মঙ্গলবার ● ৫ জুলাই ২০২২
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » এস আই শহিদুলের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক মামলা করানোর অভিযোগ
এস আই শহিদুলের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক মামলা করানোর অভিযোগ
গাজী মো.গিয়াস উদ্দিন বশির,ঝালকাঠি :: কাঠাঁলিয়া উপজেলার বলতলা দোগনা গ্রামের সোহাগ হাওলাদার এর কণ্যা মোসামৎ মানসুরা আক্তার ঝালকাঠি রিপের্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলন করে বলেন, একই গ্রামের আলতাফ হোসেন (৩৫) এর সাথে তাদের পারিবারিক ঘটনা নিয়ে বিরোধের সৃষ্টি হয়। এর ফলে গত ৩ জুন ২০২২ তারিখ তার সাথে বাবা ও ভাইয়ের রাস্তায় বসে মারামারি হয়। বিষয়টি নিয়ে উভয় পক্ষ মিমাংসার উদ্যোগ নেয়। দুই পক্ষের সমর্থনে যখন বিষয়টি নিস্পত্তি করা হবে, তখন পুলিশ খবর পেয়ে আলতাফ হোসেনের বাবা মোসলেম হোসেনকে কাঠালিয়া থানায় ডেকে নেয়। তারপর তাকে মামলা করতে বলায় তিনি কাগজ স্বাক্ষর না দিয়ে মামলা করবেনা জানিয়ে বাড়িতে চলে আসেন। এত ক্ষিপ্ত হয়ে কাঠালিয়া থানার দারোগা শহিদুল ইসলাম সাথে পুলিশ ফোর্স নিয়ে গত ২ জুলাই রাত সাড়ে ১২ টার দিকে আমাদের বাড়িতে গিয়ে দরজা ও বেড়া ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে। এ সময় আমার দাদী জামিলা বেগমকে গালাগাল করে ভয়ভীতি দেখিয়ে তারা ঐ রাত ফিরে যায়। এরপর গত ৩ জুলাই ২০২২ তারিখ বেলা ১১ টার দিকে আমার পিতা সোহাগ হাওলাদার ও ভাই আলআমিন কে কাঠালিয়ার বলতলা দুলামিয়া খালে মাছ ধরার সময় তাদের ডেকে এনে আটক করে দারোগা শহিদুল ইসলাম। এরপর আলতাফ এর স্ত্রী মনিজা বেগমকে থানায় ডেকে নিয়ে জোরপূর্বক আমার বাবা ও চাচাত ভাইকে আসামী করে মামলা করায়।
এর আগে আমার বাবা ও চাচাত ভাইকে থানায় ধরে নিয়ে মারধর করে ৪ জুলাই ঝালকাঠি আদালতে পাঠায় দারোগা সাহেব।
মামলা না করা সত্বেও আমার বাবা ও চাচাত ভাইকে আটক করে বাদীকে দিয়ে জোরপূর্বক মামলা করে তাদের মারধর করার ঘটনাটি আমার মা মাকসুদা বেগম বরিশাল রেঞ্জর ডিআইজি বরাবর লিখিত ভাবে অবহিত করছে। গতকাল ৪ জুলাই সকাল ১১ টার দিকে এ সংবাদ সম্মলন অনুষ্ঠিত হয়। এসময় মানসুরা আক্তারর সাথে তার স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে এস আই শহিদুল ইসলাম জানান,আসামিরা বাদি পক্ষের দুই জনের পা ভেঙ্গে দিয়েছে। তারা বরিশালে চিকিৎসাধীন আছে ও বাদির অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা হয়েছে। ওসি স্যার মামলাটি তদন্তের জন্য আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন,আমি তদন্ত করে সত্যতা পেয়েছি তাই তাদের আটক করেছি। আসামিদের ঘরের দরজা ভাংচুরের বিষটি তিনি জানেন না। তার বিরুদ্ধে ডিআইজি স্যারের কাছে অভিযোগ দিয়েছেন সেও অবগত আছেন।