রবিবার ● ১৭ জুলাই ২০২২
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » নবীগঞ্জে বাস-সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত-৩
নবীগঞ্জে বাস-সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত-৩
উত্তম কুমার পাল হিমেল, নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি :: ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার রুস্তমপুর টোল প্লাজা এলাকায় বাস ও সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত ২জনকে সিলেট প্রেরণ করা
হয়েছে। গতকাল শনিবার (১৬ জুলাই) বিকাল ৫টার দিকে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে। নিহতরা হলেন, ছাত্রদল নেতা এহিয়া চৌধুরী ওরফে জাবেদ (২৪), তার চাচী বকুল বেগম(৫৫) এবং সিএনজি চালক রব্বান মিয়া (৪০)।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, নবীগঞ্জ উপজেলা বেতাপুর গ্রামের আবুল হোসেন চৌধুরীর স্ত্রীর বকুল বেগম (৬২),কচি মিয়া চৌধুরী স্ত্রী আয়শা খাতুন চৌধুরী (৬০), ছেলে এহিয়া চৌধুরী ওরফে জাবেদ (২৪), ফরিদ মিয়া চৌধুরীর স্ত্রী রেনু বেগম চৌধুরী সিএনজি যোগে গজনাইপুর ইউনিয়নের শতক গ্রামের এক অসুস্থ আত্মীয়কে দেখতে যাওয়ার পথিমধ্যে ঢাকা সিলেট মহাসড়কের রুস্তমপুর টোল প্লাজার নিকটে পৌঁছা মাত্রই ঢাকা থেকে সিলেটগামী মিতালী পরিবহনের এক যাত্রীবাহী বাস ওভারটেকিং করতে গিয়ে সিএনজির সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে বাস চাপায় সিএনজিটি দুমড়ে মুচড়ে যায় এবং ঘটনাস্থলে সিএনজি চালক রব্বান মিয়া, বকুল বেগম, ও এহিয়া চৌধুরী মৃত্যু হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় আয়শা বেগম ও রেনু বেগম চৌধুরীকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। খবর পেয়ে শেরপুর হাইওয়ে পুলিশ ও নবীগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মহাসড়কের যান চলাচল স্বাভাবিক করেন। এহিয়া চৌধুরী মাসেক পূর্বে নতুন বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তার মা ও চাচীকে নিয়ে গতকাল একজন অসুস্থ আত্মীয়কে দেখতে যাওয়ার পথে এ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান। শেরপুর হাইওয়ে থানার ওসি পরীমল দেব দুর্ঘটনায় ৩জন নিহত হওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
নবীগঞ্জে থানা বিভাজন নিয়ে মানববন্ধন
নবীগঞ্জ :: নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জ থানার অধীনে বড় ভাকৈর পশ্চিম কে অন্তর্ভুক্ত না করার জন্য শনিবার ১৬ জুলাই দুপুর ১২ টায় এস এন পি স্কুল এন্ড কলেজের সামনে, আমরা নবীগঞ্জ থানার অধীনে আছি, নবীগঞ্জ থানার অধীনে থাকতে চাই ব্যানারে বড় ভাকৈর সর্বস্থরের জন সাধারনের আয়োজনে মানব বন্ধ ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বড় ভাকৈর পশ্চিম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রঙ্গ লাল দাশের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, বক্তব্য রাখেন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক গৌতম কুমার দাশ, ইউনিয়ন আওয়মী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক সমীরণ দাশ, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা রুপক দাশ, ইউনিয়ন পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারন সম্পাদক ডাঃ বিকুল দাশ, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি শৈলেন্দ্র গুপ্ত রানু, হিরন কুমার দাশ, আরো বক্তব্য রাখেন পলাশ বিজয় দাশ, সভাপতি ইউনিয়ন ছাত্রলীগ। চয়ন মহলদার,সাধারণ সম্পাদক, ইউনিয়ন ছাত্রলীগ। স্মৃতি ভুষন চৌধুরী, লুৎফর রহমান, সেলিম মিয়া মেম্বার, আবুল হোসেন ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য বৃন্দ প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ইনাতগঞ্জ থানায় রূপান্তরিত হোক আমাদের কোন প্রকার বাধা বিদ্বেষ নেই। আমাদের যাতায়াতের জন্য সুবিধা নবীগঞ্জ। স্কুল কলেজে যাওয়া আসা স্বাস্থ্যসেবা ও জেলা শহরে যাতায়াতে অনেক কম সময়ে চলাচল করতে পারি। আমাদের হলিমপুর গ্রাম হতে দূর্গা পুর পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণ হলে অল্প সময়ে আসা যাওয়া করা যাবে। পক্ষান্তরে ইনাতগঞ্জ থানায় রূপান্তর করা হলে আমাদের বড় ভাকৈর ইউনিয়নের যাতায়াতে অনেক কষ্টকর হয়ে পড়বে। তাই আমাদের দাবি নবীগঞ্জ থানার অধীনে আছি, নবীগঞ্জ থানার অধীনে থাকতে চাই আপনাদের সর্বস্থের সহযোগিতায়।
নবীগঞ্জে সন্ত্রাসী মুছা ওয়ার্ড কাউন্সিলরকে হত্যার হুমকী
নবীগঞ্জ :: নবীগঞ্জ শহরতলীর ছালামতপুর এলাকার ত্রাস পুলিশের উপর হামলাকারী সন্ত্রাসী মুছা আবারও এলাকায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। পুলিশকে কুপিয়ে আহতের ঘটনায় স্বাক্ষী দেয়ার কারনে সন্ত্রাসী মুছা বর্তমান ওয়ার্ড কাউন্সিলর কবির মিয়া’কে প্রাণনাশের হুমকী দিয়ে আসছে। তার অনাগত হুমকীর কারনে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভাগছেন। এ ব্যাপারে কাউন্সিলর কবির মিয়া নবীগঞ্জ থানায় জিডি করেছেন। বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) সন্ধ্যায় সন্ত্রাসী মুছা ডেগার নিয়ে কাউন্সিলর কবির
মিয়ার বাড়ি ও দোকানে গিয়ে হত্যার জন্য খোজাঁখুজি করে। এ সময় কাউন্সিলর পুত্রকে মারপিট করে দোকানের ক্যাশ বাক্স থেকে জোর পুর্বক ২০ হাজার ৭৫০ টাকা ছিনিয়ে নেয়। ঘটনার খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানার একদল পুলিশ ঘটনাস্থল ছুটে গেলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
সুত্রে জানাযায়, ২০১৯ সালে বিভিন্ন অপকর্মের হোতা এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী পৌর এলাকার ছালামতপুর গ্রামের খুর্শেদ আলীর ছেলে সোহান আহমেদ মুছা’কে গ্রেফতারের জন্য পুলিশ অভিযান চালায়। এ সময় সন্ত্রাসী মুছা তার লোকজন নিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে পুলিশের উপর হামলা চালায়। এতে তৎকালীন (তদন্ত) উত্তম কুমার দাশ ও এসআই ফখরুজ্জামান আহত হন। গুরুতর আহত অবস্থায় ওসি (তদন্ত)কে সিলেট প্রেরন করা হয়। এ ঘটনায় আলোড়ন সৃষ্টি হয়। সন্ত্রাসী মুছাকে গ্রেফতারে ব্যাপক অভিযান করেও ব্যর্থ হয় পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় তার সহযোগিদের। এ ঘটনাটি মিডিয়ায় ফলাও করে সংবাদ প্রচার করে। টিভি চ্যানেল গুলো সংবাদে এলাকার লোকজনের পাশপাশি স্থানীয় কাউন্সিলর কবির মিয়ার স্বাক্ষাতকার নেয়। দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর সন্ত্রাসী মুছা বিজ্ঞ আদালতে আত্মসমর্পন করলে জেল হাজতে যায়।
প্রায় ২ মাস হাজতবাসের পর জামিনে মুক্তি পেয়ে বাড়িতে আসে। কয়েকদিন ভালভাবে গেলেও মুছা আবারও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। ইয়াবা ব্যবসা থেকে শুরু করে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে বীরদর্পে।
এদিকে পুলিশের ঘটনায় টিভি স্বাক্ষাতকারে মুছার বিরুদ্ধে বক্তব্য দেয়ায় গত দু দিন ধরে সন্ত্রাসী মুছা নবীগঞ্জ পৌরসভার কাউন্সিলর কবির মিয়াকে হত্যার হুমকী দিয়ে যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উক্ত মুছা ধারালো অস্ত্র নিয়ে কাউন্সিলর কবির মিয়ার বাড়ি ও দোকানে গিয়ে খোজাঁখুজি করে না পেয়ে তার ছেলেকে হুমকী ও মারধোর করে ২০ হাজার ৭৫০ টাকা ছিনিয়ে নেয়। এ সময় কাউন্সিলর কবির মিয়াকে পাইলে খুন করবে মর্মে হুমকী দিয়ে আসে। এ ঘটনায় কাউন্সিলর কবির মিয়া চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছেন। খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানার একদল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ ব্যাপারে কাউন্সিলর কবির মিয়া বলেন, মুছার অপকর্মের বিষয়ে এবং পুলিশকে আহত করার ঘটনার বিষয়ে টিভি স্বাক্ষাতকার দেয়ার কারনেই মুছা তাকে হত্যার চেষ্টা করছে। তিনি বর্তমানে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছেন। এ ব্যাপারে থানায় জিডি করার বিষয়টি জানান।
নবীগঞ্জে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের উদ্যোগে বিক্ষোভ
নবীগঞ্জ :: বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ নবীগঞ্জ উপজেলা শাখা ও পৌর শাখার উদ্যোগে কেন্দ্রীয় কর্মসুচীর অংশ হিসাবে ১৬ জুলাই শনিবার বিকালে নবীগঞ্জ নতুনবাজার মোড়ে আব্দুল মতিন স্কয়ারে সরকারী দলের বিগত নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন ও বৈষাম্য বিলোপ আইন প্রণয়ন, জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন গঠন,পার্বত্য শান্তি চুক্তি ও পার্বত্য ভুমি কমিশন আইনের দ্রুত বাস্তবায়ন এবং সসতলের আদি জন্য পৃথক ভুমি কমিশন গঠনের দাবী বাস্তবায়নের দাবীতে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্টিত হয়।বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ নবীগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি নারায়ন রায়ের সভাপতিত্বে এবং সাধারন সস্পাদক ও নবীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি উত্তম কুমার পাল হিমেলের পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ নবীগঞ্জ পৌর কমিটির সভাপতি বিপুল চন্দ্র দেব,সাধারন সস্পাদক প্রানেশ চন্দ্র দেব,বীর মুক্তিযোদ্ধা গৌর চন্দ্র রায়,হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টানঐক্য পরিষদের অর্থ সস্পাদক প্রজেশ রায় নিতন, সাংগঠনিক সম্পাদক রত্নদীপ দাস রাজু,দপ্তর সম্পদক অমলেন্দু সুত্রধর,প্রচার সস্পাদক পবিত্র বনিক,সাংস্কৃতিক সস্পাদক ও প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারন সস্পাদক সলিল বরন দাশ,পৌর কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শিলাপদ দাশ,গৌরমনি সরকার,কুর্শি ইউনিয়ন কমিটির সভাপতি পিন্টু রায়,সাধারন সম্পাদক জগন্নাথ দাশ,গীতাস্কুলের শিক্ষক সনজয় দাশ,বিদ্যার্থী সনাতন সংঘের সভাপতি বাপ্পারাজ দে, ৪ নং ওয়ার্ড কমিটির সাধারন সম্পাদক বাবলু দাশ,কানাই লাল দাশ, শিক্ষক নান্টু লাল দাশ,বিধু ভুষন দাশ,অঞ্জন পুরকায়স্থ, ফনী ভুষন দেব মঙ্গল,ব্রজগোপাল দাশ,বিধান পাল,সুচিত্র গোপ,শুভ্র গোপ,অনুপ আচার্য্য,সীতেশ সরকার,বিপ্লব দাশ,রাজু পাল,অমর সরকার,মিল্টন দাশ,টিটু দাশ,জনি দে,সৌরভ দাশ,অর্ধেন্দু রায় প্রমুখ। বক্তারা অভিলম্ভে বর্তমার সরকারী দলের নির্বাচনী ইস্তেহার বাস্তবায়নের জন্য জোর দাবী জানান।