শিরোনাম:
●   রাজস্থলীতে পহেলা বৈশাখ উদযাপিত ●   রাঙামাটিতে একই সময় জুমার নামাজ আদায়ের আহ্বান ●   বর্ষবরণে ফটিকছড়িতে মেলা ●   আত্রাইয়ে বর্ণাঢ্য আয়োজনে বাংলা নববর্ষ উদযাপন ●   রাঙামাটিতে পিসিসিপি’র বৈশাখী শোভাযাত্রা ●   রাঙামাটিতে বাংলা নববর্ষের বর্ণিল শোভাযাত্রা ‎ ●   ঈশ্বরগঞ্জে পাওনা টাকা চাওয়ায় ৫জনকে পিটিয়ে আহত ●   ফটিকছড়িতে জৌলুস নেই হালখাতা অনুষ্ঠানের ●   রাউজানে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষ আহত-৭ ●   সুবিধাবঞ্চিত অর্ধ শতাধিক পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন রাঙামাটি জেলা পরিষদ সদস্য হাবীব ●   ফটিকছড়িতে ঐতিহ্যের বলী খেলা ●   ❝বিঝু (Bizu)❞ চাকমা জনগোষ্ঠীর প্রধান সামাজিক উৎসব ●   রাঙামাটির বিলাইছড়ির অত্যন্ত গহীন ও দুর্গম পার্বত্য অঞ্চলে সুপেয় পানির ব্যবস্থা করেদিলেন বিজিবি ●   আত্রাইয়ে প্রেমিক বিয়ে না করায় তরুণীর আত্মহত্যা ●   বৈসাবি উপলক্ষে সেনাবাহিনীর উপহার সামগ্রী বিতরণ ●   বিশেষ ক্ষমতা আইনে মেঘনার দণ্ডাদেশ অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য লজ্জার বিষয় ●   কাপ্তাই হ্রদে ফুল ভাসিয়ে রাঙামাটিতে ফুল বিঝু উদযাপন ●   কাপ্তাইয়ে ফুল ভাসিয়ে তনচংগ্যাদের ঐতিহ্যবাহী বিষু উৎসব শুরু ●   কুষ্টিয়াতে চাচার ধর্ষণের শিকার ১৩ বছরের শিশু নবজাতকের জন্ম দিল ●   রাঙ্গুনিয়া থানার ওসি’র সাথে রাঙ্গুনিয়া প্রেস ক্লাব নেতৃবৃন্দের মতবিনিময়
ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ২ বৈশাখ ১৪৩২

Daily Sonar Bangla
শনিবার ● ১২ এপ্রিল ২০২৫
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » ❝বিঝু (Bizu)❞ চাকমা জনগোষ্ঠীর প্রধান সামাজিক উৎসব
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » ❝বিঝু (Bizu)❞ চাকমা জনগোষ্ঠীর প্রধান সামাজিক উৎসব
১০১ বার পঠিত
শনিবার ● ১২ এপ্রিল ২০২৫
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

❝বিঝু (Bizu)❞ চাকমা জনগোষ্ঠীর প্রধান সামাজিক উৎসব

--- ‎‎চাকমা সম্প্রদায়ের প্রধান সামাজিক উৎসব হিসেবে পরিচিত “বিঝু”। যদিও জনগোষ্ঠী বা উপ-সম্প্রদায় ভেদে উৎসবটির নাম কিছুটা ভিন্ন হয়ে থাকে, তবুও চাকমা জনগোষ্ঠীর কাছে এটি ‘বিঝু’ নামেই অধিক পরিচিত।
‎‎এই উৎসবটি প্রতিবছর ইংরেজি বর্ষপঞ্জিকা অনুযায়ী ১২, ১৩ ও ১৪ এপ্রিল উদযাপিত হয়ে থাকে তিনটি ধাপে:
‎ফুল বিঝু, মূল বিঝু ও গোজ্জেপোজ্জে (নববর্ষ)।
‎‎১২ এপ্রিল : ফুল বিঝু
‎ফুল বিঝু মূলত শুরু হয় ১১ তারিখ রাত ১২টা থেকে। তখন শিশু-কিশোররা দল বেঁধে ফুল সংগ্রহে বেরিয়ে পড়ে।
‎সকালে সংগৃহীত ফুলগুলো দিয়ে বুদ্ধ পূজার জন্য কিছু আলাদা করে রাখা হয়। বাকি ফুল দিয়ে ঘরদোর, বাড়ির আঙিনা সাজানো হয়।
‎কিছু ফুল কলা পাতায় সাজিয়ে নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হয়, যাতে পুরোনো বছরের দুঃখ-দুর্দশা ভেসে যায় এবং নতুন বছর নিয়ে আসুক সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি—এই প্রার্থনা করা হয় জলের দেবীর উদ্দেশ্যে।
‎এছাড়া কিছু ফুল দিয়ে গৃহপালিত পশু-পাখিকে সাজানো হয়।
‎‎এরপর সবাই নদীতে ফুল ভাসিয়ে প্রার্থনা করে, স্নান শেষে পাড়ার বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের কিশোর-কিশোরীরা কলসি নিয়ে গোসল করিয়ে আশীর্বাদ গ্রহণ করে।
‎এই ভাবেই পালিত হয় চাকমা সংস্কৃতির অন্যতম পবিত্র পর্ব ফুল বিঝু।
‎‎১৩ এপ্রিল : মূল বিঝু
‎এই দিনটি আনন্দ, উৎসব, নাচ-গান আর ভোজের দিন।
‎সকালে মা-বোনেরা ব্যস্ত হয়ে পড়েন রান্নার প্রস্তুতিতে।
‎‎মূল আকর্ষণ থাকে “পাজোন তোন” নামের ঐতিহ্যবাহী সবজি নির্ভর তরকারিতে।
‎এই পদটি তৈরি হয় প্রায় ৩২-৩৩ ধরনের সবজি একত্রে রান্না করে।
‎‎শিশুরা সকাল সকাল গোসল সেরে নতুন পোশাক পরে বেড়িয়ে পড়ে “বিঝু খাওয়ার” আনন্দে।
‎বাচ্চাদের গোসল করাতে উৎসাহ দিতে বলা হয়—
‎”বিঝুগুলো বো হন্না হন্না হেব গোই, হেলে এজ ছড়াত যেই।”
‎অর্থাৎ, বিঝুর খাবার কে কে খাবে, খেতে হলে আগে গোসল সেরে চলো।
‎ ১৪ এপ্রিল : গোজ্জেপোজ্জে (বাংলা নববর্ষ)
‎এই দিনটি বাংলা বছরের প্রথম দিন, যেটিকে চাকমা জনগোষ্ঠী গোজ্জেপোজ্জে নামে অভিহিত করে।
‎সকাল বেলায় সবাই বিহারে গিয়ে বুদ্ধ পূজা, পিণ্ডদান এবং ভান্তেদের দেশনা শ্রবণ করেন।
‎পূণ্যানুষ্ঠান শেষে সবাই ঘরে ফিরে আসে এবং রান্নাবান্না করে আবারও উৎসবের আমেজে নাচে-গানে দিনটি উদযাপন করেন।
‎‎এইভাবেই ফুল বিঝু, মূল বিঝু এবং গোজ্জেপোজ্জে—এই তিন পর্বে চাকমা জনগোষ্ঠীর প্রধান সামাজিক উৎসব বিঝু উদযাপিত হয়।
‎এটি কেবল একটি উৎসব নয়, বরং এক সামাজিক ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও মূল্যবোধের বহিঃপ্রকাশ।

‎‎সবাইকে বিঝুর শুভেচ্ছা,
‎Happy Phool Bizu!
‎প্রিয়তোষ চাকমা





আর্কাইভ