সোমবার ● ১৮ অক্টোবর ২০২১
প্রথম পাতা » অর্থনীতি » সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম ভেঙে দাও, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ কর
সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম ভেঙে দাও, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ কর
বাম গণতান্ত্রিক জোট কেন্দ্রীয় পরচালনা পরিষদের উদ্যোগে আজ ১৯ অক্টোবর ২০২১ দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ বিকেল সাড়ে ৪টায় পল্টন মোড়ে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
বাম গণতান্ত্রিক জোটের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক ও বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কমরেড বজলুর রশীদ ফিরোজ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সিপিবির সভাপতি কমরেড মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড সাইফুল হক। সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন সিপিবির সাধারণ সম্পাদক কমরেড শাহ আলম, বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কমরেড রাজেকুজ্জামান রতন, ইউসিএলবি’র সাধারণ সম্পাদক কমরেড মোশররফ হোসেন নান্নু, অধ্যাপক কমরেড আব্দুস সাত্তার, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড মোশরেফা মিশু, শহীদুল ইসলাম সবুজ, গণসংহতি আন্দোলনের বাচ্চু ভূইয়া, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির কমরেড আকবর খান, সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের কমরেড আব্দুল আলী, ওয়ার্কার্স পার্টি (মার্কসবাদী)’র কমরেড বিধান রায় প্রমুখ।
সভা পরিচালনা করেন বাসদ (মার্কসবাদী) নেতা কমরেড মানস নন্দী।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, চাল, ডাল, তেল, পিয়াজ, চিনি, সবজি, এলপিজিসহ সকল নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম হু হু করে বেড়ে চলেছে, জনজীবনে নাভিশ্বাস উঠেছে। সরকার দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে। একদিকে সরকার বলছে উদ্বৃত্ত কিন্তু বাজারে দাম বাড়ছে। ভারত, থাইল্যান্ডসহ আন্তর্জাতিক বাজারে চালের দাম ১৫% কমলেও বাংলাদেশে এ সময়ে চালের দাম ৩১% বৃদ্ধি পেয়েছে। এর সাথে তেল, পিয়াজ, চিনির দামও বাড়ছে পাল্লা দিয়ে। সরকার বলছে মজুদ পর্যাপ্ত আছে তারপরও দাম বৃদ্ধির কারণ কি? এর কোন জবাব নাই। অন্যদিকে এলপিজি’র দাম ৩ মাস আগেই ছিল ৮৫৯ টাকা এখন তা বেড়ে হয়েছে ১২৯২ টাকা। এ পরিস্থিতিতে জনগণ জীবন-জীবিকা রক্ষায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকার বাজারে জিনিস পত্রের দাম নিয়ন্ত্রণে শুধু ব্যর্থই নয় বরং দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদেরকে পৃষ্ঠপোষকতা করছে। ফলে জনগণ সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে।
নেতৃবৃন্দ দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ ও জনগণের ক্রয় ক্ষমতায় ক্ষমতার মধ্যে আনা, অবিলম্বে বাজার সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম বন্ধ, গ্রাম-শহরের সর্বত্র পর্যাপ্ত ওএমএস ও রেশনিং চালু, গণবণ্টন ব্যবস্থা চালু, বাজার মনিটরিং এর জন্য গণতদারকি ব্যবস্থা চালুসহ কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানান।
নেতৃবৃন্দ বলেন, বর্তমান সরকার ভোট ডাকাতির মাধ্যমে ক্ষমতায় আসার কারণে জনগণের প্রতি তার কোন দায় নাই। ফলে দুর্নীতি, লুটপাট, দ্রব্যমূল্যের বৃদ্ধি রোধ, বাজার সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম বন্ধ, ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনের বিরুদ্ধে দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য আহ্বান জানান।