মঙ্গলবার ● ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২
প্রথম পাতা » এগিয়ে যাও বাংলাদেশ » ঝিনাইদহ পৌরসভায় কাউন্সিলর সাইফুল বারবার জয়ী হওয়ার রহস্য কি
ঝিনাইদহ পৌরসভায় কাউন্সিলর সাইফুল বারবার জয়ী হওয়ার রহস্য কি
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: ঝিনাইদহ পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডের সাধারণ কাউন্সিলর পদে সাইফুল ইসলাম মধু টানা সপ্তমবারের মতো নির্বাচিত হয়ে রেকর্ড সৃষ্টি করেছেন। এর আগে ২ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মতলেব মিয়ার এই রেকর্ড ছিল। মধু ঝিনাইদহ জেলা ফুটবল টিমের রক্ষন ভাগের অপরিহার্য্য খেলোয়ার ছিলেন। খেলা এবং জনপ্রতিনিধিত্ব এক সঙ্গে চালিয়ে গেছেন ৫৮ বছর বয়সি মধু। ১৯৮৮ সালে মাত্র ২০ বছর বয়সে তিনি পৌরসভার কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়ে তাক লাগিয়ে দেন। এরপর তাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। গত রোববার সদ্য সমাপ্ত ঝিনাইদহ পৌরসভা নির্বাচনে তিনি ২২৮০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দি উপ-শহরপাড়ার সাইফুল ইসলাম পানির বোতল প্রতিক নিয়ে পেয়েছেন ৮২৯ ভোট। মধুর ১৪৫১ ভোট বেশি পেয়ে কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। তথ্য নিয়ে জানা গেছে, ঝিনাইদহ শহরের ব্যাপারীপাড়া থেকেই কাউন্সিলর প্রার্থী ছিলেন ৩ জন। এরা হলেন, শান্ত জোয়ারদার, প্লাবন ও কল্লোল। প্রার্থীরা সবাই মধুর প্রতিবেশি হওয়ায় ভোট ভাগাভাগীর হিসাব চলে আসে। কিন্তু মধুর ব্যক্তিত্ব, সততা ও স্পষ্টবাদীতার কারণে সব প্রার্থীই ধরাশায়ী হয়ে পড়ে। জানা গেছে, ১৯৬৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর শহরের ব্যবপারীপায় এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্ম গ্রহন করেন একাধিকবার কাউন্সিলর নির্বাচিত সাইফুল ইসলাম মধু। তার পতিার নাম হাজী মতিয়ার রহমান। ৬ ভাই ও এক বোনের মধ্যে মধু পঞ্চম। ভোটের মাঠে দুই সন্তানের জনক মধুর পারিবারিক প্রভাব মুখ্য হয়ে দেখা দেয়। তাছাড়া অরাজনৈতিক পরিবারের সদস্য মধু ঝিনাইদহ জেলায় এক পরিচিতি মুখ। তাছাড়া তিনি বাংলাদেশ পৌর কাউন্সিলর এসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। বারবার কাউন্সিলর নির্বাচিত হওয়ার নেপথ্যোর কারণ সম্পর্কে সাইফুল ইসলাম মধু বলেন, আমি ঠিকাদারী করিনা। আমার কোন ব্যবসা নেই। যতটুকু পারি কাউন্সিলর হিসেবে মানুষের উপকার করি। এই জন্য মানুষ আমার মনে রাখেন এবং বারবার ভোট দেয়। আমি ভোটারদের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। পাগলাকানাই সড়কের কাঠালবাগানের ভোটার রুজদার আলী জানান, ভোটারদের সঙ্গে প্রতারণার কোন নজীর নেই মধুর। যে কোন কাজে গেলে তিনি গুরুত্বের সঙ্গে করে দেন। মানুষের দোয়া ও ভালোবাসা আছে তার প্রতি। এ কারণে তাকে পরাজিত করা অন্যান্য প্রতিদ্বন্দি প্রার্থীর পক্ষে কঠিন হয়ে পড়ে।
ফেসবুকে বিয়ের ফাঁদ : তরুনীর কাছে থেকে হাতিয়ে নেয় সাত লাখ টাকা
ঝিনাইদহ :: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পরিচয়। এরপর নানাভাবে তরুণীকে আকৃষ্ট করার চেষ্টা। ছেলে সিঙ্গাপুরে কর্মরত আছেন। দেশে এসেই বিয়ে করবেন। আর সেই পরিচয় গড়ায় প্রেমে। তিন মাস পরে দেশ ফিরেই গোপনে বিয়ের পিড়িতে বসেন যুবক জানারুল শেখ ইমন ও তরুণী রুকসানা আক্তার। কিন্তু বিধি বাম। ছলচাতুরি করে ভুক্তভোগী তরুনীর কাছ থেকে প্রতারক জানারুল শেখ হাতিয়ে নেয় সাত লাখ টাকা। বিয়ের পর তরুণীর সাথে সব ধরণের যোগাযোগ বন্ধ করে জানারুল। রুকসানা আক্তার এখন নিরুপায়। বিয়ের স্বীকৃতি ও টাকা উদ্ধারের আশায় মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। প্রতারক জানারুল শেখ ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার লক্ষীপুর গ্রামের অলীদ শেখের ছেলে। প্রতারণার শিকার তরুণী টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার করোটিয়া গ্রামের শাজাহান শিকদারের কন্যা রুকসানা আক্তার জানান, গত বছরের শুরুর দিকে ফেসবুকের মাধ্যমে জানারুলের সঙ্গে পরিচয়। জানারুল রুকসানার ফেসবুক আইডিতে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠালেও অপরিচত হওয়ায় ৬ মাস ঝুলিয়ে রাখেন। তাকে বন্ধু তালিকায় যুক্ত করার জন্য জানারুল বিভিন্ন সময় মেসেঞ্জারে মেসেজ দিত। ৬ মাস পর জানারুলের মেসেজের উত্তর দেয় রুকসানা। এরপর চলতে থাকে তাদের কথোপকথন, হয় পরিচয়। পরে তা গড়ায় প্রেমে। জানারুল জানায় তিনি সিঙ্গাপুরে কর্মরত আছেন। দেশে এসেই বিয়ে করবেন রুকসানাকে। ৩ মাস পর দেশে ফেরেন জানারুল। থাকেন রুকসানার বর্তমান ঠিকানা গাজীপুরে। ২০২১ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর তারিখে তারা বিয়ে করেন। কিন্তু সুখ জোটেনি রুকসানার কপালে। বিয়ের কয়েকদিনের মাথায় শৈলকুপায় ফিরে আসে জানারুল। শুরু হয় নাটকীয়তা। উপায়ন্ত না পেয়ে তরুণী ছুটে যান তার স্বামী জানারুলের বাড়িতে। কিন্তু সেখানে গিয়েও কপাল পোঁড়ে তার। শুরু নির্যাতন। পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে নির্যাতন চালিয়ে পরের দিন তাকে গাড়িতে উঠিয়ে দেয়া হয় নিজ বাড়িতে যাওয়ার জন্য। নানাভাবে যোগাযোগের চেষ্টা চালাতে থাকে রুকসানা। একপর্যায়ে জানারুল তাকে আশ^স্ত করে সে আর বিদেশ যাবেন না দেশেই থাকবেন এবং তার পরিবার তাকে মেনে নেবে। কিন্তু তাকে ব্যবসার জন্য দিতে হবে টাকা। সুখের আশায় ৭ লাখ টাকা তুলে দেন জানারুলের হাতে। টাকা পেয়েই বদলে যায় জানারুল। উপায়ন্ত না পেয়ে রুকসানা গাজীপুর জেলা দায়রা জজ আদালতে যৌতুক আইন ২০১৮/৩ ধারায় মামলা দায়ের করেন। বিষয়টি নিয়ে জানারুলের ব্যক্তিগত মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। এব্যাপারে শৈলকুপা থানার অফিসার ইনচার্জ আমিনুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে গাজীপুর জেলা দায়রা জজ আদালত থেকে কোন নোটিশ আসেনি। অভিযোগ পেলে আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় ও ঢাবি কমিটিতে ঝিনাইদহের ৯ ছাত্রনেতা
ঝিনাইদহ :: বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নবগঠিত কেন্দ্রীয় ও ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় (ঢাবি) কমিটিতে ঝিনাইদহ জেলার ৯ জন ছাত্রনেতা স্থান পেয়েছেন। জেলার বিভিন্ন উপজেলায় তাদের বাড়ি। এদিকে একসঙ্গে ঝিনাইদহের ৯ ছাত্রকে নবগঠিত ছাত্রদলের কমিটিতে স্থান করে দেওয়ায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঝিনাইদহ জেলা ছাত্রদলের বিভিন্ন ইউনিটের সদস্য ও এক্টিভেস্টদের অভিনন্দন জানাতে দেখা যাচ্ছে। ঝিনাইদহ জেলা ছাত্রদলের দেয়া তথ্যমতে, নবগঠিত কেন্দ্রীয় ও ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় ছাত্রদলের তারুণ্য নির্ভর কমিটিতে যারা স্থান পেয়েছেন তারা হলেন, কালীগঞ্জ উপজেলার নাটোপাড়া গ্রামের তবিবুর রহমান সাগর। তিনি কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি পদে অধিষ্ঠিত হয়েছেন। ঝিনাইদহ শহরের ব্যাপারীপাড়ার আশিক আহমেদ। তিনি কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন। কালীগঞ্জ পৌর এলাকার জহির হাসান মোহনও পেয়েছেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের পদ। কোটচাঁদপুর উপজেলার কুশনা ইউনিয়নের শ্রী মিঠুন কুমার দাস হয়েছেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। শৈলকুপা উপজেলার মোহাম্মদপুর (মামুদপুর) গ্রামের শাহরিয়ার হোসেন রুবেল পেয়েছেন সহ-সাধারণ সম্পাদকের পদ। কোটচাঁদপুর পৌর এলাকার মোঃ রয়েল হক কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সাধারণ সম্পাদক পদ পেয়েছেন। মহেশপুর পৌর এলাকার আবদুস সালাম হিমেল আইন বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন। মহেশপুর উপজেলার যাদবপুর গ্রামের মিনহাজ আহমেদ প্রিন্স পেয়েছেন যোগাযোগ সম্পাদকের দপ্তর। এছাড়া শৈলকুপা দুধসর গ্রামের রাজু আহম্মেদ ঢাবি ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। একসঙ্গে ৯ জন ছাত্রনেতা ঢাবি ও কেন্দ্রীয় কমিটিতে স্থান পাওয়া যোগ্যতার চমক বলে অনেকে মনে করছেন।
মিতু হত্যার সুষ্টু তদন্ত,ন্যায় বিচার ও সাবেক এসপি বাবুল আক্তারের মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন
ঝিনাইদহ :: চট্টগ্রামে আলোচিত মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলার বিচার বিভাগীয় সুষ্টু তদন্ত,সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারকে স্ত্রী হত্যায় সাজানো মামলায় পিবিআই হেফাজতে বর্বরোচিত নির্যাতনের প্রতিবাদ,মুক্তি ও চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে ঝিনাইদহের শৈলকুপায় মানবন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার বিকালে উপজেলার হাটফাজিলপুর বাজারে এলাকাবাসীর ব্যানারে এ মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। এতে ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ অংশ নেয়। এতে বক্তব্য দেন, আবাইপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দিন বিশ্বাস,সাবেক চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন মোল্লা, সাবেক এসপি বাবুল আক্তারের বাবা আব্দুল ওয়াদুদ মিয়া, শামীম আহমেদ,ইকতিয়ার হোসেন,আরিফুর রহমান। এসময় বক্তারা, মিতু হত্যার সুষ্টু তদন্ত ও সাবেক এসপি বাবুল আক্তারের মুক্তির দাবি জানান এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেন।