শনিবার ● ১২ নভেম্বর ২০২২
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » পার্বত্য চট্টগ্রামে ‘ভাগ করো শাসন করো’ নীতি প্রয়োগ করছে শাসকগোষ্ঠি
পার্বত্য চট্টগ্রামে ‘ভাগ করো শাসন করো’ নীতি প্রয়োগ করছে শাসকগোষ্ঠি
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি :: ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট-ইউপিডিএফ-মুল এর প্রচার ও প্রকাশনা বিভাগের নিরন চাকমা প্রেরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, রাঙামাটির বরকল উপজেলার ভূষণছড়া এলাকায় সেটলার বাঙালি কর্তৃক প্রাণময় চাকমা ও দোয়েল বিকাশ চাকমার জমি বেদখলের প্রতিবাদে ও বেদখলকারীদের শাস্তি প্রদানের দাবিতে রাঙামাটি সদর উপজেলার কুদুকছড়িতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে ইউনিাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ-মুল)।
শুক্রবার ১১ নভেম্বর ২০২২ দুপুর ১টার সময় ইউপিডিএফ’র রাঙামাটি জেলা ইউনিটের উদ্যোগে এই বিক্ষোভের আয়োজন করা হয়।
বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী অনুষ্ঠিত সমাবেশে ইউপিডিএফ’র রাঙামাটি জেলা ইউনিটের সংগঠক নির্ণয় চাকমার সভাপতিত্বে ও নীতি চাকমার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় অর্থ সম্পাদক ধর্মশিং চাকমা, বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি) রাঙামাটি জেলা শাখার সভাপতি নিকন চাকমা ও হিল উইমেন্স ফেডারেশনের জেলা শাখার সভাপতি রিমি চাকমা।
বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, গত ৬ নভেম্বর একদল সেটলার বাঙালি রাঙামাটির বরকল উপজেলার ভূষণছড়া ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড এলাকায় প্রাণময় চাকমা ও দোয়েল বিকাশ চাকমার ৪ একর পরিমাণ জায়গা দখল করে অবৈধভাবে ঘর নির্মাণ করেছে। গ্রামবাসীরা ঘটনাটি প্রশাসনকে জানালেও এখনো ভূমি বেদখলকারী সেটলারদের বিরুদ্ধে কোন আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
বক্তারা আরো বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে নানা কৌশলে পাহাড়িদের ভূমি বেদখল নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কখনো সেটলার বাঙালি লেলিয়ে দিয়ে, কখনো উন্নয়ন, কখনো পর্যটন, কখনো রাষ্ট্রীয় বহিনীর ক্যাম্প স্থাপন, কখনো রাবার বাগানের নামে এই ভূমি বেদখল চলছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়িদের ভূমিহীন করে তাদেরকে নিজ ভূমি থেকে উচ্ছেদ করতেই শাসকগোষ্ঠি এই হীন ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে।
বক্তারা বান্দরবানের লামায় রাবার কোম্পানি কর্তৃক সেখানকার ম্রো ও ত্রিপুরাদের ৪০০ একর জুম ভূমি বেদখল প্রচেষ্টার কথা উল্লেখ করে বলেন, বান্দরবান জেলা পরিষদের গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে লামা রাবার ইন্ডাস্ট্রিজ’র ভূমি লিজ বাতিলের সুপারিশ সত্ত্বেও সরকার এখনো তা কার্যকর করেনি। উপরন্তু সরকার ও প্রশাসন ভূমি দস্যু রাবার কোম্পানির পক্ষাবলম্বন করে ম্রো ও ত্রিপুরাদের উচ্ছেদে মামলা, হামলাসহ নানা হয়রানি অব্যাহত রেখেছে।
বক্তারা বলেন, এদেশের শাসকগোষ্ঠি পার্বত্য চট্টগ্রামে ‘ভাগ করো শাসন করো’ নীতি প্রয়োগ করে পাহাড়িদের অধিকার বঞ্চিত রাখার নীলনক্সা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। তার জন্য জনগণের ন্যায়সঙ্গত আন্দোলন বাধাগ্রস্ত করতে রাষ্ট্রীয় দমন-পীড়ন ছাড়াও ভ্রাতৃঘাতি সংঘাত উস্কে দিয়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য উঠে পড়ে লেগেছে।
সমাবেশ থেকে বক্তারা অবিলম্বে বরকলের ভূষণছড়ায় সেটলার কর্তৃক বেদখলকৃত দুই পাহাড়ি গ্রামবাসীর জমি ফিরিয়ে দেওয়া ও বেদখলকারী সেটলারদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ, পার্বত্য চট্টগ্রামে সকল ধরনের ভূমি বেদখল বন্ধ করা এবং পাহড়িদের প্রথাগত ভূমি অধিকারের স্বীকৃতি প্রদানের দাবি জানান।