মঙ্গলবার ● ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১৫ টাকা কেজি দরের চাল না পেয়ে কার্ডধারীদের বিক্ষোভ
সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১৫ টাকা কেজি দরের চাল না পেয়ে কার্ডধারীদের বিক্ষোভ
জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: ঝিনাইদহে সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১৫ টাকা কেজি দরের কার্ড প্রতি ৩০ কেজে চাল বিতরণে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। নিন্ম আয়ের মানুষ ও গরিবের জন্য বরাদ্দ এসব চাল কারসাজি করে খোদ চেয়ারম্যান ও কিছু ইউপি সদস্য হাতিয়ে নিচ্ছেন বলে অভিযোগ করছে এলাকার কার্ডধারী আমজনতা। এ নিয়ে এলাকার বঞ্চিত শত শত হতদরিদ্র সুবিধাভোগীদের মধ্যে প্রচন্ড অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। আবার এলাকার শত শত মানুষের চালের কার্ড অনলাইন করেতে দু’শ, তিন’শ ও চার’শ টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ফুরসন্ধি ইউনিয়নের উদ্যোক্তা মোসাইদুল ইসলামের বিরুদ্ধে। তবে উদ্যোক্তা মোসাইদুল ইসলাম তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বিকার করেছেন।
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ফুরসন্ধি ইউনিয়নের সোনাতনপুর গ্রামের কালামের ছেলে ছাত্রলীগের সভাপতি সেলিম হোসেন সাংবাদিকেদের কাছে অভিযোগ করে জানান, ফুরসন্ধি ইউনিয়নে সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১৫ টাকা কেজি দরের চাল ক্রয়ে ‘সুবিধাভোগীর মূল তালিকায় ৮২৭টি কার্ড থাকলেও অজ্ঞাত কারনে ফুরসন্ধি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জনাব সহিদুল ইসলাম শিকদার ও কিছু ইউপি সদস্যদের কারসাজির কারনে শত শত কার্ডধারীরা সরকারের এ বিশেষ সুবিধা বর্তমান চেয়ারম্যান সহিদুল ইসলাম শিকদার, ডিলার ও কিছু ইউপি সদস্যদের পাচ্ছে না।’ তবে দুইটি ডিলার মিলে মোট ১০৯ জন সরকারী চাল পেয়েছে। আর বাকি শত শত কার্ড ধারীরা হতাশ হয়ে বাড়িতে ফিরে যাচ্ছে। তাহলে ফিরিয়ে দেওয়া বাকি কার্ঢধারীদের শত শত কার্ডের চাল কোথায়??
এদিকে ফুরসন্ধি ইউনিয়নের মোক্তারপুরসহ উক্ত এলাকার সাজু, মহিউদ্দি, পচি, কাশেম, জলীল ও একাধিক নারী ভোক্তাসহ শত শত সারকারী খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১৫ টাকা কেজি দরের চালে কার্ডধারীরা সাংবাদিকদের জানান, ‘আমাদের গত দুইবার চাল দেয়ার পর আর এখন অজ্ঞাত কারনে আমার কার্ডে চাল দিচ্ছে না। ভুক্তভোগী আরো জানান, পুর্বের চেয়ারম্যানের আমলে ‘এ প্রকল্পের চাল দেয়ার আগে চেয়ারম্যান-মেম্বারদের মাধ্যমে তাদের নাম বিবেচনা করে উঠে আসে মূল তালিকায়। তবে বর্তমানে অনেকের চালের কার্ড থাকলেও ফুরসন্ধি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জনাব সহিদুল ইসলাম শিকদার, ডিলার ও কিছু ইউপি সদস্যদের কারসাজিতে আমাদের কার্ড অনলাইন করে দেয়া হয়নি।
সরেজমিনে গিয়ে ভুক্তভোগীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে জানা গেছে, ফুরসন্ধি ইউনিয়নের ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও কিছু ইউপি সদস্য এবং কুশাবাড়িয়া বাজারের ডিলার জনাব তৈয়ব আলী মিনার যোগসাজসে শত শত কার্ডধারীরা এসব সরকারী চাল না পেয়ে বাড়িতে ফিরে যাচ্ছেন।’ এবিষয়ে ইউনিয়নের কুশাবাড়িয়া বাজারের ডিলার ডিলার জনাব তৈয়ব আলী মিনা অজ্ঞাত কারনে সাংবাদিকদের কাছে কোনো প্রকার বক্তব্য দিতে রাজি হননি। ভুক্তভোগীরা আরো জানান সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ফুরসন্ধি ইউনিয়নের সুবিধাভোগীদের নাম তালিকায় থাকলেও এলাকার শত শত মানুষের চালের কার্ড অনলাইন করা হয়নি তাই তারা চাল পাবেন না বলে জানিয়েছেন ডিলারসহ চাল বিতরণ কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে কুশাবাড়িয়া বাজারের ডিলার তৈয়ব আলী মিনার সাংবাদিকদের কাছে বক্তব্য না দিলেও মোক্তারপুর এলাকার ডিলার কর্তৃপক্ষের দায়িত্বে থাকা ওয়াজেদ হোসেন জানান ফুরসন্ধি ইউনিয়নে সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১৫ টাকা কেজি দরের চাল বিতরণে ব্যাপক অনিয়মের ব্যাপারে কার্ডধারী এলাকাবাসির অভিযোগ সম্পুর্ণ সঠিক।
এঘটনায় ঝিনাইদহ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব মোঃ এস এম শাহিন বলেন, আমি সহিদুল ইসলাম শিকদারকে ফোনে ও সরাসরি বলেছি উপস্থিত কার্ডধারীদের সবাইই সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১৫ টাকা কেজি দরের চাল পাবে। তিনি আমার কথা মেনে নিয়ে কোন প্রকার অনিয়ম হবেনা মর্মে কথা দিয়েছেন। এখন অবশ্যই চেয়ারম্যানের সাথে কথা না বলে কিছু বলতে পারছনা আর উদ্যোক্তা মোসাইদুল ইসলামের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিলে তার বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান। একাধিক বার ফোন দিয়েও মুঠোফোন বন্ধ থাকায় এ বিষয়ে অভিযুক্ত ফুরসন্ধি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জনাব সহিদুল ইসলাম শিকদারের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে ইউরিয়নের ৭ নাম্বার ওয়ার্ড সদস্য মহিদুল ইসলাম বলেন অনলাইন করার পর সবাই কার্ডের চাল পাবে। এখানে চেয়ারম্যান সহিদুল ইসলাম শিকদার ও ইউপি সদস্যদের কারসাজির কোনো প্রকার সুযোগ নেই।
ঝিনাইদহে কথিত অনলাইন পত্রিকার কথিত সাংবাদিক ফেন্সিডিলসহ ২জন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহ পৌরসভার উদয়পুর গ্রাম থেকে কথিত অনলাইন পত্রিকার কথিত সাংবাদিক ফেন্সিডিলসহ ২জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ১৯শে সেপ্টেম্বর সোমবার রাত ১ টার দিকে ওই গ্রামের গোরস্থান এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত হলো-ঝিনাইদহ শহরের পবহাটি সৃজনী মোড় এলাকার শাহাজ উদ্দিনের ছেলে ফয়সাল আহম্মেদ ও উদয়পুর গ্রামের মতলেব শাহা’র ছেলে জসিম উদ্দিন। শাহাজ উদ্দিনের ছেলে ফয়সাল আহম্মেদের গ্রামের বাড়ি মহেশপুর এলাকায়। সে ভব নিউজ নামের একটি কথিত অনলাইন পত্রিকার কথিত সাংবাদিকতার পরিচয় দিয়ে মাদক ব্যবসা করে আসছিল। ঝিনাইদহ সদর থানার এস আই রিফাত হোসেন জানান, উদয়পুর গোরস্থান এলাকায় মাদক কেনা-বেঁচা হচ্ছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালানো হয়। সে সময় কথিত অনলাইন পত্রিকার কথিত সাংবাদিকতার পরিচয় দেয়া ফয়সাল ও জসিম নামের দুজনকে হাতে নাতে ৪৭ বোতল ফেন্সিডিলসহ আটক করা হয়। তারা দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসা করে আসছিলো বলে জানিয়েছে এসআই রিফাত হোসেন।
ঝিনাইদহ বংকিরা-আসাননগর সড়কের বেহালদশা
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বংকিরা হতে আসাননগর উত্তরপাড়া জামে মসজিদ পর্যন্ত সড়কে চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সড়কে হেরিংবনের ইটগুলো ভেঙে খানাখন্দে পরিনত হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ জেনেও জনসাধারণ পথ ও সময় বাঁচাতে এই পথটিকেই ব্যাবহার করছেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, এই সড়কটি পথচারিদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এলাকার মানুষ সহজে সদর উপজেলার ডাকবাংলা ও চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বদরগঞ্জের সাথে যোগাযোগ সহজ করেছে। এই গুরুত্বপূর্ণ সড়টি ভেঙে যাওয়ার কারনে অতিকষ্টে চলাফেরা করতে হচ্ছে। তারা আরও জানান, জনগণের সুবিধার দিক বিবেচনা করে বিগত সরকার তৈরি করেন। কিন্তু দীর্ঘদিন সড়কটি সংস্কার না করাই ইট উঠে খানাখন্দে পরিনত হয়ে আজ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। ভুক্তভোগী জনসাধারণ স্থানটি দ্রুত সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন।
তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কেন্দ্র করে শৈলকুপায় দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১৫
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার চর গোলকনগর গ্রামে দোকানে মোবাইল রাখাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল ও শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আহতরা হলেন, একই গ্রামের কোরবান আলী (৫৯), উম্বাত আলী (৫৫), মামুন হোসেন (১৬),ইউনুস আলী (৩৫), শিপন হোসেন, গফুর মোল্লা (৪৫), আব্দুল মজিদ (৫০), রহিম মোল্লা (৫৫), নজির মোল্লা (৫২) ও রাশেদ আলী (২৭)সহ ১৫ জন। স্থানীয়রা জানায়, গত রোববার সন্ধ্যায় ওই গ্রামের ইউনুস মন্ডলের চায়ের দোকানে মোবাইল রেখে বাড়ি চলে যায় একই গ্রামের ইউসুফ মোল্লা। পরে মোবাইল নিতে এলে ইউনুস তা নিজের দাবী করে। এ নিয়ে ওইদিন ইউনুস ও ইউসুফের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এ ঘটনায় সোমবার দুপুরে উভয় পক্ষের লোকজনের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংষর্ঘে বেশ কয়েকজন আহত হয়। এরই জের ধরে মঙ্গলবার সকালে আবারো উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। আহতদের উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল ও শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আবারো সংঘর্ষ এড়াতে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। শৈলকুপা থানার ওসি আমিনুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। লিখিত আভিযোগ পেলে মামলা নেওয়া হবে।