বৃহস্পতিবার ● ২৫ এপ্রিল ২০২৪
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » সাজেকে নিহত ৫শ্রমিকের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম
সাজেকে নিহত ৫শ্রমিকের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম
উবায়দুল্লাহ রুমি, ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি :: রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেকে ডাম্প ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাহাড়ি খাদে পড়ে দুর্ঘটনায় নিহত ৯ শ্রমিকের মাঝে ৫জনের বাড়ি ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে।
নিহতরা হলেন, উপজেলার তারুন্দিয়া ইউনিয়নের শ্রীপুরজিথর গ্রামের চান মিয়ার পুত্র তফাজ্জল হোসেন বাবুল মিয়া (২০), নজরুল ইসলামের পুত্র মোহন মিয়া (১৮), হেলাল উদ্দিনের পুত্র নয়ন মিয়া (২১), গিরিধরপুর গ্রামের শহিদুল্লাহর পুত্র শাহ আলম (২৫) ও বড়হিত ইউনয়নের মধ্যপালা গ্রামের রেছত ভুঁইয়ার পুত্র এরশাদ মিয়া (৩৫)।
সরেজমিন শ্রমিক বাবুল ও মোহনের বাড়ি গিয়ে দেখা যায়, নিজ গ্রাম ও পার্শ্ববর্তী গ্রামের শত শত মানুষ সমবেদনা জানাতে বাড়িতে ভীর করছেন। পরিবার ও স্বজনদের আহাজারিতে গোটা পরিবেশ ভারী উঠছে।
নিহত তফাজ্জল হোসেনের পিতা চান মিয়া (৫৫)ও মোহনের পিতা নজরুল ইসলাম (৬০) জানান, গত মঙ্গলবার পাশের বাড়ির মকবুল হোসেনের পুত্র মোবারক হোসেন বাবুল (৩৫) শ্রীপুরজথর, গিরিধরপুর ও মধ্যপালা থেকে গাড়ি চালকসহ ৫জন শ্রমিককে খাগড়াছড়ির দীঘিনালা হয়ে সাজেক সীমান্ত সড়কের উদয়পুরে একটি ব্রিজের ফাইলিং কাজ করার জন্য ডাম্প ট্রাক যোগে নিয়ে যাচ্ছিল। ট্রাকটি নব্বই ডিগ্রি নামক এলাকায় পৌঁছলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাহাড়ের প্রায় ৪০০ ফুট গভীর খাদে পরে ট্রাকটি দুমড়ে মুচড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই তাঁরা মারা যান।
এ দুর্ঘটনায় ডাম্প ট্রাক চালক উপজেলার তারুন্দিয়া ইউনিয়নের গাবরবোয়ালী গ্রামের আবুল হাসেমের পুত্র লালন মিয়া (২১) গুরুতর আহত হয়। স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, অদক্ষ চালকের কারণে দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটেছে।
নিহত তফাজ্জল হোসেনের বোন শেফালী বেগম (৩৫) জানান, জামান ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশনের কাছ থেকে সাব লীজে ব্রিজের কাজ নেন শ্রীপুরজথর গ্রামের মকবুল হোসেনের পুত্র মোবারক হোসেন বাবুল। সে কাজেই যাচ্ছিল আমার ভাই। ঈদের ছুটির পর কাজে গিয়ে আজ লাশ হয়ে ফিরছে।
খাগড়াছড়ি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত সাব কন্ট্রাক্টার মোবারক হোসেনের সাথে মুটো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, জামান ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশনের সার্বিক সহায়তায় নিহতদের লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর ও আহতদের চিকিৎসার জন্য ঢাকা পুঙ্গু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এদিকে গ্রামের মানুষ ও নিহতের স্বজনরা লাশে অপেক্ষায় রয়েছেন।