রবিবার ● ৮ আগস্ট ২০২১
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » গণটিকা গণহয়রানীতে পরিণত হয়েছে : বাম গণতান্ত্রিক জোট
গণটিকা গণহয়রানীতে পরিণত হয়েছে : বাম গণতান্ত্রিক জোট
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি :: বাম গণতান্ত্রিক জোট কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের এক অনলাইন সভা গতকাল ৭ আগস্ট সকাল সাড়ে ১১টায় অনুষ্ঠিত হয়। বাম জোটের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক ও বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কমরেড বজলুর রশীদ ফিরোজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অনলাইনে যুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখেন বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক কমরেড খালেকুজ্জামান, সিপিবি’র সাধারণ সম্পাদক কমরেড শাহ আলম, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড সাইফুল হক, বাংলাদেশ ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক কমরেড মোশাররফ হোসেন নান্নু, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড মোশরেফা শিশু, বাসদ (মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য কমরেড মানস নন্দী, গণসংহতি আন্দোলনের সম্পাদক কমরেড মনিরুদ্দিন পাপ্পু, বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কমরেড রাজকুজ্জামান রতন, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরো সদস্য কমরেড আকবর খান, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির কমরেড শহীদুল ইসলাম সবুজ, ইউসিএলবি’র সম্পাদক কমরেড অধ্যাপক আব্দুস সাত্তার ও গণসংহতি আন্দোলনের সম্পাদক কমরেড বাচ্চু ভুইয়া।
সভার এক প্রস্তাবে দেশে করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুর ক্রমবর্ধমান উর্ধ্বগতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলা হয়, সরকারের পরিকল্পনাহীনতা, সমন্বয়হীনতা, আত্মম্ভরীতা ও দুর্নীতি-অনিয়মের ফলেই করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে এবং ক্রমেই নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়ছে। সভায় বলা হয়, সরকারের একেক মন্ত্রী একেক রকম বক্তব্য দিচ্ছে, সকালে এক সিদ্ধান্ত বিকেলে তা বদল করে আরেক সিদ্ধান্ত ঘোষণা করছে যা সরকারের চরম ব্যর্থতা ও অস্থিরতার প্রকাশ।
সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, করোনা কেউ একা বা একদেশের পক্ষে মোকাবিলা করা সম্ভব না, তা গত দেড় বছরে গোটা বিশ্ব বুঝলেও আমাদের দেশের ভোটডাকাতির অবৈধ সরকার যৌথভাবে সমন্বিত উদ্যোগে সকলকে যুক্ত করে করোনা মোকাবিলার পথে না গিয়ে সবকিছুর মতোই করোনা সংকটেও দলীয়করণ ও দলীয় সংকীর্ণতায় এককভাবে চলতে গিয়ে পরিস্থিতি লেজে গোবরে করে ফেলেছে। যার নিকৃষ্টতম শিকার হচ্ছে সাধারণ জনগণ।
সভার অপর এক প্রস্তাবে বলা হয়, বাম জোট ২০২০ সালের এপ্রিল থেকেই সর্বদলীয় সভা করে করোনাকে জাতীয় দুর্যোগ ঘোষণা করে মোকাবিলায় সমন্বিত জাতীয় উদ্যোগ গ্রহণের দাবি জানিয়েছিল, কিন্তু সরকার তাতে কর্ণপাত করেনি।
সভার আরেক প্রস্তাবে বলা হয়, টিকা নিয়েও নানা তুঘলকি কান্ড করছে। শুরুতেই সরকার শুধুমাত্র ভারতের উপর নির্ভরশীল হওয়ায় দেখা দেয় অনিশ্চয়তা। চীনকে সিনোভ্যাকের ৩য় ধাপের ট্রায়ালের অনুমতি দেয়া হয়নি। কিন্তু এখন সিনোভ্যাক থেকেই ৭ কোটি ডোজ টিকা কেনার কথা বলা হচ্ছে। যদি ঐ সময় সিনোভ্যাকের ট্রায়াল হতো এবং যৌথভাবে উৎপাদনে যেতো তাহলে এতো দিনে প্রায় সকলের টিকা নিশ্চিত করা যেতো। এখন আবার টিকা প্রদানেও নানা অনিয়ম দেখা যাচ্ছে। প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি, জনবল নিয়োগ ও সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার অভাবে এবং দলীয়করণের ফলে গণটিকা গণহয়রানীতে পরিণত হয়েছে।
আগামী ১৮ আগস্ট সারাদেশে সমাবেশ ও বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকায় ঐদিন সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হবে।