রবিবার ● ২৭ জুন ২০২১
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » বিশ্বনাথে কাঁচা রাস্তায় ভোগান্তি বৃষ্টি হলেই গর্তে জমে পানি
বিশ্বনাথে কাঁচা রাস্তায় ভোগান্তি বৃষ্টি হলেই গর্তে জমে পানি
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: তারা সময়মতো কাজ শুরু না করায় এ রাস্তা দিয়ে চলাচলে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন কয়েক গ্রামের মানুষ। রাস্তার বিভিন্ন অংশে ছোটবড় গর্ত থাকায় একটু বৃষ্টি হলেই তাতে পানি জমে। বছরের বেশির ভাগ সময়ই রাস্তাজুড়ে কাদা থাকায় হেঁটে চলাচলও কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে।
পাকাকরণের জন্যে প্রায় ৫ মাস পূর্বে খোঁড়া হয়েছিল সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার আরএসডি রামপাশা-রাজাগঞ্জ বাজার-উত্তর বিশ্বনাথ-লামাকাজী রাস্তার রাজাগঞ্জ বাজার হতে উত্তর বিশ্বনাথ দ্বি-পাক্ষিক উচ্চ বিদ্যালয় পর্যন্ত দুই কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা। এরপর থেকে আর কোনো কাজই হয়নি। খোঁড়াখুঁড়ি করে ফেলে রাখা ওই দুই কিলোমিটার রাস্তায় এই দীর্ঘসময়ে তৈরী হয়েছে অসংখ্য ছোটবড় গর্ত। চলমান বর্ষা মৌসুমে একটু বৃষ্টি হলেই সেসব গর্তে জমছে পানি। ফলে চলাচলে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ-ভোগান্তিতে পড়েছেন রাস্তাটি ব্যবহারকারী কয়েক গ্রামের হাজারো মানুষ। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের স্বেচ্ছাচারিতা ও উদাসীনতাকেই দায়ী করছেন তারা।
উপজেলা প্রকৌশল অফিস সূত্র জানায়, ২০১৯ সালের ৪ ডিসেম্বর ওই দুই কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা পাকাকরণের কার্যাদেশ পায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বিএম ট্রেডার্স। প্যাকেজ বরাদ্দের এই কাজটি শেষ হওয়ার কথা ছিল গত বছরের ৩ ডিসেম্বর। কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজই শুরু করে ৩ ডিসেম্বরের পরে। তারা দুই কিলোমিটার রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি করে বেশ কিছু অংশে বালু ফেলে রাখে। এরপর আর কোনো কাজ না করে রাস্তাটি ওই অবস্থায় ফেলে রাখে তারা।
সরেজমিনে দেখা যায়, রাস্তাটিতে রয়েছে অসংখ্য ছোটবড় গর্ত। গর্তগুলোতে জমে আছে বৃষ্টির পানি। বন্ধ রয়েছে যান চলাচল। বিকল্প রাস্তা না থাকায় ওই রাস্তা দিয়েই পায়ে হেটে কাদামাখা হয়ে চলাচল করছেন পথচারীরা। রাস্তা ব্যবহারকারী স্কুল শিক্ষক শাহিন মিয়া, বাবলু মিয়া, সংগঠক রাজন আহমদ রেশাদ বলেন, ‘শুকনা মৌসুমে রাস্তা দিয়ে চলাচল করা গেলেও বর্তমান বর্ষা মৌসুমে চলাচল করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের উদাসীনতায় আমরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছি।
স্থানীয় খাজাঞ্চী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তালুকদার মো. গিয়াস উদ্দিন বলেন, ‘ঠিকাদারকে ফোন দিতে দিতে আমি ক্লান্ত। বিষয়টি উপজেলা পরিষদের উন্নয়ন সভায় উত্থাপন করেছি। রেজুলেশনও হয়েছে। কয়েকদিনের মধ্যে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ শুরু না করলে আমি আইনের আশ্রয় নেব।
এ ব্যাপারে বক্তব্য নিতে বিশ্বনাথ উপজেলা প্রকৌশলী আবু সাঈদের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।
বিশ্বনাথে সাংবাদিক শিপনের স্ত্রী করোনায় আক্রান্ত
বিশ্বনাথ :: দৈনিক কালের কণ্ঠ সিলেট মিরর’ বিশ্বনাথ প্রতিনিধি ও বিশ্বনাথ প্রেস ক্লাবের কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ আলী শিপনের স্ত্রী আসমা আক্তার রুমি (৩২) করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
মোহাম্মদ আলী শিপন জানান, ২১ জুন আমি এবং আমার স্ত্রী নমুনা পরীক্ষায় দিয়েছিলাম। ২৫ জুন আমার স্ত্রী’র পজেটিব রিপোর্ট এবং আমার নেগেটিব রিপোর্ট আসে। নমুনা পরীক্ষার পর থেকে আমিসহ আমার পুরো পরিবারের সবাই কারিকোনা গ্রামস্থ নিজ বাড়ীতে হোম কোয়ারেন্টিনে আছি। তিনি সুস্থতার জন্য সবার দোয়া চেয়েছেন।
এ ব্যাপারে বিশ্বনাথ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার আব্দুর রহমান মুসা বলেন, আমি তাদেরকে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে বলেছি।
বিশ্বনাথে জাবেদ নামে এক যুবক নিখোঁজ
বিশ্বনাথ :: সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার জানাইয়া গ্রামের আব্দুল খালিক এর ভাগ্না ও জয়নাল আহমেদর পুত্র জাবেদ আহমদ (১৮) বিশ্বনাথ নতুন বাজার থেকে নিখোঁজ হয়েছে। সম্ভাব্য সব আত্মীয় স্বজনদের বাড়িতে খোঁজাখুঁজি করে পাওয়া যায়নি।
জাবেদ আহমদ মাদানিয়া এন্টারপ্রাইজ নতুন বাজার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে এসআর হিসাবে কর্মরত ছিলো। প্রতিদিনের ন্যায় ২৬ জুন সকাল থেকে রাত অনুমান ৯ ঘটিকা পর্যন্ত বিশ্বনাথ নতুন বাজারে কোম্পানির টাকা উত্তোলন করতে জানা যায়। পরবর্তীতে রাত ১০ ঘটিকা হইতে তার ব্যবহৃত মোবাইল (০১৭৩৮৯১৭৩৭৮) বন্ধ দেখা গেলে সম্ভাব্য সব আত্মীয় স্বজন ও বন্ধু বান্ধব দের বাড়িতে খোঁজাখুঁজি করে পাওয়া যায়নি। আজ ২৭ জুন বিশ্বনাথ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন তার মামা আব্দুল খালিক। ডায়রী নং ১২৩৯।
যদি কোন হৃদয়বান ব্যক্তি তার সন্ধান পেয়ে থাকলে তার মামা আব্দুল খালিক কে এর সাথে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে। যোগাযোগ নাম্বার ০১৭১৭২৬৭১৫৯
বিশ্বনাথে পরিবার পরিকল্পনা’র কর্মশালা
বিশ্বনাথ :: সিলেটের বিশ্বনাথে বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ, কিশোর-কিশোরীর প্রজনন স্বাস্থ্য, পুষ্ঠি ও ব্যাক্তিগত পরিচ্ছন্নতায় ৪০জন মাধ্যমিক প্রধান শিক্ষকদের নিয়ে অবহিতকরণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (২৭ জুন) দুপুরে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর আইইএম ইউনিটের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ হলরুমে ওই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমন চন্দ্র দাসের সভাপতিত্বে ও উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা তপন কান্তি ঘোষের পরিচালনায় কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম নুনু মিয়া, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সমির কান্তি দেব, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: আব্দুর রহমান মূসা, অধ্যক্ষ নেহারুন নেছা, ডা: হামিদা বেগম ও সহকারি পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বিধান রায়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা সহকারি মো: আজমান আলী, সমিরেন্দ্র তালুকদার ও অফিস সহায়ক মো: আকাশ আলী।