বৃহস্পতিবার ● ১১ আগস্ট ২০২২
প্রথম পাতা » এগিয়ে যাও বাংলাদেশ » উম্মুক্ত করা হলো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ভ্রাম্যমাণ রেল জাদুঘর
উম্মুক্ত করা হলো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ভ্রাম্যমাণ রেল জাদুঘর
আকতার হোসেন (চট্টগ্রাম) মিরসরাই :: বাংলাদেশ রেলওয়ের ভ্রাম্যমাণ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেল জাদুঘর প্রদর্শনীর অংশ হিসেবে মিরসরাইয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ভ্রাম্যমাণ রেল জাদুঘর প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জাদুঘর প্রদর্শনীর সিডিউল অনুযায়ী ৯ থেকে ১১ আগস্ট মিরসরাইয়ের চিনকী আস্তানা রেলওয়ে ষ্টেশনে উক্ত প্রদর্শনী সর্বসাধারণের জন্য উম্মুক্ত করা হয়। বুধবার (১০ আগষ্ট) সকালে উক্ত জাদুঘর পরিদর্শন করেন বারইয়ারহাট পৌরসভার মেয়র রেজাউল করিম খোকন।
শোকের মাসে ১ আগষ্ট থেকে যাত্রা শুরু হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ভ্রাম্যমাণ রেল জাদুঘরের। গোপালগঞ্জ স্টেশনে রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন এ জাদুঘরের উদ্বোধন করেন। অন্যদিকে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ সেদিন বিকেল ৫টায় চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনে বাংলাদেশ রেলওয়ের ভ্রাম্যমাণ বঙ্গবন্ধু জাদুঘর উদ্বোধন করেন।
ব্যতিক্রমী ও অভিনব জাদুঘরটির স্বপ্নদ্রষ্টা বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (রোলিং স্টক) মো. মঞ্জুর উল আলম চৌধুরী।
রেলওয়ে’র ইতিহাসে এটিই প্রথম ভ্রাম্যমাণ রেল জাদুঘর। একটি ব্রডগেজ ও একটি মিটারগেজ কোচকে সর্বোচ্চ প্রযুক্তিতে সাজানো হয়েছে। জাদুঘরটিতে মোট ১২ টি গ্যালারীতে ১৯২০ সাল থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর পারিবারিক ও বিবাহিত জীবন, রাজনৈতিক, ঐতিহাসিক জীবন, ৬৬’র ৬ দফা, ৬৯’র গণঅভ্যুত্থান, ৭ ই মার্চের ভাষণ, মুক্তিযুদ্ধ, স্বদেশ প্রত্যাবর্তন এবং সংগ্রামী ঘটনা প্রবাহ তুলে ধরা হয়েছে। সাধারণ দর্শনার্থীরা টাচ স্ক্রিনে আঙুল স্পর্শ করতেই ভেসে আসবে বঙ্গবন্ধু ছবি, ভাষণ ও তার জীবনের বিভিন্ন দিক।
জাদুঘর প্রসঙ্গে বাংলাদেশ রেলওয়ে চিনকী আস্তানা রেলওয়ে ষ্টেশন মাস্টার মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম বলেন, ভ্রাম্যমাণ রেল জাদুঘরের মাধ্যমে মিরসরাই সহ সারাদেশের সাধারণ মানুষ বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে জানার সুযোগ পাবেন। এটা সত্যি প্রশংসনীয় এবং ব্যতিক্রমী উদ্যোগ বলে জানান।
রেলওয়ে জাদুঘর প্রদর্শনীর শিডিউলে দেখা যায়, রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের চট্টগ্রাম রেলস্টেশনে একটি জাদুঘর থাকবে সীতাকুণ্ড স্টেশনে ৭ থেকে ৯ আগস্ট, চিনকি আস্তানা স্টেশনে ৯ থেকে ১১ আগস্ট, ফেনী জংশনে থাকবে ১১ থেকে ১৫ আগস্ট, গুণবতী স্টেশনে থাকবে ১৪ থেকে ১৭ আগস্ট, নাঙ্গলকোট স্টেশনে থাকবে ১৬ থেকে ১৯ আগস্ট, লাকসাম জংশনে থাকবে ১৮ থেকে ২৩ আগস্ট, চৌমুহনী স্টেশনে থাকবে ২৪ থেকে ২৫ আগস্ট, মাইজদীকোর্ট স্টেশনে থাকবে ২৬ থেকে ২৭ আগস্ট, নোয়াখালী স্টেশনে থাকবে ২৮ থেকে ২৯ আগস্ট, চাঁদপুর স্টেশনে থাকবে ৩০ আগস্ট থেকে ১ সেপ্টেম্বর, কুমিল্লা স্টেশনে থাকবে ২ থেকে ৪ নভেম্বর, আখাউড়া স্টেশনে থাকবে ৫ থেকে ৮ নভেম্বর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশনে থাকবে ৯ থেকে ১০ নভেম্বর, ভৈরব স্টেশনে থাকবে ১১ থেকে ১২ নভেম্বর, নরসিংদী স্টেশনে থাকবে ১৩ থেকে ১৪ নভেম্বর, টঙ্গী জংশনে থাকবে ১৫ থেকে ১৬ নভেম্বর এবং ক্যান্টনমেন্ট স্টেশনে থাকবে ১৭ থেকে ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত।
অন্যদিকে আরেকটি কোচ পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের গোপালগঞ্জ স্টেশনে থাকবে ভাটিয়াপাড়া ঘাট স্টেশনে থাকবে ৯ থেকে ১০ আগস্ট, মধুখালী জংশনে থাকবে ১২ থেকে ১৩ আগস্ট, রাজবাড়ী স্টেশনে থাকবে ১৫ থেকে ১৭ আগস্ট, ফরিদপুর স্টেশনে থাকবে ১৯ থেকে ২০ আগস্ট, পাংশা স্টেশনে থাকবে ২২ থেকে ২৩ আগস্ট, কুমারখালি স্টেশনে থাকবে ২৫ থেকে ২৬ আগস্ট, কালুখালী জংশনে থাকবে ২৮ থেকে ২৯ আগস্ট, কুষ্টিয়া স্টেশনে থাকবে ৩০ থেকে ৩১ আগস্ট, খুলনা স্টেশনে থাকবে ২ থেকে ৭ নভেম্বর, দৌলতপুর স্টেশনে থাকবে ৯ থেকে ১০ নভেম্বর, নোয়াপাড়া স্টেশনে থাকবে ১২ থেকে ১৩ নভেম্বর, যশোর স্টেশনে থাকবে ১৫ থেকে ১৮ নভেম্বর, বেনাপোল স্টেশনে থাকবে ২০ থেকে ২১ নভেম্বর, নাভারণ স্টেশনে থাকবে ২২ থেকে ২৩ নভেম্বর, মোবারকগঞ্জ স্টেশনে থাকবে ২৫ থেকে ২৬ নভেম্বর, দর্শনা স্টেশনে থাকবে ২৮ থেকে ২৯ নভেম্বর এবং চুয়াডাঙ্গা স্টেশনে থাকবে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত।
উক্ত জাদুঘর পরিদর্শন করে দর্শনার্থীরা সন্তোষ প্রকাশ করেন। রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর ৪ জন সদস্য সহ মোট ৮ জন উক্ত জাদুঘর দেখাশোনা ও তত্বাবধানের দায়িত্বে রয়েছে।