বৃহস্পতিবার ● ২৭ অক্টোবর ২০২২
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » ড্রেজার ডুবে যাওয়ার ঘটনায় ৫ শ্রমিকের লাশ উদ্ধার
ড্রেজার ডুবে যাওয়ার ঘটনায় ৫ শ্রমিকের লাশ উদ্ধার
আকতার হোসেন, মিরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি :: মিরসরাইয়ে ড্রেজার ডুবে ৮ শ্রমিক নিখোঁজের পর একে একে ৪ জন এবং সর্বশেষ বুধবার রাতে আরও একজন সহ সর্বমোট ৫ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
উদ্ধারকৃত শ্রমিকরা হলেন, আল আমিন (২০) মঙ্গলবার দিবাগত রাতে যার লাশ উদ্ধার করা হয়। বুধবার জাহিদ (২৯), ইমাম (২৫), মাহমুদ (২২) বুধবার (২৬ অক্টোবর) সকাল দশটার দিকে এ চারজনের লাশ উদ্ধার করা হয় এবং বুধবার দিবাগত রাতে আরও একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
ড্রেজারটি উপুড় হয়ে থাকায় বাকিদের উদ্ধার করা সম্ভব হচ্ছে না। উদ্ধার কাজে একটি টাগবোট কাজ করছে। টাগবোট দিয়ে ড্রেজারটি উল্টাতে পারলেই বাকিদের মরদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হবে।
উল্লেখ্য, সোমবার (২৪ অক্টোবর) রাত আটটায় মিরসরাই ইকোনমিক জোনে বসুন্ধরা গ্রুপের বালি উত্তোলনের সময় একটি ড্রেজার ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের তান্ডবের কবলে পড়ে ডুবে যায়। এ সময় ড্রেজারে থাকা আট শ্রমিক নিখোঁজ হয়।
মঙ্গলবার রাতে স্থানীয়রা এক শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার করলেও রাত ১২টায় পরিবেশ বিবেচনায় উদ্ধার অভিযান স্থগিত করে উপজেলা প্রশাসন। পুনরায় বুধবার সকাল নয়টা থেকে উদ্ধার অভিযান চালিয়ে ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকর্মীরা তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করে। উদ্ধার অভিযান চলমান রয়েছে।
তবে নিখোঁজ শ্রমিকদের লাশের অপেক্ষায় সাগরপাড়ে অপেক্ষার প্রহর গুনছেন স্বজনরা।
মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিনহাজুর রহমান বলেন, নিখোঁজ ৮ শ্রমিকের মধ্যে বুধবার দিবাগত রাত পর্যন্ত পাঁচ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি তিনজনের লাশ উদ্ধারে একটা ভলগেট ব্যবহার করা হয়েছে।
উপজেলার ১৬ নম্বর সাহেরখালি ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ৩ নম্বর বসুন্ধরা এলাকায় বেড়িবাঁধ থেকে এক হাজার ফুট গভীরে সাগরের মাঝে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সৈকত এন্টারপ্রাইজের বালু উত্তোলনের ড্রেজার মেশিন রাখা ছিল। রাতে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের কবলে সেখান থেকে আট শ্রমিক নিখোঁজ হন।
ড্রেজার ডুবির ঘটনায় উদ্ধার হওয়া ৪ জনের লা-শ দাফনের জন্য গ্রামের বাড়িতে নেওয়া হয়েছে।
মিরসরাইয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ব্যবসায়ী জাফরের মৃত্যু
মিরসরাই :: মিরসরাইয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ব্যবসায়ী জাফর আলম (৪০) মৃত্যুবরন করেছেন।
মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) সকাল সাড়ে নয়টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
মিরসরাইয়ের বারইয়ারহাট পৌরসভার মসজিদ রোড়ের আলম ফ্যাশন এর স্বত্বাধিকারী জাফর আলম গত ১৭ অক্টোবর বারইয়ারহাট খাঁন সিটি সেন্টারের সামনে মোটরসাইকেল দু-র্ঘটনায় গু-রুতর আ-হত হয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
ব্যবসায়ী জাফর আলম ২ নং হিঙ্গুলী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের মধ্যম আজমনগর গ্রামের গনি সওদাগর বাড়ির মৃত কামাল মোস্তফা প্রকাশ কামাল সওদাগরের পুত্র এবং ১ পুত্র ও ১ কন্যা সন্তানের জনক।
নিহত জাফর আলমের বড় ভাই নুরুন নবী জানান, গত ১৭ অক্টোবর (সোমবার) রাতে দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফেরার পথে খাঁন সিটি সেন্টারের সামনে নোয়াখালী থেকে চট্টগ্রাম গামী বাঁধন পরিবহনের একটি বাস পার্কিং করার সময় পিছন থেকে আমার ভাইয়ের মোটরসাইকেলের সাথে সংঘর্ষ হয়। এতে আমার ভাই আহত হলে স্থানীয়রা উদ্ধার করে প্রথমে কমফোর্ট হাসপাতালে ভর্তি করার পর সেখানে অবস্থার অবনতি ঘটলে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৮ দিন পরে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে সে মৃত্যুবরন করে। মঙ্গলবার মাগরিবের সময় তার মরদেহ বাড়িতে আনা হয়েছে। আমরা চার ভাই দুই বোনের মধ্যে জাফর চতুর্থ।
বারইয়ারহাট কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব মাওলানা নিজাম উদ্দিন আনছারী দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ব্যবসায়ী জাফর আলম খুব ধার্মিক, শান্ত ও কোমল প্রকৃতির একজন মানুষ ছিলেন। গত ১৭ অক্টোবর দোকান বন্ধ করে আমার কাছ থেকে বিদায় নেওয়ার আধঘন্টা পরে তার আহত হওয়ার খবর পেয়ে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তাকে দেখে আসি।
জোরারগঞ্জ হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ আলমগীর হোসেন জানান, বারইয়ারহাট খাঁন সিটি সেন্টারে দুর্ঘটনা কবলিত বাঁধন পরিবহনের বাস ও মোটরসাইকেল থানা হেফাজতে রয়েছে এবং এবিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন।
মঙ্গলবার এশার নামাজের পর মধ্যম আজমনগর গাউছিয়া ঈদগাহ মাঠে ব্যবসায়ী জাফর আলমের জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।