রবিবার ● ৫ সেপ্টেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » জাতীয় » সরকারের বেসামাল তৎপরতা বীর শহীদ ও মুক্তি যোদ্ধাদের অবমাননার সামিল-সাইফুল হক
সরকারের বেসামাল তৎপরতা বীর শহীদ ও মুক্তি যোদ্ধাদের অবমাননার সামিল-সাইফুল হক
আজ বিকালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন পরিষদের সভায় বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেছেন, সুবর্ণজয়ন্তীর বছরে মুক্তিযুদ্ধ, বীর মুক্তিআজ বিকালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন পরিষদের সভায় বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ যোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে সরকারের নীতিনির্ধারকেরা ক্ষোভ, আক্রোশ ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে যেসব কথা বলছেন তা কেবল মুক্তিযুদ্ধের গৌরব ও মর্যাদাকে কালিমালিপ্ত করছে।৫০ বছর পর সরকারের এসব বেসামাল তৎপরতা আমাদের বীর শহীদ ও মুক্তি যোদ্ধাদের অবমাননার সামিল।মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত চেতনার অনুসারী কেউই এরকম দায়িত্বহীন আচরণ করতে পারে না।অসংলগ্ন এসব কথাবার্তায় মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীরাই কেবল উৎসাহীত হবে।
তিনি বলেন, আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ইতিমধ্যে লিপিবদ্ধ হয়েছে ; এখানে অসম্পূর্ণতা থাকতে পারে, কিন্তু দলীয় রাজনৈতিক সুবিধালাভের বিবেচনায় তাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার কোন অবকাশ নেই।তিনি বলেন, দলীয় নেতাদের কথাবার্তা যদি ইতিহাস হোত তাহলে ইতিহাস বলে কিছু থাকতো না; সেক্ষেত্রে ইতিহাসের পরিবর্তে মানুষকে রুপকথা পড়তে হোত।তিনি রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার এই অপকৌশল থেকে সরে আসার জন্য সরকার ও সরকারি দলের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন,৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ আমাদের ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের মধ্য দিয়ে দেশের রাজনৈতিক দিশাও ঠিক করে দেয়া হয়েছিল। কিন্তু গত ৫০ বছরে দেশকে সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায় বিচারের বিপরীতে ঠেলে দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, আরেকটি মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে তার প্রকৃত মুক্তির দিশায় নিয়ে আসতে হবে।
সেগুনবাগিচায় সংহতি মিলনায়তনে সভার সভাপতি হিসাবে তিনি উপরোক্ত বক্তব্য রাখেন।
সভায় আরও বক্তব্য রাখেনউদযাপন পরিষদের সদস্যসচিব ইফতেখার আহমেদ বাবু, সৈয়দ হারুন রশীদ , আকবর খান , এপোলো জামালী,কামরুজ্জামান ফিরোজ ও শফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
সভায় সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন পরিষদ এর আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত কর্মসূচি চূড়ান্ত করা হয়।