সোমবার ● ৪ জুলাই ২০২২
প্রথম পাতা » এগিয়ে যাও বাংলাদেশ » ঝিনাইদহে দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উদ্বোধন
ঝিনাইদহে দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উদ্বোধন
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহে দুর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উদ্বোধন করা হয়েছে। রোববার বিকেলে শহরের ডিসিকোর্ট এলাকায় এ কার্যালয়ের উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধন উপলক্ষে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। জেলা প্রশাসক মনিরা বেগম’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন দুর্নীতি দমন কমিশন’র মহাপরিচালক (আইসিটি ও প্রশিক্ষণ) এ কে এম সোহেল। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, দুর্নীতি দমন কমিশনের খুলনা বিভাগীয় পরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদ, ঝিনাইদহের পুলিশ সুপার মুনতাসিরুল ইসলাম, জেলা পরিষদের সচিব রেজাই রাফিন সরকার। এসময় প্রধান অতিথি এ কে এম সোহেল তার বক্তব্যে বলেন, ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করবেন না। সঠিক তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করবেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের কার্যক্রম আরো গতিশীল করার লক্ষ্যে জেলায় দুদকের কার্যালয় উদ্বোধন করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, জেলা থেকে দুর্নীতি দুর করতে সকলের ঐক্যবন্ধ প্রচেষ্টা প্রয়োজন। তাই যার যার অবস্থান থেকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে রুখে দাড়াতে হবে। তিনি বলেন, শুধু আর্থিক উন্নতি হলে চলবে না, আমাদের নৈতিক উন্নতিও ঘটাতে হবে। কোনো জাতি যদি শুধু আর্থিক উন্নতি করে তাহলে সেই উন্নতি টেকসই হয় না। টেকসই উন্নতি করতে হলে, আর্থিক উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে নৈতিক উন্নতি ঘটাতে হবে। এজন্য সবার আগে আমাদের সৎ মানুষ হতে হবে। সব ধরনের দুর্নীতিকে না বলতে হবে।
হরিণাকুন্ডু ক্লিনিকে ঘুমের মধ্যে নবজাতকের মৃত্যু, স্বজনদের অভিযোগ ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের অবহেলায় মৃত্যু
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডুতে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের অবহেলায় এক নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। গত ১ জুলাই শহরের হাসপাতাল মোড় এলাকার ভাই ভাই ক্লিনিকে এ ঘটনা ঘটে। জানা যায়, ৩০জুন রুপালী খাতুন (২৫) নামে উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের এক নারী ওই ক্লিনিকে ভর্তি হন। রাত নয়টার দিকে কালিগঞ্জ হাসপাতালের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন তাঁর সিজারিয়ান অপারেশন করেন। এ সময় ওই নারীর একটি পুত্র সন্তান জন্ম নেয়। অপারেশনের পর নবজাতক শিশু ও মা দু‘জনেই সুস্থ ছিল। স্বজনদের অভিযোগ, রাতে নবজাতককে অক্সিজেন দেয় ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ। পরে সেটি খুলে ফেলে মায়ের বুকের দুধ খাওয়াতে বলে। দুধ খাওয়ানোর পর নবজাতক ঘুমিয়ে পড়ে। পরদিন ভোরে ঘুমন্ত অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। নবজাতকের বাবা নিয়াজি জানান, অপারেশনের পর সুস্থ সন্তান জন্ম নেয়। তখন সন্তান ও তাঁর মা দুজনেই সুস্থ ছিল। তাহলে কীভাবে ঘুমের মধ্যে আমার শিশু বাচ্চা মারা গেল। নিশ্চয় কারও না কারও অবহেলা ছিল। ওই ক্লিনিকের মালিক আসমত আলীর কাছে জানতে চাইলে প্রথমে শিশুটি মায়ের গর্ভে মারা গেছে বলে দাবি করেন। সুস্থ সন্তানের জন্ম হয়েছে এমন কথা ডাক্তার জানিয়েছেন জানালে আসমত আলী বিষয়টি এড়িয়ে যান। স্থানীয়দের অভিযোগ, বিষয়টি নিয়ে কোনো অভিযোগ না দিতে নানাভাবে ওই নবজাতকের বাবাকে হুমকি দিচ্ছেন ক্লিনিক মালিক আসমত। রুবেল নামে স্থানীয় এক যুবক জানান, ঘটনাটি কাউকে না বলতে ক্লিনিক মালিক নবজাতকের বাবাকে হুমকি দিচ্ছেন। এর আগেও এই ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের ভুলে কয়েকজন প্রসূতি ও নবজাতক মারা গেছে। অনেকবার ক্লিনিকটি বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এই যুবকের দাবি, মানহীন এই ক্লিনিকটিতে প্রায়ই দূর্ঘটনা ঘটে। সাময়িক এটি বন্ধ থাকে। কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করে ফের চালু করা হয়। চিকিৎসক আলমগীর হোসেন বলেন, আমি অপারেশন করার পর নবজাতক ও মা দু‘জনেই সুস্থ ছিল। শুনেছি ঘুমের মধ্যে মারা গেছে। কী সমস্যা হয়েছিল এটা আমি জানি না। ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন শুভ্রা রাণী দেবনাথ বলেন, কোনোভাবেই নবজাতকের মৃত্যু কাম্য নয়। এ ঘটনায় তদন্ত করে যারই অবহেলা পাওয়া যাবে তার বিরুদ্ধেই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঝিনাইদহ নিবাসী ব্যবসায়ীকে মালয়েশিয়ায় কুপিয়ে হত্যা
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহ শহরের আদর্শপাড়ার ব্যবসায়ী নুরে আলম মানিক (৪৮) মালয়েশিয়ায় খুন হয়েছেন। রোববার সকালে নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। মানিক ঝিনাইদহ শহরের আদর্শপাড়া কচাতলা এলাকার আবুল হোসেনের বড় ছেলে। পারিবারিক সুত্রে জানা গেছে, রোববার সকাল ৭টার দিকে মানিক কুয়ালালামপুর শহরে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলেন। এ সময় অজ্ঞাত এক দুবৃর্ত্ত মানিককে দোকানের মধ্যে বড় একটি ধারালো ছুরি দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। মানিক আঘাত প্রাপ্ত হওয়ার পরও লোকটির পিছু নিয়ে বাইরে বেরিয়ে আসেন। এরপর দোকানের সামনে অজ্ঞাত দুর্বৃত্ত তাকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়। দোকানের ভিডিও ফুটেজে দেখা যাচ্ছে মানিক দোকানের মধ্যে কালো গেঞ্জি পরিহিত এক ব্যক্তির সঙ্গে কথা শেষ করে দোকানের সামনে যাচ্ছেন। কিছুক্ষন পর লাল গেঞ্জি পরিহিত এক ব্যক্তি বড় ছুরি দিয়ে মানিককে কোপাতে কোপাতে দোকানের মধ্যে নিয়ে আসছেন। মানিক একটি চেয়ার তুলে নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা করছেন। মানিকের ডান বাহু কেটে ফিনকি দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে। এরপরও তিনি ক্ষত স্থানটি একটি কালো পলিথিন কাগজ দিয়ে ধরে হামলাকারীর পিছু নিয়ে বাইরে চলে গেলেন। এরপর তার লাল রংয়ের প্রাইভেট কারের পাশে মানিকের মৃতদেহটি পড়ে থাকতে দেখা গেছে। মানিকের ছোট ভাই মাসুদ করিম জানান, তার ভাই প্রায় ১২/১৩ বছর ধরে মালয়েশিয়ায় ব্যবসা করছেন। প্রতি বছর তিনি বাড়িতে এসে স্ত্রী ও কন্যাসহ পরিবারকে দেখে যেতেন। কি কারণে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ঢুকে হামলা চালিয়ে মানিককে হত্যা করা হয়েছে তা পরিবারের সদস্যরা কেউ বলতে পারছে না। এদিকে মানিকের হত্যার খবর ঝিনাইদহে পৌছালে তার পরিবার ও বন্ধু মহলে শোকের ছায়া নেমে আসে। মানিকের পরিবারের সদস্যরা সরকারের কাছে মানিকের মৃত দেহ দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনার দাবী জানিয়েছেন।
কালীগঞ্জে মহাসড়কে চালককে কুপিয়ে ডাকাতির ঘটনায় একাধিক মামলার আসামি দুই ডাকাত আটক, গাছ কাটা করাত ও হাসুয়া উদ্ধার
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে মহাসড়কে চালককে কুপিয়ে ডাকাতির ঘটনায় জড়িত দুই ডাকাত সদস্যকে আটক সহ তাদের ব্যাবহৃত গাছ কাটা করাত ও হাসুয়া উদ্ধার করেছে পুলিশ। আটককৃতরা হল-শৈলকুপা উপজেলার হাজামপাড়া গ্রামের বিল্লাল হোসেন (৪৫) ও একই উপজেলার সাতগাছী গ্রামের আলম হোসেন (৪৫)। তাদেরকে আটকের পর রোববার দুপুরে কালীগঞ্জ থানাতে এক প্রেস ব্রিফিং করেন ঝিনাইদহ জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আবুল বাশার। এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন কালীগঞ্জ থানার অফিসার্স ইনচার্জ আব্দুর রহিম মোল্ল্যা ও ওসি (তদন্ত) নজরুল ইসলাম। প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, গত ২১ জুন ভোর রাতে কালীগঞ্জে যশোর -ঝিনাইদহ মহাসড়কের পিরোজপুর নামক স্থানে সড়কে গাছ ফেলে কয়েকটি গাড়ীতে ডাকাতি হয়। সে সময়ে ডাকাতদল সিরাজুল ইসলাম (৪৪) নামে এক চালক সদস্যকে হাসুয়া দিয়ে জখমের পর ৪০ হাজার টাকা লুট করে। এ ঘটনায় ওই ট্রাকের মালিক তরুন সাহা কালীগঞ্জ থানাতে মামলা দায়ের করায় তৎপর হয়ে উঠে পুলিশ। ওই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কালীগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) নজরুল ইসলাম জানান, তাদের দীর্ঘ প্রচেষ্টায় পুলিশী অভিযানের মাধ্যমে গত ১ জুলাই বিকালে ডাকাত সদস্য শৈলকুপার হাজামপাড়ার বিল্লাল হোসেনকে আটক করা হয়। এরপর তারই স্বীকারোক্তিতে পরদিন একই উপজেলার সাতগাছী গ্রামের আলম হোসেনকে আটক করে। তিনি জানান, আটককৃতরা ওই ডাকাতি ঘটনায় তাদের ৪ জনের সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করেছে। তারা ওইদিন ভোরে ডাকাতি শেষে সড়কের পাশেই একটি পাট ক্ষেতে লুকিয়ে ছিল। সকাল হলে নসিমন যোগে কালীগঞ্জ শহরে এসে শৈলকুপাতে চলে যায়। ওসি (তদন্ত) আরো জানান, ডাকাত সদস্য বিল্লালকে আটকের পর আদালতে সোপর্দ্দ করলে সে ওই ডাকাতির কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী প্রদান করেছে। পুলিশ জানায়, আটক ওই দুই জনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ৪ টি ডাকাতির মামলা আছে। বাকী পলাতক অন্য ডাকাত সদস্যদের আটকে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।উল্লেখ্য, আটককৃতরা ২০১৮ সালে কুষ্টিয়া মহাসড়কের শেখপাড়াতে ইসলামী বিশ্ব বিদ্যালয়ের ভিসির গাড়ীতে ডাকাতির ঘটনায় সংশ্লিষ্টার কথাও স্বীকার করেছে বলে জানায় পুলিশ।
প্রভাষক উৎপল কুমার সরকার হত্যা ও সারাদেশে শিক্ষক নির্যাতনের প্রতিবাদে ঝিনাইদহে মানববন্ধন
ঝিনাইদহ :: সাভারে প্রভাষক উৎপল কুমার সরকার হত্যা ও সারাদেশে শিক্ষক নির্যাতনের প্রতিবাদে ঝিনাইদহে মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়েছে। শনিবার দুপুরে শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি জেলা শাখার আয়োজনে এ কর্মসূচী পালিত হয়। এতে ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দসহ শিক্ষকরা বক্তব্য রাখেন। কর্মসূচীতে শিক্ষক নেতা আমিনুর রহমান টুকু, আব্দুল মমিন, অরবিন্দু বিশ^াস, ড. মাহবুবুর রহমানসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন। বক্তারা, সাভারের আশুলিয়ার হাজী ইউনুস আলী স্কুল এন্ড কলেজের প্রভাষক উৎপল কুমার সরকার হত্যার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবী জানান। সেই সাথে সারাদেশে শিক্ষক নির্যাতনের প্রতিবাদ জানান।