বুধবার ● ২৬ এপ্রিল ২০২৩
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » ঝালকাঠিতে পূর্বশত্রুতার জেরে খুন চাচা ভাতিজা : আটক-৪
ঝালকাঠিতে পূর্বশত্রুতার জেরে খুন চাচা ভাতিজা : আটক-৪
গাজী মো.গিয়াস উদ্দিন বশির,ঝালকাঠি:: ঝালকাঠির রাজাপুরে পূর্বশত্রুতার জেরে খুন হলেন চাচা ভাতিজা। সোমবার রাত আনুমানিক ৮ টার সময় উপজেলার শুক্তাগর ইউনিয়নের জগইরহাট গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরে ইউনিয়নের মোল্লারহাট এলাকা থেকে সন্দেহ ভাজন একজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে এলাকাবাসী।
নিহত আ.রব হাওলাদার (৬২)জগইরহাট এলাকার মৃত মফেজ উদ্দিন হাওলাদারের ছেলে ও ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য এবং অপর নিহত বেলায়েত হোসেন (৫৬) রব হাওলাদারের বড় ভাই মৃত মকবুল হোসেন হাওলাদারের ছেলে বেলায়েত হোসেন হাওলাদার। আটককৃত মো. আসাদ (১৯) খুলনা রেলগেট এলাকার ৩ নাম্বার ওয়ার্ডের মো: ইমন এর ছেলে। জগইরহাট এলাকার মৃত দলিল উদ্দিনের ছেলে শাহজাহান, সত্তার এর ছেলে মিজান, খাদেম এর ছেলে সজল।
জানাগেছে, ঘটনার সময় আব্দুর রব হাওলাদার, ভাতিজা মো. বেলায়েত হোসেন, ভাগিনা নাসির ও নাসিরের ক্লাস ফোড়ে পড়ুয়া ছেলে মো. সিয়াম জগইরহাট বাজার থেকে বাড়িতে যাচ্ছিলেন। এসময় নাসির অসুস্থ বিধায় তার ছেলেকে নিয়ে পিছনে পরে যায়। সামনে রব হাওলাদার এবং বেলায়েত বাড়ির কাছাকাছি যাওয়ার সাথে সাথে পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা প্রতিপক্ষ মৃত মোদাসসের এর পুত্র মো. খাদেম, খাদেম এর ছেলে সজল, মেহেদী, রাজন, আকাব্বার এর ছেলে হায়দার, সত্তার এর ছেলে মিজান, শাহজাহান এর ছেলে শাকিল, আলী হোসেন এর ছেলে শহিদ, নুর ইসলামের ছেলে জাহিদ সহ অজ্ঞাত আরো ১৪/১৫ জন লোকে পথ আগলে দাঁড়ায়। তাদের পথ আগলানোর কারন জানতে চাইলে খাদেম তার লোকদের কোপাতে বললে তারা অতর্কিত কোপানো শুরু করে। যা দূর থেকে নাসির এবং তার ছেলে সিয়াম দেখতে পায়। হামলাকারীরা কুপিয়ে রব হাওলাদারকে পাশের খালে ফেলে দেয় এবং বেলায়েতকে রাস্তায় রেখে চলে গেলে সিয়াম দৌড়ে এসে খালের পানির ভিতর থেকে পাশে তুলে রব হাওলাদারকে। পরে স্থানীয় লোকজন, আত্মীয় স্বজনরা তাদের দুজনকে রাজাপুর উপজেলা কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষনা করেন।
এব্যাপারে ঝালকাঠি পুলিশ সুপার আফরুজুল হক টুটুল বলেন, প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এই ডাবল মার্ডার হয়েছে। আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে কিছু নাম পেয়েছি কিন্তু তদন্তের স্বার্থে এখনি নামগুলো বলতে চাচ্ছিনা। ঘটনার সঠিক কারন বের করতে হলে তদন্ত শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
ঝালকাঠির রাজাপুরে মরা গরুর মাংস বিক্রয় টকঅফদ্যা টাউনে
ঝালকাঠি :: ঝালকাঠির রাজাপুরে মরা গরুর মাংস বিক্রয় করায় জেলা জুড়ে টকঅফদ্যা টাউনে। স্থানীয় ইউপি সদস্য ও বাজার কমিটি অর্থের বিনিমিয় এই ঘটনা ধামাচাপা দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। কসাই আল-আমিন বলছে ফ্রিজে রাখা মাংস পঁচে গেছে বুজতে পারি নায়। স্থানীয় ইউপি সদস্য আমিনুল ইসলাম ও বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক আল-আমিন তাও মানতে নারাজ। রবিবার ভোরে উপজেলার গালুয়া ইউনিয়নের পুটিয়াখালী মীরের হাট বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় আমেনা বেগম, লাভলু, জব্বার, কাঞ্চনসহ ক্রেতারা জানায়, ঈদুল ফিতরের কসাই আল-আমিনের আমদানি করা একটি ফ্রিজিয়ান গরু স্ট্রোক করে মারা যায়। ওই মরা গরুর অর্ধেক মাংস অল্প অল্প করে পুটিয়াখালী মীরের হাট বাজারে বিক্রয় করে আল-আমিন।
বাকি মাংস শনিবার ভোরে পুটিয়াখালীর আসাদ তালুকদারের ভাগনির বিয়ের অনুষ্ঠানে পাঠানো হয়। ঐ মাংস রান্না করার জন্য বস্তা থেকে বের করলে পচাঁ গন্ধ বের হতে শুরু করে। বিষয়টি সাথে সাথে বাবুর্চি আসাদ তালুকদারকে জানায়। আসাদ তালুকদার বাজারে গিয়ে জনসম্মূখে কসাইকে জানালে এ নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কটাকাটি হয়। বিষয়টি মুহুর্তের মধ্যে স্থানীয় ইউপি সদস্য ও বাজার কমিটির স্থানীয় সদস্যরা মিলে অর্থের বিনিময় ধামাচাঁপা দিয়ে দেন। এমনকি তাদের ভয়ে প্রকাশ্যে কেউ মুখ খুলতে রাজি নয়। কসাই আল-আমিন ও ভূক্তভোগী আসাদ তালুকদার দুইজনেই ইউপি সদস্য আমিনুল ইসলামের লোক। এ কারণেই ইউপি সদস্যে এ বিষয়টি ধামাচাপা দিতে সহজ হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানায়।
কসাই আল-আমিন জানায়, আাগের দিনের মাংস বিক্রয় করতে না পেরে ফ্রিজে রাখি এতে একটু গ্যাস হয়। পরের দিন ভাল মাংসের সাথে মিশিয়ে আসাদ তালুকদারকে দিয়েছিলাম। আসাদ তালুকদার অভিযোগ করলে ঐ মাংস পরিবর্তন করে দেয়া হয়। স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য মো. গোলাম ফারুক জানায় আল-আমিন কসাই এর আগেও এরকম কাজ করে যা অর্থের বিনিময় ধামাচাপা দিয়েছে। এর একটা বিচার হওয়া দরকার।
মরা গরুর মাংস বাজারে বিক্রয় করায় কসাই বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হবে কিনা জানতে চাইলে কসাইর পক্ষে ছাফাই গেয়ে বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. আল-আমিন মীরা জানায়, ওটা ফ্রিজের মাংস ছিল।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, আমাকে ফাঁসাতে প্রতিপক্ষরা টাকা-পয়সার বিষয়টি ছড়াচ্ছে। কসাইকে সতর্ক করা হয়েছে। পরবর্তীতে বাজারে গরু জবাই করলে বাজারের মসজিদের ইমামের মাধ্যমে গরু জবাই করতে হবে। ফ্রিজে রাখা গরু বিক্রয় করা যাবেনা। আমি ও বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক আল-আমিন মিলে এ সিদ্ধান্ত নিয়ে ঐ পঁচা মাংস কেরোসিন মেখে মাটিতে পুঁতে রেখেছি।
সচেতন মহলের দাবী, তাহলে আমরা কোথায় বসবাস করি। যেখানে মানুষ মানুষকে ধোকাদিয়ে পঁচা মাংস খাওয়ায়। এধরনের ন্যাক্কার জনক ঘটনার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তিপক্ষের কাছে কঠোর বিচার দাবী করছি।