মঙ্গলবার ● ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » হাতির ভয়ে নির্ঘুম রাত কাটাছে লংগদুতে চাইল্যাতলীর বাসিন্দারা
হাতির ভয়ে নির্ঘুম রাত কাটাছে লংগদুতে চাইল্যাতলীর বাসিন্দারা
লংগদু প্রতিনিধি :: হাতি আতঙ্কে প্রতিদিন নির্ঘুম রাত কাটছে লংগদু উপজেলার চাইল্যাতলী গ্রামবাসীর। পাহাড়ি হিংস্র বন্যহাতির দল খাবারের সন্ধানে দল বেঁধে ঢুকে পড়ছে লোকালয়ে। শস্য, ধান,পেপে,পেয়ারা,লিচু আম, কাঁঠালসহ বিভিন্ন আবাদ করছে নষ্ট। ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে দিচ্ছে গরিব গ্রামবাসীদের ঘরবাড়ি। বাধা দিলে পায়ের নিচে পিষ্ট করে মারছে অসহায় মানুষদের।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, একসময় গহিন এই অরণ্যে ছিলো বন্যহাতির আবাসস্থল। হাতির জন্য পাহাড়ে ছিল প্রচুর খাদ্য। ঘন এই বন জঙ্গলে প্রবেশের উপায় ছিলো না মানুষের। তখন এসব এলাকায় ছিলো হাতির অবাধ বিচরণ।
কিন্তু বনের সব গাছ উজাড় করে হাতির আবাসস্থল ধ্বংস করে দিয়েছে। এর ফলে খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে পাহাড়ি বন্যহাতির।
স্থানীয় যুবক ও সমাজকর্মী আয়নুল হক বলেন, লংগদু উপজেলার গুলশাখালী,বগাচতর, ভাসান্যাদমের পাহাড়ি অঞ্চল চষে বেড়ায় বন্যহাতির দল। চলতে চলতে খাবার খায় এরা। বিশাল দেহের জন্য প্রয়োজন অনেক খাবার।
এভাবে খেতে খেতে খাবার সরবরাহ কমে গেলে দলবেঁধে পাহাড় থেকে নেমে আসে লোকালয়ে। হামলা চালায় মানুষদের ধানখেতে। বাগানের আম, কাঁঠাল,পেয়ারা,লিচু,পেপে খেয়ে করে সাবাড়। এভাবে হাতির আক্রমণ ও আবাদ বাঁচাতে প্রাণ গেছে অনেক মানুষের। প্রায় ৩০ বছর ধরে হাতির অত্যাচারে অতিষ্ঠ লংগদু উপজেলার পাহাড়ি জনপদের মানুষজন।
ভাসান্যাদম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. হযরত আলী বলেন, হাতি একটি বন্যপ্রাণী। আন্তর্জাতিকভাবেই হাতি মারা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। হাতিকে আক্রমণ না করলে হাতি সহজে আক্রমণ করে না। মানুষ যখন হাতিকে আক্রমণ করে তখন রাগান্বিত হয়ে হাতি মানুষের ওপর হামলা চালায়। তিনি বলেন, হাতির প্রচুর খাবার প্রয়োজন। খাদ্যের অভাবের কারণেই হাতি পাহাড়ি অঞ্চলে অবাধে ঘুরে বেড়াচ্ছে। হাতির খাদ্য সংকট নিরসনের ব্যাপারে সরকারি উদ্যোগ গ্রহণ করা অতি জরুরী।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, হাতি ও মানুষ সহবস্থানে থাকতে গেলে সরকারি উদ্যোগে পাহাড়ে কলা, আম, কাঁঠাল গাছ লাগাতে হবে, যেন হাতির পর্যাপ্ত খাবার সেখানে থাকে। তাহলে যদি মানুষ কিছুটা স্বস্থি পায়।