শুক্রবার ● ২৮ এপ্রিল ২০২৩
প্রথম পাতা » কৃষি » দীঘিনালায় কৃষকের কাটা ধান নিয়ে গেল প্রতিপক্ষ
দীঘিনালায় কৃষকের কাটা ধান নিয়ে গেল প্রতিপক্ষ
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি :: খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার মেরুং ইউনিয়নের গংঙ্গারটেক এলাকায় আলমগীর নামে এক কৃষকের জমিতে কেটে রাখা ধান নিয়ে গেছে প্রতিপক্ষ।
বুধবার ২৬ এপ্রিল সকাল ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
বৃহস্পতিবার ২৭ এপ্রিল এ ঘটনায় দীঘিনালা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করতে যান ভুক্তভোগী ওই কৃষকের স্ত্রী রাশেদা বেগম(৪৩)। কিন্তু থানা পুলিশ অভিযোগ গ্রহণ করেননি।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, কৃষক আলমগীর হোসেন দীর্ঘদিন ধরে নিজের ভোগদখলে থাকা ১৭৩নং হোল্ডিংভূক্ত জমিতে ফসল আবাদ করে আসছেন।
কিন্তু একই এলাকার প্রতিপক্ষ রেনু বেগম(৫৫) স্বামী শহিদুল ইসলাম এলাকার ছু প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় আলমগীর হোসেনের হোল্ডিং এর জায়গার কিছু অংশ খাস খতিয়ানের দাবী করে নিজ দখলে নিতে দ্বন্দ্ব সংঘাতে লিপ্ত হয়ে এলাকায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির কারণ হয়ে দাড়িয়েছে। গত কয়েক মাস আগে রেণুগং আলমগীরের টিলা ভূমি থেকে প্রায় ৫লক্ষ টাকার ফলজ ও বনজ গাছ জোরপূর্বক কেটে নিলে তাদের নামে গাছ কাটার মামলা দেয় আলমগীরের স্ত্রী রাশেদা বেগম। এতে আসামীরা ক্ষিপ্ত হয়ে ও নিজেদের দোষ ধামাচাপা দিতে উল্টো বাগানের মালিক আলমগীরসহ তার প্রায় শতবর্ষী শশুর ও দূর-দূরান্তে অবস্থানরত আত্মীয়-স্বজনদের হয়রানি করতে তাদের ১০/১২জনের নামেও চাঁদাবাজির মিথ্যা মামলা দায়ের করেন রেনু বেগম।
পরে স্থানীয় চেয়ারম্যান ও এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গের মধ্যস্থতায় শালিসি বৈঠকে এলাাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা বাজায়ের উদ্দেশ্যে সাময়িকভাবে সীমানা নির্ধারণ করে দেয়া হয়। কিন্তু গত বুধবার কৃষক আলমগীর নিজের জমিতে ধান কেটে রেখে তার লোকজন নাস্তা করতে গেলে এই সুযোগে রেনুগং ১০/১২জন লোকবল ও লাঠিসোটা নিয়ে জোর পূর্বক কর্তনকৃত ধান নিয়ে চলে যায় ও বিভিন্ন হুমকি ধামকি দিতে থাকে।
অভিযুক্তরা হলেন : একই এলাকার শহিদুল (৬০), রবিউল (৩৫), রাজিব (২২), রেনু বেগম (৫৫), রাজু (২০), জাহেদা বেগ ম(৩০) ও রাবেয়া (১৫)।
এব্যাপারে ভুক্তভোগী ক্ষতিগ্রস্ত রাশেদা বেগম বলেন, অনেক কষ্ট করে ধানের চারা জমিতে রোপণ করেছি। এখন ধান কেটে ঘরে আনতে গিয়ে দেখি রেনুগং সব ধান নিয়ে চলে যাচ্ছে।
রেনুগং আমাদের ক্রয়কৃত হোল্ডিং এর জায়গা খাস খতিয়ানের দাবী করে দখলের অপচেষ্টা চালালেও তাদের দাবীর স্বপক্ষে খাস খতিয়ানের জায়গার কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। এলাকার কিছু প্রভাবশালীচক্র তাকে নানাভাবে সহযোগিতা করে যাচ্ছে। মূলতঃ আমাদের জায়গার আশেপাশে কোনো সরকারি খাস খতিয়ানের জায়গা না থাকলেও জোরপূর্বক আমাদের জায়গা খাস বলে দখলের পাঁয়তারা চালাতে রেনু বেগমকে ইন্ধন যোগাচ্ছে প্রভাবশালী চক্রটি, এখন তারা আবারও জেরপূর্বক লোকজন নিয়ে আমার জমির ধান কাটার পরিকল্পনা করছে। আমরা আইন নিজের হাতে তুলে না নিয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপের মাধ্যমে এর সঠিক বিচার চাই।
তিনি জানান, আমাদের লোকবল ও লাঠির জোর না থাকায় তাদের সাথে দ্বন্দ্বে লিপ্ত না হয়ে আইনের আশ্রয় নিতে গেলে এ ব্যাপারে ২৭এপ্রিল বৃহস্পতিবার দীঘিনালা থানার ওসি বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দেই। কিন্তু থানা পুলিশ অজ্ঞাত কারণে অভিযোগটি গ্রহণ করেননি।