বুধবার ● ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » প্রধান শিক্ষককে ফিরে পেতে ছাত্র-ছাত্রীদের আকুতি
প্রধান শিক্ষককে ফিরে পেতে ছাত্র-ছাত্রীদের আকুতি
লংগদু প্রতিনিধি :: সকলের প্রিয় মঞ্জু স্যার। পুরো নাম মো. মঞ্জুরুল হক। যিনি নিজ মেধা, যোগ্যতা, দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা দিয়ে সৃষ্ট সেই গৌরবের অংশীভূত হয়ে ছাত্র-ছাত্রী, অভিভাবক এবং এলাকাবাসীর হৃদয়ে বেঁচে আছেন মূর্তিমান এক জীবন্ত কিংবদন্তী হয়ে। আর এই কারনেই আজো কারো কাছে তিনি একজন আদর্শ শিক্ষক, কারো কাছে একজন আদর্শ মানুষ। সবকিছু ছাড়িয়ে যেটা সবচেয়ে বড় পরিচয় তা হল, তিনি ছিলেন একজন সত্যিকারের মানুষ গড়ার কারিগর। যিনি নিজের সর্বস্ব এবং সর্বোচ্চটা দিয়ে অন্ধকারাচ্ছন্ন সমাজকে আলোকিত করার প্রাণান্তকর চেষ্টা করে যাচ্ছেন। সেই তাঁকে আজ জীবন সায়াহ্নে এসে বেদনার অশ্রুস্নাত নয়নে কষতে হচ্ছে শিক্ষকতা জীবনের প্রাপ্তি অ-প্রাপ্তির সমুদয় হিসেব! মহান এই মানুষটিকে আজ বলতে হচ্ছে শিক্ষকতায় আসাটা কি অপরাধ ছিল? নিঃসন্দেহে তা অপরাধ ছিলনা। বরং; অপরাধ আমাদের। অপরাধ সেই সব তথাকথিত সমাজ ধ্বংসকারী কিংবা শিক্ষাহীন শিক্ষানুরাগীদের, যারা শিক্ষার মিথ্যা অনুরাগী সেজে নিষ্কলঙ্ক বৈরাগীর ছদ্ম বেশে আত্মসাতের গোপন ফর্দ তৈরীর মহা পরিকল্পনায় পরিচালনা কমিটির পরিচালক হয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ঢুকতে মরিয়া। আর এসমস্ত বিবেকহীন মানুষদের বিরামহীন ষড়যন্ত্রের চতুরঙ্গ ফন্দিতে বন্ধি একজন অনুকরণীয় শিক্ষকের সম্মানের সম্বলটুকু। অথচ কেবলমাত্র ভাললাগা থেকেই জীবনের যৌবনকালে শিক্ষকতায় আসা মানুষটি মানুষ গড়ার কারখানায় কাটিয়ে দিচ্ছেন জীবনের স্বর্ণালী সময়টা। নিজের দক্ষ কারিগরি মহিমায় যে মানুষটা সমাজকে উপহার দিয়েছেন অনেক কীর্তিমান, সেই সমাজের ৪/৫ জন আজ কতইনা অকৃতজ্ঞ তাঁর প্রতি! মিথ্যা অপবাদে কলঙ্কিত করার অপচেষ্টায় মত্ত তথাকথিত সমাজ ধ্বংসকারী এবং তাদের লেজুড় ভক্ত। কিন্তু যে মানুষটা একটি প্রতিষ্ঠানকে গড়ে তুলতে গিয়ে চোখের সামনেই পুরোটা সময় কাটিয়ে দিলেন, সেই প্রতিষ্ঠানের প্রতি তাঁর চেয়ে অন্য কারো দরদ বেশি হবে তাও কি আমাদের বিশ্বাস করতে হবে? আমরা তা বিশ্বাস করিনা। যে মানুষটা সর্বদা নীতি নৈতিকতার শিক্ষা দিয়েছেন, সে মানুষটা জীবনের এ প্রান্তে এসে অনৈতিকতার আশ্রয় নিবেন তা মানতে আমাদের বিবেক সায় দেয়না। স্কুলের ছাত্রছাত্রী যারা তাঁর ছাত্রছাত্রী হয়ে তাঁর কাছ থেকে শিক্ষা পাওয়ার সৌভাগ্য অর্জন করেছেন, কেবল তারাই বুঝে তিনি কতটা ভাল শিক্ষক , কতটা আদর্শ নিয়ে জীবন সংগ্রামে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছেন। সাদাসিধে জীবনযাপন করেছেন, কিন্তু কখনো দূর্নীতি, অন্যায় এবং অনৈতিকতার আশ্রয় নেননি। লোভের বশবর্তী হয়ে নিজের আদর্শ, সম্মান এবং রক্তে মিশে থাকা নৈতিকতা বিসর্জন দেননি। নিজের আন্তরিকতা এবং ভালবাসায় গড়া বিদ্যালয়টিকে দাঁড় করাতে অক্লান্ত পরিশ্রম করা এই শিক্ষক তাঁর সাহসিকতা দিয়ে সমাজের খোলস পাল্টিয়ে নতুন রুপে আবির্ভূত হওয়া শত মোড়লের ষড়যন্ত্র ভেঙ্গে দিয়েছেন অনেকবার। অথচ, সেই মানুষটাই ষড়যন্ত্রের জাঁতাকলে নিষ্পেষিত জীবনের পড়ন্ত বেলায়! কি অপরাধ ছিল তাঁর? অপরাধী সাজিয়ে জনসমক্ষে আনা অভিযোগ গুলোর আদৌ কি কোন সত্যতা ছিল? নাকি অন্যকিছু? অন্যকিছু তো বটেই। তবে কি ছিল নেপথ্য কারন?
মো. মঞ্জুরুল হক স্যারের বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন ছাত্র-ছাত্রীরা এবং অভিভাবক বৃন্দ।