শিরোনাম:
●   দীর্ঘ সময়ের জন্য অনির্বাচিত সরকার থাকা নানা দিক থেকে ঝুঁকি সৃষ্টি করে ●   সাবেক সিনিয়র সচিব মহিবুল হককে প্রতিহিংসামূলক মামলায় জড়িয়ে জেলে পোরা হয়েছে ●   দীপংকরের অবৈধ সম্পদ অর্জনের জোগানদাতা অংসুইপ্রু, বৃষকেতু,মুছা ও রেমলিয়ানা ●   ২০২৪ এর গণঅভ্যুত্থান শহীদদের স্বপ্ন বাস্তবায়নের সুযোগ সৃষ্টি করেছে ●   রাঙামাটিতে মহান বিজয় দিবসে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির শ্রদ্ধাঞ্জলী ●   মীরপুরে বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির শ্রদ্ধা নিবেদন ●   শহীদ বুদ্ধিজীবীসহ লক্ষ লক্ষ শহীদদের জীবনদানের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ জাতিরাষ্ট্রের উন্মেষ ঘটেছে ●   বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি রাঙামাটি জেলা কমিটির কাউন্সিলে সভাপতি নির্মল বড়ুয়া মিলন, সম্পাদক জুঁই চাকমা ●   ফটিকছড়িতে সম্মিলিত বৌদ্ধ সমাজের নতুন অফিস উদ্বোধন ●   রাজনৈতিক পার্থক্য স্বত্বেও আমাদেরকে ন্যুনতম ইস্যুতে জাতীয় সমঝোতা প্রতিষ্ঠা করতে করতে হবে : সাইফুল হক ●   যে কোন উসকানি মোকাবেলা করে জনগণের ঐক্য বজায় রাখতে হবে- বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি ●   রাঙামাটিতে স্বৈরাচারের দোসর আমির আলির অত্যাচার থেকে মুক্তির দাবি ●   রাঙামাটি জোন এর ব্যবস্থাপনায় বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও ঔষধ প্রদান ●   রাঙামাটি জোন এর ব্যবস্থাপনায় রাঙামাটিতে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ ●   ২৭ বছরও শান্তি চুক্তি পাহাড়ে বসবাসরত সকল জনগোষ্ঠীর অধিকার রক্ষায় সম্পূর্ণ ব্যর্থ ●   দৈনিক ভোরের চেতনা ২৬ বছরে পদার্পণ ●   মুখলেছুর রহমান ভুঁইয়া আর নেই ●   রাঙামাটি রাজবন বিহারে আসার পথে বাস উল্টে বড়ুয়া জনগোষ্ঠীর ২২ পূণ্যার্থী আহত ●   পরিকল্পিত ভাবে সাম্প্রদায়িক উসকানি সৃষ্টি করা হচ্ছে : গণতন্ত্র মঞ্চ ●   রাঙামাটি জেলা প্রশাসনে নতুন ডিসি ইশরাত ফারজানা
ঢাকা, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১

Daily Sonar Bangla
মঙ্গলবার ● ১১ অক্টোবর ২০২২
প্রথম পাতা » কৃষি » পোকা দমনে বাড়ছে আলোক ফাঁদ পদ্ধতি
প্রথম পাতা » কৃষি » পোকা দমনে বাড়ছে আলোক ফাঁদ পদ্ধতি
৩৭৪ বার পঠিত
মঙ্গলবার ● ১১ অক্টোবর ২০২২
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

পোকা দমনে বাড়ছে আলোক ফাঁদ পদ্ধতি

ছবি : সংবাদ সংক্রান্ত নাজমুল হক নাহিদ, আত্রাই (নওগাঁ) প্রতিনিধি :: উত্তর জনপদের শস্য ভান্ডার খ্যাত নওগাঁ জেলার আত্রাই উপজেলার কৃষকদের কাছে ফসলে আক্রান্ত পোকা-মাকড় চিহ্নিত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করার জনপ্রিয় একটি পদ্ধতির নাম আলোক ফাঁদ পদ্ধতি। দিন দিন উপজেলার কৃষকরা এই কৃষিবন্ধব পদ্ধতির প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠছেন।

আলোক ফাঁদ পদ্ধতিটি হচ্ছে রাতের বেলায় খেতে বৈদ্যুতিক বাল্ব টাঙানো হয়। বাল্বের নিচে পাত্র রাখা হয়। ওই পাত্রের মধ্যে ডিটারজেন্ট বা কেরোসিনমিশ্রিত পানি থাকে। আকৃষ্ট হয়ে পোকামাকড় আলোর কাছে আসে এবং পাত্রের পানির মধ্যে পড়ে মারা যায়। ওই পোকামাকড় দেখে ক্ষতিকর পোকামাকড়ের উপস্থিতি নির্ণয় করা হয়।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কৃষিজমিতে মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশক ব্যবহার প্রাকৃতিক জীববৈচিত্র, পরিবেশ, পশুপাখি ও মানুষের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে। কীটনাশক প্রয়োগে ফসলের শত্রু পোকার পাশাপাশি মিত্র পোকাও ধ্বংস হয়। এতে ফসলি জমির পরিবেশ ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ে দিনদিন। যা ভবিষ্যতে কৃষিক্ষেত্রের জন্য একটি বড় রকম বিপর্যয় দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা কৃষি বিভাগের।

তাই কীটনাশকের ক্ষতিকর প্রভাব ও ধানের ক্ষতিকর পোকার আক্রমণ থেকে ধান রক্ষা করতে উপজেলা কৃষি অফিসের উদ্যোগে মাঠপর্যায়ে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের সার্বিক সহযোগিতায় উপজেলার প্রতিটি ব¬কে আলোকফাঁদ স্থাপন করা হচ্ছে।

বর্তমানে উপজেলার ৮টিইউনিয়নের ২৪টি ব্লকে উপজেলা কৃষি অফিসের উদ্যোগে ও উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের সার্বিক সহযোগিতায় সন্ধ্যায় ফসলের ক্ষেতে পোকা-মাকড়ের উপস্থিতি যাচাইয়ের জন্য এই আলোক ফাঁদ স্থাপন করা হচ্ছে। এই পদ্ধতিটি বর্তমানে উপজেলার কৃষকদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, রোপা-আমন ধানের ক্ষেতের আইলে কোথাও পানি ভর্তি পাত্রে, কোথাও কাগজের উপড় আলো জ্বেলে ধানে আক্রমণাত্মক বিভিন্ন পোকা ধরছেন। কৃষকরা নিজেই জমিতে এই পোকাগুলোর উপস্থিতি দেখে ধান ক্ষেতে পোকার আক্রমণের আগেই কোন ঔষধ প্রয়োগ করতে হবে তা খুব সহজেই নিরূপন করতে পারছেন। এই পদ্ধতি ব্যবহার করে কৃষকরা নিজেই তাদের আমন ক্ষেতে কোন ঔষধ প্রয়োগ করতে হবে তা স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তার সহযোগিতায় প্রয়োগ করতে পারছেন। এতে করে পোকার আক্রমনের আগেই প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারছেন উপজেলার কৃষকরা। এই আলোক ফাঁদ ব্যবহার করে এলাকার অনেক কৃষক বর্তমানে খুব কম ওষুধ ব্যবহার করছেন। এতে কৃষকদের খরচ অনেকটাই কমে আসছে এবং ধানের উৎপাদনের পরিমাণও বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই এবার ইরি-বোরো ধান ও অন্যান্য ফসল উৎপাদনে কৃষক লাভবান হবে বলে আশা করছেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।

উপজেলার বজ্রপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল মজিদ মন্ডল বলেন, এই পদ্ধতি ব্যবহার করে অনেক উপকৃত হয়েছি। সহজ লভ্য এই পদ্ধতি ব্যবহার করে তারা খুব সহজেই খেতের পোকামাকড়গুলো নিধন করতে পারছেন। পোকামাকড়গুলোর উপস্থিতি চিহ্নিত করে সঙ্গে সঙ্গে প্রতিরোধ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারছেন। এতে করে তাদের খরচ অনেকটাই কমে এসেছে। এটা পরিবেশ বান্ধব একটি পদ্ধতি।

এ ব্যাপারে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা কেরামত আলী জানান, উপজেলার কৃষক সহজ লভ্য এই পদ্ধতি ব্যবহার করে তারা খুব সহজেই ক্ষেতের পোকামাকড়গুলো নিধন করতে পারছেন। উপজেলা কৃষি অফিসের অনুপ্রেরনায় কৃষকরা বর্তমানে এই “আলোক ফাঁদ” পদ্ধতির প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠছেন। এই পদ্ধতি ব্যবহার করে কৃষকরা সহজেই ধানের শত্রু বিভিন্ন পোকা নিধন করতে পারছেন। এতে করে আমন ক্ষেত পোকার আক্রমন থেকে রক্ষা পাচ্ছে। এটি একটি পরিবেশ বান্ধব পদ্ধতি।

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ কে এম কাউছার হোসেন জানান, এটি একটি সহজলভ্য পদ্ধতি। উপজেলার কৃষকরা এই পদ্ধতি ব্যবহার করে খুব সহজেই ধানের ক্ষেতে পোকা-মাকড়ের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারেন। কৃষকরা যদি এই পদ্ধতিটি ইরি-বোরো মৌসুমে অব্যাহত রাখেন তাহলে একদিকে তাদের ধান উৎপাদনে খরচ কম হবে এবং অপরদিকে ধানের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে।





আর্কাইভ