মঙ্গলবার ● ২ মে ২০২৩
প্রথম পাতা » অপরাধ » বুদ্ধি প্রতিবন্ধী তরুণীকে ধর্ষণের পর হত্যা করেছিলো মামাতো ভাই : ঝালকাঠি পুলিশ সুপার
বুদ্ধি প্রতিবন্ধী তরুণীকে ধর্ষণের পর হত্যা করেছিলো মামাতো ভাই : ঝালকাঠি পুলিশ সুপার
গাজী মো.গিয়াস উদ্দিন বশির,ঝালকাঠি :: ঝালকাঠিতে ফসলের মাঠে পড়ে সেই বুদ্ধি প্রতিবন্ধী তরুণীকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছিলো। তার আপন মামাতো ভাই ধর্ষণের পর মাথায় আঘাত ও শ্বাস রোধ করে ওই তরুনীকে নৃশংস ভাবে হত্যা করে। সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন ঝালকাঠি পুলিশ সুপার। সংবাদ সম্মেলনে জেলা পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ ও নলছিটি থানার অফিসার ইনচার্জ উপস্থিত ছিলেন।
জেলার নলছিটি উপজেলার কামদেবপুর গ্রামে গত ২৬ এপ্রিল বুধবার দুপুরে বাড়ির পাশের একটি ফসলের ক্ষেতে স্মৃতি আক্তার নামে এক তরুণীর উলঙ্গ ও ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ উদ্ধার করে ছিলো পুলিশ। ঘটনার পর জেলা পুলিশ সুপার আফরুজুল হক টুটুলের নেতৃত্বে নৃশংস এ হত্যায় জড়িত প্রকৃত অপরাধীদের ধরতে জোরেশোরে মাঠে তদন্তে নামে জেলা পুলিশ। ২৮ এপ্রিল শনিবার রাতে ধর্ষণ ও হত্যার সাথে জড়িত একমাত্র আসামী নিহত স্মৃতির মামাতো ভাই মো: বাপ্পি সরদার ওরফে তুষার সরদার বাপ্পিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। রবিবার দুপুরে এ নিয়ে সাংবাদ সম্মেলন করে জেলা পুলিশ। সাংবাদিকদের কাছে ঝালকাঠি পুলিশ সুপার আফরুজুল হক টুটুল জানান, গ্রেফতার বাপ্পি তার ফুপাতো বোন স্মৃতিকে ধর্ষণের পর হত্যায় দায় স্বীকার করেছে। বাপ্পির বরাদ দিয়ে পুলিশ সুপার আরও জানান, দীর্ঘ দিন ধরে বাপ্পি ও নিহত স্মৃতির মধ্যে শারিরীক সম্পর্ক চলছিলো। নিহত স্মৃতি বেশ কিছু দিন ধরে বাপ্পিকে বিয়ের জন্য দাবী করলেও সে সময়ক্ষেপন করছিল। গত ২৫ এপ্রিল রাতে বাপ্পির ডাকে স্মৃতি ঘরের বাইরে পার্শবর্তী জঙ্গলে নিয়ে যায়। সেখানে স্মৃতিকে ধর্ষণ করে মামাতো ভাই বাপ্পি। এসময় স্মৃতি বিয়ের জন্য বাপ্পিতে চাপ দিলে বাপ্পি মাটির চাকা দিয়ে মাথায় আঘাত করে ও পেটে-বুকে লাথি মারাসহ শ্বাসরোধ করে স্মৃতিকে হত্যা করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় গ্রেফতার বাপ্পিকে আদালতে সোপর্দ করা হবে বলেও জানান পুলিশ সুপার।
কৃষক লীগের মাধ্যমে ধান কাটা কৃষকদের সহযোগিতা করা হচ্ছে : আমু
ঝালকাঠি:: আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেছেন, কৃষক লীগের মাধ্যমে ধান কাটা থেকে শুরু করে বিভিন্ন সময় কৃষকদের সাহায্য সহযোগিতা করা হচ্ছে। কৃষক লীগের কারণে কৃষকরা দক্ষতার সাথে কঠোর পরিশ্রম করে ফসল উৎপাদন করছেন। তাই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ থাকে। সরকার সব সময় কৃষকদের পাশে থেকে তাদের সব ধরনের সহযোগিতা করে আসছে বলেও জানান তিনি। আজ রবিবার সকালে ঝালকাঠিতে কৃষক লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
আওয়ামী লীগের বর্ষিয়ান নেতা আমির হোসেন আমু বলেন, বঙ্গবন্ধু কৃষক লীগ সংগঠন তৈরি করে ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কৃষক লীগ আজ সুসংগঠিত হয়েছে। কৃষক লীগ সব সময় সর্বকাজে প্রস্তুত এটা করোনাকালীন সময় প্রমাণ করেছে। আজকে কৃষক লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন এ সম্মেলনে সংগঠন সুসংগঠিত হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে প্রচার কাজে বিস্তার লাভ করবে।
জেলা কৃষক লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আবদুল মান্নান রসুলের সভাপতিত্বে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ কৃষক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. জসিম উদ্দিন, ঝালকাঠি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সরদার মো. শাহ আলম। এছাড়া বিশেষ বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-দপ্তর সম্পাদক অ্যাডভোকেট সৈয়দ শওকত হোসেন সানু। অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন ঝালকাঠি জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুল আমিন খান সুরুজ। জেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, কৃষক লীগের শত শত নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।