
সোমবার ● ২১ এপ্রিল ২০২৫
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » ধর্ষণের বিরুদ্ধে গর্জে উঠল রাঙামাটির শিক্ষার্থী-নাগরিক সমাজ
ধর্ষণের বিরুদ্ধে গর্জে উঠল রাঙামাটির শিক্ষার্থী-নাগরিক সমাজ
স্টাফ রিপোর্টার :: আজ ২১ এপ্রিল সোমবার রাঙামাটি শহরের বনরূপা এলাকায় “কাউখালীর ধর্ষক ফাহিম ও রিমন চাকমা”এর সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের দাবিতে এক জোরালো মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এই কর্মসূচির আয়োজক ছিলো - সর্বস্তরের সচেতন শিক্ষার্থী ও নাগরিক সমাজ, রাঙামাটি।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, মো. ওয়াহিদুজ্জামান রোমান, শিক্ষার্থী, রাঙামাটি সরকারি কলেজ “ধর্ষণ একটি সামাজিক ব্যাধি। এই ব্যাধির শেকড় উপড়ে ফেলতে হবে। আজকের ছাত্রসমাজ ঘুমিয়ে নেই, আমরা জেগে উঠেছি।”
সায়েদা ইসলাম সাদিয়া, শিক্ষার্থী, আল-আমিন ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসা “নারীর প্রতি সহিংসতার বিরুদ্ধে আমাদের সবাইকে সোচ্চার হতে হবে। আমি একটি নিরাপদ সমাজ চাই।”
আব্দুল্লাহ আল মামুন, শিক্ষক, আল-আমিন ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসা “আমরা এমন একটি বাংলাদেশ চাই যেখানে ধর্ষণ নামক অভিশাপ থাকবে না। কঠোর শাস্তিই এর একমাত্র প্রতিকার।
আবরাজ সালেকিন রাফি, শিক্ষার্থী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় “আমরা শুধু বিচার নয়, দ্রুত বিচার চাই। বিচারহীনতার সংস্কৃতি বন্ধ হোক।”
মো. ইমাম হোছাইন ইমু, শিক্ষার্থী, রাঙামাটি সরকারি কলেজ: “এই আন্দোলন শুধু রাঙামাটির নয়, সারাদেশের প্রতিধ্বনি। ‘ধর্ষণের বিরুদ্ধে ডাইরেক্ট অ্যাকশন’ এখন সময়ের দাবি।”
কামাল উদ্দীন, সমাজসেবক ও ছাত্র উপদেষ্টা “জাত, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে ধর্ষক যেন ঘৃণ্য অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত হয়, এটাই হোক আমাদের শপথ।”
মো. সাউবান, শিক্ষার্থী, রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় “ধর্ষণ একটি ব্যক্তি নয়, পুরো সমাজকে কলঙ্কিত করে। আমরা যারা শিক্ষার্থী, আমরা এখন আর চুপ করে বসে থাকব না। আমাদের মা-বোনদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে ধর্ষকদের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। রাঙামাটি আজ একটি প্রতিবাদের নাম।”
মো. জুনায়দুল ইসলাম, সমাজ সচেতন নাগরিক “যেখানে অন্যায়, সেখানেই প্রতিরোধ—এই নীতি নিয়ে আজ আমরা এখানে একত্র হয়েছি। ধর্ষণ শুধু একজন নারীকে নয়, পুরো জাতিকে আহত করে। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না দিলে সমাজে এ অপরাধ আরও বাড়বে। আমরা চাই এই রক্তচক্ষু ভেদ করে ন্যায়ের আলো আসুক।”
সমাবেশে বিভিন্ন প্রতিবাদী স্লোগান ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে, যেমন:
“সারাবাংলায় খবর দে, ধর্ষকদের কবর দে”
“একটা একটা ধর্ষক ধর, ধইরা ধইরা জবাই কর”
“ফাঁসি ফাঁসি ফাঁসি চাই, ধর্ষকের ফাঁসি চাই”
“আমরা সোনার বাংলায়, ধর্ষকের ঠাঁই নাই”
“No means No, Yes means Yes”
“আমার বোন ধর্ষিতা কেন? প্রশাসন জবাব চাই”
কর্মসূচির মাধ্যমে একটি স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয় -সমাজে ধর্ষকের কোনো স্থান নেই। দোষীদের কঠোর শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন চলবে।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন মো. জালাল উদ্দীন।