শনিবার ● ২ অক্টোবর ২০২১
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » ইপিজেড নির্মাণ না করার দাবি সাঁওতালদের
ইপিজেড নির্মাণ না করার দাবি সাঁওতালদের
গাইবান্ধা প্রতিনিধি :: বেপজা সাহেবগঞ্জ বাগদা ফার্ম এলাকায় ইপিজেড স্থাপনের উদ্যোগ নেয়। কিন্তু স্থানীয় সাঁওতালরা এখানে ইপিজেড না করার জন্য বিক্ষোভ সমাবেশ করে। এই কর্মসূচিতে দুই শতাধিক সাঁওতাল অংশ নেন। ভিন্নমত উপজেলা চেয়ারম্যান ও পৌর মেয়রের।
সোমবার দুপুরে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের মহিমাগঞ্জ রংপুর চিনিকলের আওতাধীন সাহেবগঞ্জ বাগদা ফার্ম এলাকায় রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা (ইপিজেড) নির্মাণ না করার দাবিতে উপজেলার কাটামোড় এলাকায় বিক্ষোভ সমাবেশ করেন সাঁওতালরা। গোবিন্দগঞ্জের মাদারপুর ও জয়পুর (সাঁওতাল–অধ্যুষিত) গ্রাম থেকে মিছিল নিয়ে কাটামোড় এলাকায় সমবেত হয়ে সমাবেশ করেন সাঁওতালরা। এসময় তাঁরা লাঠি ও তির–ধনুক হাতে নানা স্লোগান দেন।
সমাবেশ চলাকালে বক্তব্য রাখেন সাহেবগঞ্জ বাগদা ফার্ম ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটির সভাপতি ফিলিমন বাস্কে। তিনি বলেন, সাহেবগঞ্জ বাগদা র্ফাম এলাকায় সাঁওতালদের পৈতৃক জমিতে ইপিজেড নির্মাণের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে সরকার। এখানে ইপিজেড নির্মাণ করা হলে সাঁওতালদের বাপ-দাদার জমি থাকবে না। তাই এখানে ইপিজেড নির্মাণের পরিকল্পনা বন্ধ করতে হবে। সরকার এখানে ইপিজেড নির্মাণের পরিকল্পনা বাতিল না করা পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
অন্যদিকে ইপিজেড স্থাপনের দাবিতে গোবিন্দগঞ্জ পৌর মেয়র মুকিতুর রহমান রাফি বলেন, একশ্রেনির মানুষ এই নিরিহ সাঁওতালদের শতশত শতক জমি পাইয়ে দেয়ার ভূয়া প্রলোভন দেখিয়ে অন্যায় ভাবে রাষ্ট্রের মুখোমুখি দার করিয়েছে। আমরা চাই এখানে ইপিজেড হোক গাইবান্ধার মানুষের অর্থনৈতিক উন্নয়ন হোক।
এবিষয়ে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ প্রধান বলেন, সাঁওতালদের বাপ-দাদার এই সম্পত্তি একসময় ছিলো। ১৯৫৪ সালে চিনিকলের মোট সম্পত্তির ৩১ ভাগ জমি আদিবাসীদের এবং ৬৯ ভাগ বাঙালীদেরকাছ থেকে অধিগ্রহণ করা হয়। আদিবাসীরা তাদের ন্যায্য মূল্য পাওয়ার পরে ১৯৫৭ সালে চিনিকল চালু হয়।
তিনি আরও বলেন, মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর উদ্দ্যোগে যেহতু শিল্প মন্ত্রণালয়েরর কাছ থেকে আন্তমন্ত্রলয়ে বৈঠক করে বেপজাকে এই জমিটি দেয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। খুব দ্রুত সম্ভব শিল্প মন্ত্রনালয় বেপজাকে হস্তান্তরও করবে। এখানে আদিবাসী বা যারা জমির মালিকানা দাবি করছে আসলে জমির কাগজের বাহিরে কথা বলার আর কোন সুযোগ নেই। সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে এই এলাকার যারা আদিবাসী তাদের যোগ্যতার ভিত্তিতে ইপিজেটে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে তারপরও তিনি মনে করেন এখানে ইপিজেডটি নির্মিত হলে শুধু গোবিন্দগঞ্জ তথা গাইবান্ধার মানুষের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি গোটা উত্তরাঞ্চল অর্থনৈতিক এবং এই অঞ্চলের উন্নয়ন বয়ে আনবে।