায় হস্তান্ত করা হবে।
বাগেরহাটে মোরেলগঞ্জে জেলা আওয়ামী লীগের মাস্ক ও স্যানিটাইজার বিতরণ
বাগেরহাট :: বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে শনিবার জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে করোনা সচেতনতায় মাস্ক ও স্যানিটাইজার বিতরণ করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নির্দেশনা অনুযায়ী বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. ভূইয়া হেমায়েত উদ্দিন এসব করোন সামগ্রী বিতরণ করেন।
বিতরণকালে জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাড. শাহ-ই আলম বাচ্চু, সাংগঠনিক সম্পাদক লিয়াকত হোসেন লিটু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এমদাদুল হক, মোরেলগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি পৌরসভার মেয়র এ্যাড. মনিরুল হক তালুকদার, সাধারণ সম্পাদক মো. হারুন-অর রশীদ, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক মোজাম, আওয়ামী লীগ নেতা ইখতিয়ার হোসেন দিলাল, অমল সাহা নান্ট,ু কাউন্সিলর নান্না শেখ, শংকর কুমার রায়, ওয়ালিউর রহমান সুজন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সদস্য মো. সাইফুল ইসলাম সহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
বিতরণকালে প্রধান অতিথি ভূইয়া হেমায়েত উদ্দিন বলেন, আওয়ামী লীগের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী মহামারী এ করোনায় দুর্যোগ মুর্হুতে সকলকে সচেতনতায় স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে হবে। ঘরের বাহিরে অকারনে বের হওয়া যাবেনা। আওয়ামী লীগ সরকার সাধারণ জনগনের পাশে সার্বক্ষনিক রয়েছে।
বাগেরহাটে চিতলমারী স্বাস্থ্যকেন্দ্রে করোনাকালীন চিকিৎসক সংকট
বাগেরহাট :: বাগেরহাটেরচিতলমারীতে করোনার দ্বিতীয় ডেউয়ে নাকাল জনজীবন। ঘরে ঘরে জ্বর, সর্দিকাশিসহ নানা উপসর্গ নিয়ে অসুস্থায় ভুগছেন অনেকে। এ অবস্থায় রোগীদের একমাত্র ভরসা উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্র। কিন্তু সেখানে নারী ও শিশুদের জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক না থাকায় সেবা ব্যাহত হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে সাধারণ দরিদ্র রোগীদের ছুটতে হচ্ছে প্রাইভেট ক্লিনিকসহ আশপাশের চিকিৎসাকেন্দ্রে।
স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নারী ও শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সংকটের পাশাপাশি চিকিৎসা সেবার যন্ত্রপাতি অকেজো রয়েছে। এতে জরুরি রোগীদের এক্সরে পরীক্ষার জন্য বাইরে ছুটতে হচ্ছে। এর জন্য অতিরিক্ত ফি গুনতে হচ্ছে তাদের। এতে সমস্যায় পড়েছেন দরিদ্র রোগীরা। বিষয়টি সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগীরা।
উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রথম শ্রেণির চিকিৎসকের পদ রয়েছে ২৭টি। কিন্তু কর্মরত আছেন ১৪ জন। এখানে ১৩টি পদ শূন্য রয়েছে। এছাড়া দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণিতে পদ রয়েছে একশ আটটি। সেখানে শূন্য রয়েছে ২৬টি। মেডিকেল টেকনোলজিস্ট গ্রাফির পদটি ৫ বছর শূন্য রয়েছে। পাশাপাশি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পরীক্ষার জন্য দুটি এক্সরে মেশিন অকেজো রয়েছে। নারী ও শিশু বিশেষজ্ঞ না থাকায় চরম বিপাকে পড়তে হচ্ছে রোগীদের। তাদের চিকিৎসার জন্য ছুটতে হচ্ছে বাগেরহাট, খুলনা, গোগালগঞ্জসহ নানা জায়গায়।
স্থানীয় আড়ুয়াবর্ণি গ্রামের বাসিন্দা মো. রাজু মুন্সী জানান, তাদের ঘরে অসুস্থ এক নারী রয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নারী ও শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক না থাকায় বাইরে চিকিৎসা নিতে যেতে হচ্ছে। করোনাকালীন অন্যত্র ডাক্তারের কাছে যাওয়াটা খুবই ঝুঁকি, তবু যেতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের প. প. কর্মকর্তা ডা. মামুন হাসান জানান, স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নারী ও শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দীর্ঘদিন ধরে নেই। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে জানানো হয়েছে। তবে করোনাকালীন জরুরি সেবার জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দীনের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করা হচ্ছে। করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য আইসোলেশান সেন্টার খোলা হয়েছে। এছাড়া মোবাইল টিমের মাধ্যমে বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। হট লাইনে ফোন করে লোকজন সেবা নিতে পারেন।