শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » মুক্তাগাছায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিচয়ে যুবককে তুলে নেওয়ার অভিযোগ
মুক্তাগাছায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিচয়ে যুবককে তুলে নেওয়ার অভিযোগ
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি :: ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিচয়ে মো. রাশেদ (৪০) নামের এক দিনমজুর কৃষক যুবককে বাসা থেকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার দুল্লা ইউনিয়নের বিন্নাকুড়ি এলাকায় বুধবার দিবাগত রাত একটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। রাশেদ ওই গ্রামের মো. বাশতুল্ল্যার ছেলে। তার সংসারে চারটি মেয়ে সন্তান রয়েছে।
ভূক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা যায়, সারাদিন কৃষি কাজ শেষে বুধবার বিকালে সংসারের বাজার করে রাতে বাড়িতে ফিরেন এবং রাতের খাবার শেষে স্ত্রী ও চার কণ্যাকে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন রাশেদ। হঠাৎ মধ্যরাতে তার শয়ন কক্ষের দরজায় কড়া নাড়ে একদল লোক। পরিচয় জানতে চাইলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী লোক পরিচয় দিয়ে ঘরের দরজা খুলতে বলেন তারা। দরজা না খোলায় ১০-১৫ জন নিজেরাই ঘরের দরজা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে রাশেদের হাতে হাতকড়া পরিয়ে দেন এবং ঘরে অস্ত্র আছে দাবি করে ঘরের আসবাবপত্র এলোমেলো করে ফেলেন। রাশেদকে বাড়ি থেকে নিয়ে যেতে বাঁধা দিলে রাশেদের স্ত্রী শাপলা খাতুন ও বড় মেয়ে রুবাইয়াকে এলোপাথাড়ি মারপিট করে লাথি দিয়ে ফেলে দেয়। পরে একটি হাইচ গাড়িতে রাশেদকে তুলে নিয়ে যায় তারা। এমন অভিযোগ করেছেন রাশেদের স্ত্রী ও পরিবারের লোকজন। পরবর্তীতে বৃহস্পতিবার সকালে রাশেদের খোঁজে থানা পুলিশ, জেলা গোয়েন্দা শাখা ও র্যাব অফিসে যোগাযোগ করলে ওই যুবককের কোন খোঁজখবর পাইনি পরিবারটি। এ বিষয়ে একটি সাধারণ ডাইরি করতে চাইলে পুলিশ তা গ্রহণ করেননি বলেও দাবি করেন ভূক্তভোগীর পরিবার।
এ বিষয়ে রাশেদের স্ত্রী শাপলা খাতুন বলেন, ছোট ছোট চার মেয়ের সংসার আমাদের। সে কৃষি কাজ করে দিন আনে, দিন খাই। তার নামে কোন মামলাও নাই। হঠাৎ মধ্যরাতে ঘরের দরজা ভেঙ্গে ভিতরে ঢুকে আমাদের মারধর করেন ১০-১৫ জন লোক। এ সময় তাদের গায়ে ডিবি লেখা পোশাক ছিল এবং সঙ্গে পুলিশও ছিল।
রাশেদের ভাই বাসেত আলী বলেন, ২০২০ এভাবেই আগে একবার আমাদের দুই ভাইকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল র্যাব। এবার মাঝরাতে ভাইকে তুলে নিয়ে গেল ডিবি পুলিশ।
ভূক্তভোগীর সপ্তম শ্রেণীতে পড়ুয়া মেয়ে রুবাইয়া বলেন, বাবাকে না নিতে, আমি তাদের পা চেপে ধরলে তারা আমাকে লাথি দিয়ে ফেলে দেয়। আমি আমার বাবাকে ফেরত চাই।
জিডি না নেওয়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মুক্তাগাছা থানার ওসি ফারুক আহমেদ জানান, আমার কাছে এবিষয়ে কেউ অভিযোগ নিয়ে আসেনি। আর জিডি না নেওয়ার কোন সুযোগ নেই।
এ বিষয়ে জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ মো.ফারুক হোসেন জানান, ডিবি থেকে ওই দিন মুক্তাগাছা উপজেলায় কোন ধরনের অভিযান চালানো হয়নি।