রবিবার ● ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » নবীগঞ্জের মানবপাচার চক্রের হোতা গয়াছ কারাগারে
নবীগঞ্জের মানবপাচার চক্রের হোতা গয়াছ কারাগারে
উত্তম কুমার পাল হিমেল,নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি :: অবৈধ পথে ইউরোপে পাঠানোর নামে মানব প্রাচারের অভিযোগ নবীগঞ্জের মানব প্রাচার চক্রের মূলহোতা, উপজেলা দীঘলবাক ইউনিয়নের বহরমপুর গ্রামের আফাই মিয়ারপুত্র গয়াছ মিয়া ৪৫ কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গত বুধবার রাতে গোপলার বাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এস আই শামছুউদ্দিনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ উপজেলার সৈয়দপুরবাজার এলাকার অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে গত বৃহস্পতিবার আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
সুত্রে জানাযায়, নবীগঞ্জ উপজেলার দেবপাড়া ইউনিয়নপর কালাভরপুর গ্রামের কছিত মিয়া পুত্র দুলাল মিয়া নামের এক যুবককে নবীগঞ্জের একটি প্রাচারকারী চক্র মুলহোতা নবীগঞ্জের গায়াছ মিয়া (৪৫) ইউরোপের দেশ ইতালিতে পাঠানোর কথা বলে নগদ ১০ লাখ টাকা নিয়ে প্রথমে দুবাই পাঠায় পরে লিবিয়ায় পৌঁছার পর গয়াছ মিয়ার ছেলে মামলার ২নং আসামী মানব পাচারকারী চক্রের সদস্য কিবরিয়া মিয়া (২২) তাকে অপহরণ করে মুক্তিপণ বাবদ আরো ১০ লাখ টাকা দাবি করে। পরবর্তীতে ধাপে ধাপে আরো ৩ লক্ষ নেয়। মোট ১৩ লাখ টাকা পরিশোধ করার পরও ভিকটিমকে মুক্তি দেয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী দুলাল মিয়া দেশে ফিরে, মানব প্রাচার প্রতিরোধ ও দমন ট্রাইবুনালে গত ০৭/০৭/২০২২ ইং মানব প্রাচারের সংশ্লিষ্ট আইনে গয়াছ মিয়া (৪৫) ও তার পুত্র কিবরিয়া মিয়া(২২) কে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। উক্ত মামলার উল্লেখিত আসামীদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি হলে পুলিশ এক আসামীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় উপর আসামী কিবরিয়া মিয়া বিদেশে পলাতক রয়েছে বলে জানাগেছে।
নিখোঁজের ২দিন পর বিবিয়ানা নদী থেকে এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার
নবীগঞ্জ :: নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জে নিখোঁজের দুইদিন পর বিবিয়ানা নদী থেকে লিটন মিয়া(৪৮) নামে এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। লিটন মিয়া উপজেলার ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের মধ্যসমত গ্রামের সিরাজ উদ্দিনের পুত্র।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানাযায়,লিটন মিয়া ইনাতগঞ্জ বাজারের প্রতিষ্টিত সমজি ব্যবসায়ী। গত বৃহস্পতিবার রাতে ব্যবসা বন্ধ করার পর আর বাড়ি ফিরেনি। তার মোবাইল ফোন ও বন্ধ পাওয়া যায়। পরিবারসহ আত্মীয়স্বজন অনেক খোঁজাখঁজি করেওনকোথাও সন্ধান পাননি লিটনের।
অবশেষে গতকাল শনিবার সকাল ৭টায় নবীগঞ্জ উপজেলার দীঘলবাক ইউনিয়নের কসবা গ্রামের ভিতর দিয়ে বিবিয়ানা নদীতে (মরা নদী) স্থানীয় লোকজন ভাসমান অবস্থায় লিটন মিয়ার লাশ ভাসতে দেখে পুলিশকে খবর দেন।
খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানার ওসি ডালিম আহমেদ,ইনাতগঞ্জ ফাঁড়ির ইনচার্জ কাওসার আহমেদসহ একদল পুলিশ ঘটনা স্থলে পৌছে লাশ উদ্ধার করেন। এ সময় লিটনের স্বজনরা লাশ সনাক্ত করেন। পরে পুলিশ লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করে ময়না তদন্তের জন্য লাশ হবিগঞ্জ মর্গে প্রেরণ করে।
নিহত লিটনের ভাই সালেনুর মিয়া জানান,আমার ভাই যে রাতে নিখোঁজ হয়েছিলেন,ওই রাতে স্থানীয় কসবা বাজার থেকে লোকজন রাত ২ টায় চেয়ারম্যান নোমান হোসেনকে ফোনে বলেছিল লিটন আটক আছেন আপনি এসে নিয়ে যান। চেয়ারম্যান উত্তরে মেরে ফেলতে বলেন। আমরা যে দুইদিন ধরে খোঁজতেছি চেয়ারম্যান আমাদের সে খবর না বলে গোপন রাখেন। বিষয়টি আমরা পরে জেনেছি। তিনি বলেন পরিকল্পিতভাবে আমার ভাইকে হত্যা করা হয়েছে। তিনি প্রশাসনের নিকট সঠিক তদন্ত করে তার ভাইয়ের হত্যাকান্ডের সাথে যারা জড়িত তাদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানান।
নবীগঞ্জ থানার ওসি ডালিম আহমেদ জানান,লাশ ময়না তদন্তের জন্য হবিগঞ্জ মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এখনো মামলা হয়নি। মামলা হলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।