শুক্রবার ● ৩ মার্চ ২০২৩
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » রাঙামাটিতে ভাস্তি- পিষী সতীন : মিঠুনের ৯ নাম্বার স্ত্রী রুপা চাকমা
রাঙামাটিতে ভাস্তি- পিষী সতীন : মিঠুনের ৯ নাম্বার স্ত্রী রুপা চাকমা
স্টাফ রিপোর্টার :: কার্পেন্টার মিস্ত্রি মৃত তারাপদ মন্ডলের একমাত্র ছেলে মিঠুন মন্ডল (৩৬) পেশায় কার্পেন্টার মিস্ত্রি নিজেকে মোবাইলের মাধ্যমে পরিচয় দেয় সে স্থানীয় সরকারি কলেজের ডিগ্রি পড়ুয়া কলেজ ছাত্র।
মিঠুন মন্ডল নিজে হিন্দু ধর্মের হয়েও এ পর্যন্ত একের পর এক করে ৯টি বৌদ্ধ ধর্মের চাকমা নারীকে বিয়ে করার তথ্য পাওয়া গেছে।
জানাযায়, ২০১৭ সালে পরিচয় ঘটে রাঙামাটির বরকল উপজেলার ১৩৪নং আন্দার মানিক চেগেইয়া ছড়ি গ্রামের রুপায়ন চাকমা মেয়ে বিরোহিনী চাকমা (১২) তার পর মোবাইলে প্রেম করে জুন মাসে ২ জনই পালিয়ে চলে যায় মিঠুন মন্ডলের গ্রামের বাড়ি মাদারীপুর।
মদারীপুরে গ্রামের বাড়িতে থেকে বিরোহিনী চাকমা (১২) কে উদ্ধার করে রাঙামাটিতে আনা হয়। পরে মোবাইলের মাধ্যমে যোগাযোগ করে দেড়মাসের ভিতর বিরোহিনী চাকমা (১২) সবার অগোচরে আবারও মিঠুন মন্ডলের সাথে বিরোহিনী চাকমা, পিতা রুপায়ন চাকমা ও মাতা বুদ্ধ মালা চাকমা তাদের গ্রামের বাড়ি বরকল উপজেলার ১৩৪নং আন্দার মানিক চেগেইয়া ছড়ি গ্রাম থেকে পালিয়ে রাঙামাটি শহরের ভেদ ভেদী (পাবলিক লাইব্রিরীর নীছের ঘরে) মিঠুন মন্ডলের কাছে চলে আসে।
বাড়ি থেকে পালিয়ে আসার পর বিরোহিনী চাকমা হলফনামা নং-১৯৪/১৮ তারিখ- ২৩/১২/২০১৮ বৌদ্ধ ধর্ম ত্যাগ করে সনাতন ধর্ম গ্রহন করে তার নাম বিরোহিনী মন্ডল বলে ঘোণনা দেয়। একই তারিখে নোটারী পাবলিক এর মাধ্যমে হলফনামা নং- ১৯৫/১৮ উভয়ে প্রাপ্ত বয়স্ক বলে মিঠুন মন্ডল ও বিরোহিনী মন্ডল একে অপরকে স্বামী-স্ত্রী হিসাবে বিবাহ সংক্রান্ত হলফনামা সম্পাদন করে।
মিঠুন মন্ডল তার স্ত্রী বিরোহিনীকে প্রায় সময়ে যৌতুকের জন্য বিভিন্ন ভাবে মানষিক ও শারীরিক নির্যাতন, বিরোহিনীকে জোর করে একাধিকবার গর্ভপাত ঘটানোর কারনে বিষয়টি আইনগত সহায়তার জন্য ২৫ অক্টোবর-২০২২ তারিখ রাঙামাটি জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার মো. জুনাইদ (সহকারী জজ) মিঠুন মন্ডল বিরোদ্ধে বিরোহিনী মন্ডলের অভিযোগের প্রেক্ষিতে উভয় পক্ষের সম্মতিতে আপোষ-মীমাংসার উদ্দেশ্য ২২/১১/২০২২ ইংরেজি তারিখে মীমাংসা সভার মাধ্যমে পরস্পর স্বামী-স্ত্রী পক্ষগণ পারিবারিক বিরোধ আপোষে বিবাহ বি্চ্ছেদের পরামর্শ দেন।
রাঙামাটি জেলা লিগ্যাল এইড অফিসের আপোষ-মিমাংসার মাধ্যমে বিরোধ নিষ্পত্তি সংক্রান্ত চুক্তি, এডিআর নং-৮৭৩/২০২২, তারিখ- ২২/১১/২০২২ ইংরেজি মূলে শর্তসমুহ : ১। পক্ষগণ পরস্পর স্বামী-স্ত্রী। পরিবারিক বিরোধে পক্ষগণ আপেষে বিবাহ বিচ্ছেদদের সিদ্ধান্ত গ্রহন করিলেন। ২। অদ্য (২২/১১/২০২২) হতে তারা পৃথক পৃথক করে বসবাস করবেন। মিঠুন মন্ডলের দখলে থাকা বসতবাড়ী খাস জমিসহ বসতবাড়ী (এক শতক) জায়গা তার স্ত্রী বিরোহীনি মন্ডলকে তার ভরনপোষনের খরচ বাবদ এক কালীন দান কবলা করে দিবেন। ৩। ১মপক্ষ উক্ত জায়গা দিতে গরিমসি করলে কিংবা না দিলে তা ২য়পক্ষ আইনগত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করিলে ১মপক্ষের কোন আপত্তি থাকিবেনা। ৪। পক্ষগণ একে অপরের বিরুদ্ধে কোন প্রকার কুৎসা রটনা করিবেনা। হয়রানিমুলক কার্যকলাপ করিবেনা। ৫। পক্ষগণ আপোষনামার শর্তাবলী মেনে চলিবেন। কোনপক্ষ শর্তসমূহ লংঘন করিলে অপরপক্ষ লিগ্যাল এইড অফিসে অভিযোগ দায়ের করিতে পারিবেন।
আইনগত সহায়তা প্রদান আইন ২০০০ এর ২১ (ক) ধারার ক্ষমতাবলে এবং আইনগত সহায়তা প্রদান আইনী পরামর্শ ও বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি বিধিমালা, ২০১৫ এর ১৬ ধারার বিধান ক্ষমতাবলে অত্র মিমাংসা করা হল, যা একটি বৈধ আইনগত দলিল।
চতুর মিঠুন মন্ডল রাঙামাটি জেলা লিগ্যাল এইড অফিসের নির্দেশ অমান্য করে বিরোহিনী মন্ডলকে বিভিন্ন ধরনের লোভ-লালসা দেখিয়ে বিরোহিনী চাকমার পিতার বোন বিরোহিনী চাকমার পিষি রুপা চাকমা (৩৮) সম্পর্কে মিঠুন মন্ডলের শাশুড়ি রুপা চাকমাকে (মিঠুন মন্ডলের ৯ নাম্বার স্ত্রী) হিসাবে পরিচয় দিয়ে ভেদ ভেদী মুসলিম পাড়া সংলগ্ন রাজমনি পাড়ায় নতুন করে সংসার শুরু করে।
জানাগেছে, রুপা চাকমার গ্রামের বাড়ি রাঙামাটির বরকল উপজেলায় তার স্বামী আঞ্চলিক রাজনীতির সাথে যুক্ত থাকায় প্রতিপক্ষের গুলিতে মারা যায়। রুপা চাকমা তার স্বামীকে হারিয়ে সম্পর্কের তারই ভাইয়ের মেয়ে (ভাস্তি) বিরোহিনী চাকমার সতীন হয়ে এখন মিঠুন মন্ডলের ৯ নাম্বার স্ত্রী পরিচয়ে রাঙামাটিতে বসবাস করছে।
এবিষয়ে মিঠুন মন্ডলের ৮নং স্ত্রী বিরোহিনী মন্ডল (বিরোহিনী চাকমা) বলেন, মিঠুন মন্ডলের নৈতিক চরিত্র পশুর চেয়ে কারাপ। রুপা চাকমা আমার বাবার বোন হয় আমি তো রুপা পিষীমার মেয়ের স্থানে মিঠুন মন্ডল তো রুপা পিষীমার মেয়ের জামাই ছেলের স্থানে রুপা চাকমার নৈতিক চরিত্র আর রুপার রুচিবোধ নিয়ে ভাবতে ঘৃর্ণা হয়।
বিরোহিনী মন্ডলের ঘরে তার বান্ধবী তুহিন ইসলাম সামনে মিঠুন মন্ডলের ৮নং স্ত্রী বিরোহিনী মন্ডল ক্ষেভে সহিত বলেন, রাঙামাটিতে হিন্দু এবং চাকমাদের কোন সমাজ নাই। থাকলে অনৈতিকভাবে মিঠুন মন্ডল বসবাস করতে পারতো না। স্বামীর কাছ থেকে তার বরণ-পোষনের বিষয়ে জানতে চাইলে বিরোহিনী জানায় তার স্বামী মিঠুন মন্ডল কাপ্তাই এলাকায় কার্পেন্টার মিস্ত্রির কাজ করছে। সাপ্তাহে ৫-৭শত টাকা দিয়ে চলে যায়। ঘর থেকে বের হলে মিঠুন মন্ডল তার মোবাইল ফোন বন্ধ করে দেয়, প্রায় ৩-৪ মাস ধরে মিঠুন রাত্রিকলিন ঘরে তার কাছে থাকে না।
তার পিষী রুপা চাকমাকে বিরোহিনী মন্ডল কিছু বলেছে কি-না জানতে চাইলে বিরোহিনী জানায় আমি তাকে বলেছি “পিষী তোমার লজ্জ আছে কি-না, মেয়ের জামাইয়ের সাথে অবৈধভাবে সংসার করছো”। তার প্রতিউত্তরে রুপা চাকমাকে বিরোহিনী মন্ডলকে বলেছে“ তোমার জামায় আমার কাছে যায় কেন ? আমি তো তোমার ঘরে বা তোমার জামাইয়ের কাছে আসি না”।
মানুষ না-কি অতি শোক-এ পাথর হয়ে যায়। বিরোহিনী মন্ডল (বিরোহিনী চাকমা) ৪ বছরের মাথায় স্বামী,জাত-কুল হারিয়ে এখন দিশাহারা।
মিঠুন মন্ডল নিজে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ফাঁদ পেতে প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে চাকমা নারী-কিশোরীদের বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে রাঙামাটি শহরে রেখে দেহভোগ করে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রয় করে দেয়ার অভিযোগ রয়েছে।