শনিবার ● ১ অক্টোবর ২০২২
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » অনৈতিক কাজ করতে গিয়ে ধরা খেলেন শিক্ষক
অনৈতিক কাজ করতে গিয়ে ধরা খেলেন শিক্ষক
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার সরকারি নলডাঙ্গা ভূষণ পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মনোয়ার হোসেন অসিম এক নারীর সাথে অনৈতিক কাজ করতে গিয়ে ধরা খেয়েছেন। এসময় স্থানীয়রা ধরে ওই শিক্ষককে মারধর করেন। বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে যশোরে এ ঘটনা ঘটে। স্কুল শিক্ষক মনোয়ার হোসেন অসিম রঘুনাথপুর রোস্তম আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আমির হোসেনের ছেলে। জানা গেছে, সরকারি নলডাঙ্গা ভূষণ পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ক্রীড়া শিক্ষক মনোয়ার হোসেন অসিম মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন সময় মেয়েদের উত্ত্যক্ত করতো। সম্প্রতি সে যশোরের একটি মেয়েরে সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। সেই মেয়েকে নিজেকে অবিবাহিত বলে ম্যাসেঞ্জারে লেখেন শিক্ষক অসিম। এরপর তিনি গতকাল বৃহস্পতিবার দেখা করতে যান। দেখা করতে গিয়ে স্থানীয়দের কাছে ধরা খেয়ে যান শিক্ষক অসিম। স্থানীয়দের জেরার মুখে তিনি উল্টা-পাল্টা কথা বলতে থাকেন। এরপর তাকে কয়েকটি চড় থাপ্পড় মারেন স্থানীয়রা। মরধরের ফলে তার শরীরে থাকা জামা-কাপড় ছিড়ে যায়। সম্প্রতি ওই স্কুল শিক্ষক কালীগঞ্জ শহরের দশতলা ভবনের পিছনে এক মহিলার বাড়িতে গিয়ে ধরা পড়েন। কিন্তু সবাইকে ম্যানেজ করে সে যাত্রা রক্ষা পান। এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্কুল শিক্ষক মনোয়ার হোসেন অসিম মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করেন। সরকারি নলডাঙ্গা ভূষণ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মকবুল হোসেন তোতা জানান, এটি সাংঘাতিক অপরাধ। যদি এমন কাজ ওই শিক্ষক করে থাকেন তাহলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এদিকে শিক্ষকের এমন অনৈতিক কাজে জড়িত থাকায় শহরজুড়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। অবিলম্বে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন অভিভাবক মহল।
পূর্ব শত্রুতার জের : ডেলিভারী ম্যানকে কুপিয়ে জখম
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহে পূর্ব শত্রুতার জেরে রবিউল ইসলাম (৪৫) নামে এক ডলিভারী ম্যানকে কুপিয়ে মারাত্বক জখম করেছে দুবৃর্ত্তরা। বুধবার রাত ৯টার দিকে সদর উপজেলার হাটবাকুয়া এলাকায় এঘটনা ঘটে। তার আর্তচিৎকারে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করেছে। আহত রবিউল শহরের ফাগুনজ্যোতি এন্টারপ্রাইজের ডেলিভারী ম্যান হিসাবে কর্মরত ও কালীচরনপুর ইউনিয়নের হাটবাকুয়া গ্রামের মৃত লাল মিয়া মন্ডলের ছেলে। জানা গেছে, পেশাগত কাজ শেষে বালিয়াডাঙ্গা বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিল রবিউল। পথিমধ্যে ওই এলাকার কতিপয় ব্যক্তি দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে অতর্কিত ভাবে পিটিয়ে ও কুপিয়ে গুরুতর আহত করে ফেলে রেখে চলে যায়। রাম দার কোপে রবিউলের দুই পা ও বামহাতে গভীর ক্ষত হয়। এ ঘটনায় বাদী হয়ে আহতের স্ত্রী মোছা খুরশিদা খানম মামলা করবেন বলে জানান। সদর থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ সোহেল রানা জানান, বিষয়টি আমি শুনেছি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
মহেশপুর সীমান্ত দিয়ে পাচার হওয়া স্বর্ণের বারের আসল মালিক কারা?
ঝিনাইদহ :: দেশের দক্ষিনপশ্চিমের জেলা ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্ত দিয়ে স্বর্ণের বার পাচার অব্যাহত রয়েছে। জেলার মহেশপুর উপজেলার জুলুজী সীমান্তের যাদবপুর গ্রাম থেকে চল্লিশটি স্বর্ণের বারসহ শওকত আলী (৫০) নামে এক পাচারকারীকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ওই উপজেলার মাটিলা সীমান্ত দিয়ে ভারতে পাচারের সময় এই সোনার বারগুলো জব্দ করা হয়। জব্দকৃত সোনার বর্তমান বাজার মুল্য ৩ কোটি ৩১ লাখ ৯২ হাজার ২১৮ টাকা। ঝিনাইদহের মহেশপুর ৫৮ বিজিবির পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শাহিন আজাদ জানান, গোপন তথ্যে ভিত্তিতে জুলুজী সীমান্তের যাদবপুর গ্রামের রাস্তা থেকে শওকত আলীকে আটক করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে চল্লিশটি স্বর্ণের বার জব্দ করা হয়। যার ওজন ৪ কেজি ৬৬৮ গ্রাম। বিজিবির পক্ষ থেকে মামলা দিয়ে তাকে মহেশপুর থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। এদিকে ঝিনাইদহ ও চয়াডাঙ্গার সীমান্ত দিয়ে সোনার বার ও রুপা পাচারের একাধিক ঘটনা বিজিবি প্রতিরোধ করেছে। কিন্তু এই সোনার প্রকৃত মালিক বরাবর থেকে যায় পর্দার আড়ালে। র্যাব, পুলিশ বা বিজিবি কেবল বহনকারীকেই গ্রেফতার করতে সক্ষম হন। অনেক সময় মালিকবিহীন সানা বা রুপা উদ্ধারের ঘটনা ঘটে। তথ্য নিয়ে জানা গেছে, সোনার বার ভারতে পাচার হয়ে গহনা তৈরী হয়ে আবারো বাংলাদেশে পাচার করা হচ্ছে।