শিরোনাম:
●   কাপ্তাইয়ে পালিত হলো মারমা সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী সাংগ্রাই উৎসব ●   রাজস্থলীতে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের পাশে ছাত্রদল ●   অ্যাম্বুলেন্সে এসে পরীক্ষা দিলো রিয়াদ, বিচার দাবিতে মানববন্ধন ●   হাটহাজারীতে আরেক বিএনপি নেতাকে শোকজ ●   দাঁতমারা ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান জানে আলম কারাগারে ●   আগাছানাশক দিয়ে কৃষকের বোরো ধান নষ্টের অভিযোগ ●   অস্ত্র মামলায় ঝালকাঠি জেলা ছাত্রলীগ নেতা কারাগারে ●   আলাউদ্দিন আহমেদ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বাংলা বর্ষবরণ ●   রাজস্থলীতে পহেলা বৈশাখ উদযাপিত ●   রাঙামাটিতে একই সময় জুমার নামাজ আদায়ের আহ্বান ●   বর্ষবরণে ফটিকছড়িতে মেলা ●   আত্রাইয়ে বর্ণাঢ্য আয়োজনে বাংলা নববর্ষ উদযাপন ●   রাঙামাটিতে পিসিসিপি’র বৈশাখী শোভাযাত্রা ●   রাঙামাটিতে বাংলা নববর্ষের বর্ণিল শোভাযাত্রা ‎ ●   ঈশ্বরগঞ্জে পাওনা টাকা চাওয়ায় ৫জনকে পিটিয়ে আহত ●   ফটিকছড়িতে জৌলুস নেই হালখাতা অনুষ্ঠানের ●   রাউজানে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষ আহত-৭ ●   সুবিধাবঞ্চিত অর্ধ শতাধিক পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন রাঙামাটি জেলা পরিষদ সদস্য হাবীব ●   ফটিকছড়িতে ঐতিহ্যের বলী খেলা ●   ❝বিঝু (Bizu)❞ চাকমা জনগোষ্ঠীর প্রধান সামাজিক উৎসব
ঢাকা, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ৩ বৈশাখ ১৪৩২

Daily Sonar Bangla
বুধবার ● ৭ জুলাই ২০২১
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » পার্বত্য চট্টগ্রাম বাংলাদেশের একটি অংশ, কেন এখানে শাসন ভিন্ন হবে ?
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » পার্বত্য চট্টগ্রাম বাংলাদেশের একটি অংশ, কেন এখানে শাসন ভিন্ন হবে ?
৪০৫ বার পঠিত
বুধবার ● ৭ জুলাই ২০২১
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

পার্বত্য চট্টগ্রাম বাংলাদেশের একটি অংশ, কেন এখানে শাসন ভিন্ন হবে ?

ছবি : সংবাদ সংক্রান্ত সংবাদ বিজ্ঞপ্তি :: সিন্দুকছড়িতে নিরীহ গ্রামবাসীর ঘর ভেঙে দেওয়া সেনা সদস্যদের বিচারের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি দিতে হবে। আজ ৭ জুলাই বুধবার বেলা ১১ ঘটিকার সময়ে খাগড়াছড়ি জেলার গুইমারার ঠান্ডা ছড়িতে সেনাবাহিনী কর্তৃক নিরীহ গ্রামবাসির ঘর-বাড়ি ভেঙ্গে দেওয়ার প্রতিবাদে এবং দোষী সেনা সদস্যদের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করেছে বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি) ও গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম (ডিওয়াইএফ) মাটিরাঙ্গা উপজেলা শাখার যৌথ উদ্যোগে।
এতে বক্তব্য রাখেন বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের মাটিরাঙ্গা উপজেলার সভাপতি অনিমেষ চাকমা। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, সেনাবাহিনী পাহাড়ে পাহাড়িদের উপর যেভাবে দমন -পীড়ন চালাচ্ছে তা মানবাধিকার এবং তাদের নীতির বহির্গত। তারা তাদের ক্ষমতা দাপট দেখাতেই পাহাড়িদের উপর এমন অত্যাচার চালাচ্ছে। মূলত পার্বত্য চট্টগ্রামে জাতিগত বিদ্বেষী ও তাদের সুবিধা এবং প্রমোশন লাভের জন্যে তারা নানা ইসু তৈরী করে পায়তারা চালাচ্ছে আর এতে সাধারণ গ্রামবাসীও তাদের অত্যাচার নিপীড়ন থেকেই রেহাই পাচ্ছেনা। তিনি আরও বলেন, এ থেকে জনগণ থেকে শুরু করে ছাত্র -যুবক সকলকে সচেতন ও সজাগ হয়ে তাদের অপরাধ জনসমক্ষে তুলে এনে প্রতিরোধ করতে হবে। না হলে তাদের কুকার্যের ফল সবাইকে ভোগ করতে হবে।
গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের মাটিরাঙ্গা উপজেলার সভাপতি নন্দলাল ত্রিপুরা বলেন, সেনাবাহিনী কী রকম জুলুম চালাচ্ছে তা পাহাড়ের মানুষের সবারই জানা। দেশে মুক্ত মিডিয়া না থাকার ফলে পাহাড়ে নিত্য যে অত্যাচার , দমন চলছে তা মিডিয়ায় আসছে না কারণ এখানে সেনাবাহিনী মিডিয়াকে কব্জায় রেখেছে তাদের অনুমতি না নিয়ে মিডিয়াও কোন কিছু প্রচার করতে পারছেনা। তিনি এতে মিডিয়ায় নিয়োজিত বাহিনীদেরও কড়া সমালোচনা করেন। তিনি আরো বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বাংলাদেশের একটি অংশ। তবে কেন এখানে শাসন ভিন্ন হবে। আমরাতো সমতলে গেলে পাহাড় এবং সমতলের শাসনব্যবস্থা র বিরাট তফাৎ লক্ষ্য করি। সেখানে সেনাবাহিনীর জনগণের উপর কোন খবরদারি নেই, অত্যাচার তো দূরের কথা।
এসময় সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন গুইমারা উপজেলার পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জয়ন্ত ত্রিপুরা তিনি বলেন , পাহাড় জুড়ে সেনারা দুঃশাসন চালাচ্ছে কারণ তারা বারেবারে আঁশ পেয়ে যান। তারা অন্যয়, অপরাধ করলেও তাদের বিচার করা হয়না। কল্পনা চাকমা, রমেল চাকমা কিংবা সোহাগী জাহান তনুদের বিচার আমরা পাইনি ! এবং দোষীদের বিচারের শাস্তি হবে কী তাও দেখা যাচ্ছেনা। কিন্তু আমাদের প্রশ্ন জাগে তাহলেই কী সেনারা অপরাধ করেন না? তারা কী অপরাধী নয়?একই দেশের নাগরিক হিসেবে তাদেরকে ও অবশ্যই বিচারের আওতায় আনতে হবে এবং তাদেরকেও বাংলাদেশের আইন ও বিচারব্যবস্থা অনুযায়ী শাস্তি দিতে হবে। বক্তারা আরও বলেন , সিন্দুকছড়িতে যে নিরীহ গ্রামবাসীর ঘর ভেঙ্গে দিয়েছে সেনাবাহিনী তা অবশ্যই বিচারের আওতায় আনতে হবে এবং দোষী সেনা সদস্যদের বিচার করে শাস্তি দিতে হবে।
সমাবেশটি সঞ্চালনা করেন পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের মাটিরাঙ্গা উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক হরিশ ত্রিপুরা।





আর্কাইভ