মঙ্গলবার ● ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » ৮,৭১১ হাজার কোটি টাকা দিয়ে ইসি’র ইভিএম কেনার উদ্যোগ রাষ্ট্রীয় অর্থের অপচয়
৮,৭১১ হাজার কোটি টাকা দিয়ে ইসি’র ইভিএম কেনার উদ্যোগ রাষ্ট্রীয় অর্থের অপচয়
ঢাকা :: বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেছেন আগামী জাতীয় নির্বাচনের জন্য দুই লক্ষ ৮,৭১১ কোটি টাকা ব্যয়ে দুই লক্ষ ইভিএম মেশিন কেনার জন্য নির্বাচন কমিশনের উদ্যোগকে অপ্রয়োজনীয় ও রাষ্ট্রীয় অর্থের বিরাট অপচয় হিসাবে আখ্যায়িত করেছেন এবং অবিলম্বে এই উদ্যোগ থেকে সরে আসতে নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহবান জানিয়েছেন। তিনি ক্ষোভের সাথে বলেন, নির্বাচন কমিশনের এই উদ্যোগ অনেকটা ‘গরীবের ঘোড়া রোগে’র মতই।পৃথিবীর উন্নত দেশসমূহ যখন ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ থেকে সরে এসেছে তখন সকল বিরোধীদল ও জনগণের বিরোধিতা ও প্রত্যাখ্যানের মুখে জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম চালুর প্রচেষ্টা নির্বাচনের নিরপেক্ষতা ও ন্যুনতম বিশ্বাসযোগ্যতা পুরোপুরি ধ্বংস করবে।তিনি বলেন,আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সরকারি দলের এজেন্ডা বাস্তবায়নের লক্ষেই যে নির্বাচন কমিশনের জবরদস্তিমূলক এই তৎপরতা তাতে দেশবাসীর কোন সন্দেহ নেই। তাছাড়া দেশের সংকটজনক অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে এই কেনাকাটার চাপও শেষ পর্যন্ত জনগণকেই বহন করতে হবে।
আজ বিকালে পার্টির পল্টন শাখার সদস্যবৃন্দের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি উপরোক্ত বক্তব্য রাখেন।
মতবিনিময়ে অংশ নেন পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কামরুজ্জামান ফিরোজ, পল্টন শাখার কমিটির সম্পাদক ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী , আবদুল গনি খান, ইউসুফ জামিল, লিয়াকত হোসেন সাগর, মোঃ হুমায়ুন শেখ, জাহাঙ্গীর আলম,মহসিন প্রামাণিক প্রমুখ।
মতবিনিময়কালে পার্টির সাধারণ সম্পাদক আগামী ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য পার্টির দশম কংগ্রেস সফল করতে সদস্যদের প্রতি আহবান জানান।
বিএনপি’র নেতা কর্মীদের উপর সরকার দলীয় সসন্ত্রাসীদের হামলা আক্রমণে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির নিন্দা
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক আজ এক বিবৃতিতে গতকাল বনানিতে বিএনপির মোমবাতি প্রজ্বালন কর্মসূচীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিরোধী দলের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে সরকার দলীয় সন্ত্রাসী ও পুলিশী হামলা - আক্রমণ এবং বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দকে আহত করার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, মোমবাতি প্রজ্বালন এর মত একটি শান্তিপূর্ণ নিরিহ কর্মসূচীকেও সরকার ও সরকারি দল সহ্য করতে পারছে না।সারাদেশে এই ধরনের কর্মসূচীকেও বিপজ্জনক মনে করছে।সরকার ও সরকারি দল কতটা বেসামাল ও অস্থিরতায় ভূগছে এসব তার নজির। বিরোধী নেতা কর্মীদের বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেও হামলা করা হচ্ছে।তিনি বলেন, সরকার ও সরকারি দল রাজনীতিতে খুব খারাপ উদাহরণ তৈরী করছে।
বিরোধীদের উপর হামলা আক্রমণ করে সরকার শেষ রক্ষা করতে পারবেনা।
তিনি ক্ষোভের সাথে উল্লেখ করেন, প্রকাশ্যে পুলিশের উপস্থিতিতে সরকার দলীয় সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা বিরোধীদের উপর হামলা আক্রমণ করলেও তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো বিরোধী নেতা কর্মীদের গ্রেফতার ও হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা দায়ের করা হচ্ছে। তিনি বলেন, এসব তৎপরতা সরকারের দমনমূলক স্বৈরতান্ত্রিক চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ। এসব করে শেষ রক্ষা করা যাবেনা।
তিনি এসব সন্ত্রাসী হামলা আক্রমণ অবিলম্বে বন্ধ করার আহবান জানান। একইসাথে এসব সন্ত্রাসী তৎপরতা দেশবাসিকে ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবেলা করারও ডাক দেন।