বুধবার ● ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » দেখা মিলেছে চার পা বিশিষ্ট মোরগ
দেখা মিলেছে চার পা বিশিষ্ট মোরগ
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: ঝিনাইদহে দেখা মিলেছে চার পা ওয়ালা মোরগ। অবিশ্বাস্য হলেও এমন মোরগের সন্ধান মিলেছে ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের মাইলমারি গ্রামে। ওই গ্রামের আইয়ুব আলী নামে এক খামারীর খামারে চার পা বিশিষ্ট মোরগের সন্ধান মিলেছে। এ নিয়ে রীতিমতো এলাকা জুড়ে হৈচৈ পড়ে গেছে। আশপাশের গ্রামের মানুষ মোরগটি দেখতে ভিড় করছে ওই খামারে। খামারি আইয়ুব আলী জানান, তিনি দীর্ঘদিন ধরে পোল্ট্রি মুরগি পালন করে আসছেন। কিছুদিন আগে খামারে পাকিস্তানি জাতের ডিমপাড়া কিছু মুরগি তোলেন তিনি। হঠাৎ একদিন চার পায় বিশিষ্ট মোরগটি দেখতে পেয়ে আলাদা করে রাখেন। আস্তে আস্তে মোরগটি খামারেই বড় হয়। স্থানীয় এক সাংবাদিক খামারে গেলে তিনি বিষয়টি জানান। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চার পা বিশিষ্ট মোরগের ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে উৎসুক মানুষ দেখতে ভীড় করতে থাকেন। এখনও প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষ মোরগটি দেখতে ছুটে আসছেন। মুরগি দেখতে আসা মিজানুর রহমান নামে এক দর্শনার্থী জানান, জীবনে চার পা ওয়ালা মোরগ দেখিনি। সবই আল্লাহর কুদরত। বিষয়টি নিয়ে শৈলকুপা উপজেলা প্রাণীসম্পদের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডাঃ মামুন খান জানান, এমন ঘটনা সাধারণত দেখা যায় না। একটা মোরগের সাধারণত দুটো পা হয়। তবে ৪টি পা এটা জিনগত বা ক্রোমোজমের ত্রুটির কারণে হয়ে থাকতে পারে। পাকিস্তানি এ জাতের মোরগ-মুরগি যেহেতু ডিমের জন্য তৈরি হয়, তাই জিনগত ত্রুটি দেখা দিতেই পারে। কাজেই এটাকে অস্বাভাবিক বলা যাবে না, অবশ্যই ঘটনাটি বিরল।
দীর্ঘ ১১ বছর পর সংঘবদ্ধ ধর্ষন মামলার রায় ঘোষনা
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহে এক গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ভাবে ধর্ষণ ও পরে নৃশংসভাবে হত্যার অভিযোগে নয় আসামীর যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রদান করেছে আদালত। একইসঙ্গে প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে চার মাসের সশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত করা হয়। মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঝিনাইদহ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোঃ মিজানুর রহমান এই রায় ঘোষণা করেন। মন্ডপ্রাপ্তরা হলেন ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বিষয়খালী এলাকার আশরাফ উদ্দীন শেখের ছেলে গোলাম রসুল (১), তাহের উদ্দীন মন্ডলের ছেলে (পলাতক) শরিফুল ইসলাম, হুরমত আলীর ছেলে (পলাতক) আমিরুল ইসলাম, শামসুদ্দীনের ছেলে গোলাম রসুল, আইয়ুব আলীর ছেলে আব্দুল আজিজ, আফজাল হোসেনের ছেলে আজিজুর রহমান, দাউদ বিশ^াসের ছেলে জাহিদুল ইসলাম, দলিল উদ্দীন মন্টুর ছেলে বাদশা মিয়া ও কেশবপুর গ্রামের গোলাপের ছেলে আব্দুল বাতেন। এদের মধ্যে শরিফুল ও আমিরুল ইসলাম পলাতক রয়েছে। মামলার রায় সুত্রে জানা গেছে, ২০১১ সালের ১২ মার্চ রাতে মাসে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বিষয়খালী গ্রামের আরব আলীর স্ত্রী রেনু বেগমকে তুলে নিয়ে পার্শ্ববর্তী বাঁশবাগানে নিয়ে আসামীরা রাতভর ধর্ষণ করে। পরে তারা ওই নারীকে হত্যা করে লাশ ফেলে রেখে যায়। ১৩ মার্চ লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী আরব আলী বাদী পরদিন ১৬ জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ ১১ বছর পর সাক্ষ্য প্রমানের ভিত্তিতে আদালত এই রায় ঘোষনা করেন। মামলার বাদী ও নিহতের স্বামী আরব আলী মঙ্গলবার বিকালে বলেন, ২০১১ সালে আমার স্ত্রীকে আসামীরা ধর্ষণের পর হত্যা করে। আসামিদের যাবজ্জীবন কারাদন্ড না হয়ে ফাঁসি হলে তিনি খুশি হতেন। তারপরও শাস্তি হয়েছে এতে আমি খুশি। ঝিনাইদহ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট বজলুর রহমান বলেন, ১০ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড হলেও একজন মারা যাওয়ায় তাকে বেকসুর খালাস দিয়েছে আদালত। রায়ে পলাতক আসামিদের গ্রেফতার দ্রুত করতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বিজিবির অভিযানে চারটি সোনার বারসহ পাচারকারী আটক
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহের মহেশপুর ৫৮ বিজিবির অভিযানে চারটি সোনার বারসহ তাজমুল হোসেন (৩০) নামে এক পাচারকারীকে আটক করেছে। এ সনময় চোরাচালানে সহায়তাকারী মোঃ মজিদ মন্ডল পালিয়ে যায়। মঙ্গলবার দুপুরে বিজিবির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এখবর জানানো হয়। বিজিবি সুত্রে জানা গেছে, সোমবার সন্ধ্যার দিকে মহেশপুর ৫৮ ব্যাটালিয়নের অধিনস্ত গয়েশপুর বিওপির টহলদল চুয়াডাংগার জীবননগর উপজেলার গয়েশপুর গ্রামে অভিযান চালায়। এ সময় স্থানীয় জাকামোল্লা ইটভাটার কাছ থেকে পাচারের উদ্দেশ্যে অপেক্ষমান চোরাকারবারীদের ধাওয়া করে। চোরাকারবারীরা দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করলে বিজিবি চুয়াডাঙ্গার তাজমুল হোসেনকে আটক করে। আটককৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি জানান তার কাছে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে আমদানীকৃত সোনার বার রয়েছে, যা ভারতে পাচার করা হচ্ছিল। তাজমুলের দেহ তল্লাসী করে ৪৪৯.৫৩ গ্রাম ওজনের সোনার বার উদ্ধার করে বিজিবি। এ ঘটনায় তাজুমল ও পালিয়ে যাওয়া আব্দুল মজিদের বিরুদ্ধে জীবননগর থানায় মামলা হয়েছে।