সোমবার ● ৩১ অক্টোবর ২০২২
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » ভোটের অধিকার না থাকায় নারীরা আরও ক্ষমতাহীন হয়েছে
ভোটের অধিকার না থাকায় নারীরা আরও ক্ষমতাহীন হয়েছে
ঢাকা :: গত শুক্রবার শ্রমজীবী নারী মৈত্রীর কেন্দ্রীয় কাউন্সিলে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক জননেতা সাইফুল হক নারীর অধিকার ও মর্যাদা পরিপন্থী সকল আইন ও বিধিবিধান বাতিল করার আহবান জানিয়েছেন এবং বলেছেন সমাজের অর্ধেক জনগোষ্ঠীকে অধিকার বঞ্চিত করে কোন দেশ তার উন্নয়ন ও নিশ্চিত করতে পারেনা।তিনি বলেন, অর্থনৈতিক দুর্গতি ও খাদ্যপণ্যের ভয়াবহ মূল্যবৃদ্ধিতে দেশের শ্রমজীবী -মেহনতী নারীরা আজ সবচেয়ে বেশী কষ্টে আছে।তাদের এক বড় অংশ ইতিমধ্যে নতুন করে গরীব হয়েছে।
তিনি ক্ষোভের সাথে উল্লেখ করেন, সরকার একদিকে নারীদের ক্ষমতায়নের কথা বলছে, আর অন্যদিকে নারী বিরোধী নানা অপতৎপরতাকে মদদ যুগিয়ে চলেছে ; নারীবিদ্বেষী মহলকে প্রশ্রয় দিয়ে আসছে। তিনি বলেন, ভোটের অধিকার না থাকায় দেশে নারীরা আরও ক্ষমতাহীন, আরও মর্যাদাহীন হয়েছে।
তিনি নারীর অধিকার ও মুক্তি অর্জনে নতুন নারী জাগরণের আহবান জানান।
তোপখানা রোডে বিএমএ ভবন চত্তরে কাউন্সিলের এই উদ্বোধনী সভাঅনুষ্ঠিত হয়।
সংগঠনের সভাপতি বহ্নিশিখা জামালীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সভায় সংহতি বক্তব্য রাখেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ণৃ - বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক ডঃ মোশরেকা অদিতি হক, খেতমজুর ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আকবর খান, বিপ্লবী কৃষক সংহতির সভাপতি আনছার আলী দুলাল, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির ঢাকা মহানগর কমিটির সভাপতি মোফাজ্জল হোসেন মোশতাক, সংহতি সংস্কৃতি সংসদের সাধারণ সম্পাদক এপোলো জামালী, বিপ্লবী গারমেন্টস শ্রমিক সংহতির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, বিপ্লবী গারমেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি অরবিন্দু বেপারি বিন্দু, বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক রাশিদা বেগম, যুগ্ম সম্পাদক স্নিগ্ধা সুলতানা ইভা, মুক্তা ইসলাম, রহিমা খাতুন প্রমুখ।
সভার সভাপতি বহ্নিশিখা জামালী বলেন, ঘরে - বাইরে - কর্মস্থলে সর্বত্র নারী নিরাপত্তাহীন। রাষ্ট্র ও সমাজ নারীবান্ধব না হয়ে নারীর প্রতি বৈরী আচরণ করে আসছে।তিনি বলেন, বিদ্যমান সরকার ও শাসনব্যবস্থা নারী শ্রমের মর্যাদা ও স্বীকৃতি দিতে ব্যর্থ হয়েছে।
তিনি অধিকার আদায়ে লড়াই সংগ্রাম বেগবান করার ডাক দেন।
সকালে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে কাউন্সিল শুরু হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর নারীদের র্যালী রাজপথ প্রদক্ষিণ করে সেগুনবাগিচায় এসে শেষ হয়।