বৃহস্পতিবার ● ৭ মার্চ ২০২৪
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » চুয়েটে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উদযাপিত
চুয়েটে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উদযাপিত
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এর ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেছেন, “৫৩ বছর আগে বঙ্গবন্ধু যেদিন ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ প্রদান করেছিলেন আমি তখন ৮ম শ্রেণির ছাত্র। রেডিওতে সেদিন নিজ কানে সেই ঐতিহাসিক ভাষণ শুনে শরীরে কম্পন জেগেছিল। আজও সেই ভাষণের তেজোদীপ্ততা কানে বাজে। দীর্ঘদিনের শোষণ-নিপীড়নের এক পর্যায়ে স্বাধীনতাকামী বাঙালির জন্য ৭ই মার্চের ভাষণ ছিল মুক্তিসংগ্রামের দিকনির্দেশনার একটি পূর্ণাঙ্গ প্যাকেজ। যার ফলে বীর বাঙালি স্বাধীনতার চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। বর্তমানে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়া মিশনে দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। সরকারের নতুন ভিশন বাস্তবায়নে আমাদের স্মার্ট নাগরিক ও স্মার্ট প্রকৌশলী হিসেবে অবদান রাখতে হবে।” তিনি আজ ০৭ই মার্চ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১২টায় একাডেমিক কাউন্সিল কক্ষে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চুয়েটের প্রো-ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. জামাল উদ্দীন আহাম্মদ, কুয়েটের প্রো-ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. সোবহান মিয়া, সিভিল অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সুদীপ কুমার পাল, ইলেকট্রনিক অ্যান্ড কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সামসুল আরেফিন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এ.এইচ. রাশেদুল হোসেন, স্থাপত্য ও পরিকল্পনা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ রাশিদুল হাসান। এতে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন মেকানিক্যাল অ্যান্ড মেনুফেকচারিং ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন ও রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. শেখ মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির। এতে আরও বক্তব্য রাখেন স্টাফ ওয়েলফেয়ার কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. সজল চন্দ্র বনিক, শিক্ষক সমিতির সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. উজ্জ্বল কুমার দেব, কর্মকর্তা সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মো. মকবুল হোসেন, কর্মচারী সমিতির সভাপতি মো. জামাল উদ্দীন ও মেকাট্রনিক্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ‘১৮ ব্যাচের শিক্ষার্থী আসিফ আলম। অনুষ্ঠানমালা সঞ্চালনা করেন উপ-পরিচালক (তথ্য ও প্রকাশনা) মোহাম্মদ ফজলুর রহমান ও উপাচার্য কার্যালয়ের সহকারী রেজিস্ট্রার (সমন্বয়) মুহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম।
এর আগে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উপলক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে চুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলমের নেতৃত্বে এক র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে স্বাধীনতা চত্বর সংলগ্ন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়। এরপর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম। এ সময় প্রো-ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. জামাল উদ্দীন আহাম্মদ, বিভিন্ন অনুষদের ডিনবৃন্দ ও ছাত্রকল্যাণ পরিচালক উপস্থিত ছিলেন। এরপরই চুয়েট বঙ্গবন্ধু পরিষদের উদ্যোগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তকবক অর্পণ করা হয়।