শনিবার ● ৯ জুলাই ২০২২
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » ভাসানচর থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় মিরসরাইয়ে ২২ রোহিঙ্গা আটক
ভাসানচর থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় মিরসরাইয়ে ২২ রোহিঙ্গা আটক
মিরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি :: মিরসরাইয়ে একই দিনে দুই ধাপে ২২ রোহিঙ্গা’কে আটক করা হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার ৮ জুলাই বেলা আড়াইটার দিকে ইকোনোমিক জোনের সুপারডেক উপকূলীয় অঞ্চলে প্রথম ধাপে ১৬ জন রোহিঙ্গাকে আটক করেছে স্থানীয় বাসিন্দা ও আনসার সদস্যরা।
আটককৃতরা হলেন জাফর আহম্মদের স্ত্রী হালিমা খাতুন (২৭), তার পুত্র মিজান (৮ মাস), মো. সালামের মেয়ে ফাতেমা (১৩), মো. আক্তারের মেয়ে মোস্তাকিমা (২০), আবু বক্করের স্ত্রী সানজিদা (২১), মো. মাহমুদের পুত্র আবু বক্কর (২৫), আবু বক্করের মেয়ে ইসমত আরা (৩), শওকত আরা (৫), আহমদ খানের পুত্র সালামত খান (২১), রশিদের পুত্র শওকত উল্যাহ (২২), শওকত উল্যাহ পুত্র ইমান শরীফ (৬ মাস), হাসান শরীফ (৬), মাহমুদের স্ত্রী দজুমা খাতুন (১৮), আবু শরীফের স্ত্রী শাহীনা (১৯), তার পুত্র আব্রাহাম খান জয় (১) ও সুলতান আহমদের পুত্র আরিফ উল্যাহ (২১)। আটককৃতদের মধ্যে ৪ জন পুরুষ, ৬ জন নারী ও ৬ জন শিশু সহ মোট ১৬ জন রোহিঙ্গা রয়েছে। নোয়াখালীর ভাসানচর থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় তাদের আটক করেছে স্থানীয় বাসিন্দা ও আনসার সদস্যরা। পরে খবর পেয়ে জোরারগঞ্জ থানা পুলিশ তাদের আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
দ্বিতীয় ধাপে একই দিন সন্ধ্যা সোয়া সাতটার দিকে ইকোনমিক জোনের সুপাডাইক এলাকা থেকে চরশরৎ পুলিশ ক্যাম্পের টহল পুলিশের কাছে আটক হয় আরও ৬ জন রোহিঙ্গা। যাদের মধ্যে ১ জন পুরুষ, ২ জন মহিলা ও ৩ জন শিশু রয়েছে।
আটককৃতরা হলো সিরাজুল ইসলামের পুত্র মিজানুর রহমান (১৯), মৃত আব্দুর রহমানের স্ত্রী জাহেদা বেগম (৩০) পুত্র জিয়াউর রহমান (১০) এবং এরশাদুর রহমান (০১), মিজানুর রহমানের স্ত্রী ফাতেমা বেগম (১৭) ও কণ্যা জান্নাতুল নাঈম (১মাস)।
জোরারগঞ্জ থানার উিউটি অফিসার এসআই শেখ আব্দুল বাতেন জানান, শুক্রবার দুপুরে নোয়াখালীর ভাসানচর থেকে দালালকে টাকা দিয়ে ইঞ্জিনচালিত বোট যোগে কক্সবাজার জেলার উখিয়া কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যাওয়ার জন্য পালিয়ে আসছিল। কিন্তু দালালরা তাদেরকে মারধর করে ইকোনোমিক জোন সুপারডাইক এলাকায় নামিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায়। বঙ্গবন্ধু শিল্পনগর (ইকোনমিক জোন) এলাকায় স্থানীয় বাসিন্দা ও আনসার সদস্যদের হাতে আটকের পরে আটককৃত রোহিঙ্গাদেরকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ৩০ মে, ২২ জুন, ১১ জুলাই এবং ১৭ জুলাই এই ৪ ধাপে মিরসরাইয়ের ইকোনমিক জোন এলাকা থেকে মোট ৬২ জন রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়েছে।