বুধবার ● ২ নভেম্বর ২০২২
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » কে হচ্ছেন বিশ্বনাথ পৌরসভায় প্রথম মেয়র
কে হচ্ছেন বিশ্বনাথ পৌরসভায় প্রথম মেয়র
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: আজ বুধবার ২রা নভেম্বর অনুষ্ঠিত হচ্ছে বহুল প্রতিক্ষিত বিশ্বনাথ পৌরসভার প্রথম নির্বাচন। ইতিমধ্যে ভোটগ্রহন সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন। এই নির্বাচনে মেয়র পদে ৭ জন, ৩টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে মহিলা কাউন্সিলর পদে ১৪ জন ও ৯টি সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ৬০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। কে হচ্ছেন বিশ্বনাথ পৌরসভার প্রথম মেয়র এ নিয়ে ভোটারদের মধ্যে চলছে নানা হিসেব-নিকেশ ও বিচার-বিশ্লেষণ?
নির্বাচন সুষ্টু ও শান্তিভাবে উৎসবমুখর পরিবেশে সম্পন্ন করতে ইতিমধ্যে সকল নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনের পক্ষ হতে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।
প্রথম বিশ্বনাথ পৌরসভার নির্বাচনে মেয়র পদে দলীয় প্রার্থী হিসেবে ‘নৌকা’ প্রতীক নিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমদ, ‘খেজুর গাছ’ প্রতীক নিয়ে উপজেলা জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মোহাম্মদ শিব্বির আহমদ এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ‘জগ’ প্রতীক নিয়ে উপজেলা পরিষদের দুই বারের সাবেক চেয়ারম্যান মুহিবুর রহমান, ‘হ্যাঙ্গার’ প্রতীক নিয়ে উপজেলা বিএনপির সদ্য বহিস্কৃত সভাপতি ও বিশ্বনাথ ইউনিয়ন পরিষদের দুই বারের সাবেক চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন, ‘মোবাইল ফোন’ প্রতীক নিয়ে যুক্তরাজ্যের নিউহাম বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মুমিন খান মুন্না, ‘নারিকেল গাছ’ প্রতীক নিয়ে যুক্তরাজ্য প্রবাসী বিএনপি নেতা সফিক উদ্দিন এবং ‘চামচ’ প্রতীক নিয়ে উপজেলা আনজুমানে আল-ইসলাহ’র সভাপতি তালুকদার ফয়জুল ইসলাম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
নির্বাচনে মেয়র পদে ৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও প্রথম পৌর মেয়র হওয়ার দৌঁড়ের শেষ পর্যায়ে মূল আলোচনায় রয়েছেন ‘নৌকা’ প্রতীকের ফারুক আহমদ, ‘জগ’ প্রতীকের মুহিবুর রহমান, ‘হ্যাঙ্গার’ প্রতীকের জালাল উদ্দিন ও ‘মোবাইল ফোন’ প্রতীকের মুমিন খান মুন্না। নির্বাচনী প্রতীক বরাদ্ধের পর থেকে শুরু হওয়া গণসংযোগ, উঠান বৈঠক ও প্রচার মিছিল শেষে মেয়র পদে চতুর্মুখী প্রতিদ্বন্দ্বিতা হওয়ার আবাস পাওয়া গেছে।
পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডের ভোটারদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, প্রচারণার শেষ মূহূর্ত পর্যন্ত বিরামহীন প্রচারণা চালিয়েছেন মেয়র পদের প্রার্থীরা। নানা প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোটারদের মন জয়ের চেষ্টা করেছেন তারা। তবে, ভোটের মাঠে সাত প্রার্থী কেউ কাউকে ছাড় দিতে নারাজ থাকলেও চার মেয়র প্রার্থীর মধ্যে মূল লড়াইয়ের সম্ভাবনা দেখছেন সাধারণ ভোটাররা।
চার মেয়র প্রার্থীর মধ্যে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) ফারুক আহমদ একজন ক্লিন ইমেজের রাজনীতিবিদ হিসেবে পরিচিত। তাকে নৌকা প্রতিকে বিজয়ী করতে মাঠে একাট্টা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগি সংগঠন। আওয়ামী ঘরানার ভোট ব্যাংককে পুঁজি করে অনেকটা সুবিধাজনক অবস্থানে আছেন তিনি। যে কারণে তার নিশ্চিত বিজয় দেখছে আওয়ামী লীগ। অপরদিকে, আওয়ামী লীগের কোনো পদ-পদবীতে বর্তমানে না থাকলেও সাধারণ মানুষের আলোচনার তুঙ্গে রয়েছেন সাবেক দুই বারের উপজেলা চেয়ারম্যান মুহিবুর রহমান।
তার স্বতন্ত্র ব্যক্তি ইমেজ ও গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। এর পাশাপাশি রয়েছে নিজস্ব ভোট ব্যাংকও। আওয়ামী ঘরানার অনেকের পাশাপাশি জাতীয় পার্টি ও বিএনপি ঘরনার অনেকেই রয়েছেন তার পক্ষে। সবমিলিয়ে, বিশ্বনাথের প্রথম উপজেলা চেয়ারম্যান মুহিবুর রহমানই হচ্ছেন বিশ্বনাথ পৌরসভার প্রথম মেয়র-এমনটাই মনে করছেন তার কর্মী-সমর্থকেরা।
স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী হওয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সদর ইউনিয়নের দুই বারের জনপ্রিয় সাবেক চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন এবং যুক্তরাজ্যের নিউহাম বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মুমিন খান মুন্নাও রয়েছেন শক্তিশালী অবস্থানে। বিএনপি এই নির্বাচনে অংশ না নিলেও দলীয় নির্দেশনা উপেক্ষা করে তারা দুজন প্রার্থী হওয়ায় যদিও তাদেরকে দল থেকে বহিস্কার করা হয়েছে, তবুও ইতোমধ্যে এই দুই প্রার্থীকে কেন্দ্র করে দুই ভাগ হয়ে পড়েছে উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
বিভক্ত হলেও দুটি অংশ দুই প্রার্থীর পক্ষে ভোটের মাঠে কৌশলি প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাওয়ায় পাল্লা ভারী হয়েছে জালাল-মুন্না দু’জনেরই। ব্যক্তি ইমেজ ও দুইবারের অভিজ্ঞ জনপ্রতিনিধি বিবেচনায় জালাল উদ্দিনকেই ভোটাররা মেয়র নির্বাচিত করবেন বলে মনে করছেন তার সমর্থকেরা।
অপরদিকে, বিশ্বনাথের ক্রীড়াঙ্গনসহ সামাজিক-রাজনৈতিক ক্ষেত্রে সক্রিয় সংগঠক মুমিন খান মুন্নাই বিজয়ী হবে এমনটাই মনে করছেন তার কর্মী-সমর্থকেরা।
তবে, বিশ্বনাথ পৌরসভা উন্নয়নের জন্য একজন সৎ যোগ্য ও দক্ষ প্রার্থীকে ভোট দিয়ে মেয়র নির্বাচিত করবেন ভোটাররা এমনটাই প্রত্যাশা সকলের।
বিশ্বনাথে নৌকার গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে -শফিক চৌধুরী
বিশ্বনাথ :: সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেছেন, বিশ্বনাথ পৌরসভা নির্বাচনে স্বাধীনতা ও উন্নয়নের প্রতীক নৌকায় গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। আগামী ২রা নভেম্বর নির্বাচনে পৌরবাসী নিেিজদের কাঙ্খিত উন্নয়ন পেতে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ফারুক আহমদকে নির্বাচিত করে এলাকার উন্নয়নকে ত্বরাণি¦ত করবেন।
উন্নয়নের জোয়ারে থাকা দেশে আমরা কেন পিছিয়ে যাব। ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে নৌকার বিজয় নিশ্চিত করে প্রধানমন্ত্রীকে নৌকার মেয়র উপহার দিব।
তিনি সোমবার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে পৌর এলাকার নতুন বাজারে ‘আগামী ২রা নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য সিলেটের বিশ্বনাথ পৌরসভার প্রথম নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমদের ‘নৌকা’ মার্কার সমর্থনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনী জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথাগুলো বলেন।
এরপূর্বে পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ড থেকে নৌকার সমর্থনে খন্ড খন্ড মিছিল জনসমুদ্রে রুপান্তরিত জনসভাস্থল। নির্বাচনী প্রচারণার শেষ দিকে এসে যেনো নৌকায় গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। আর তাই এসময় ‘নৌকা-নৌকা’ স্লোগনে মুখরিত হয়ে উঠে পৌর এলাকা।
জনসভায় প্রধান বক্তার বক্তব্যে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খান বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দেশে উন্নয়নের জোয়ারই বইছে। আর ওই উন্নয়নের জোয়ার থেকে বিশ্বনাথ কেনো বঞ্চিত থাকবে। উন্নয়ন বঞ্চিত বিশ্বনাথের উন্নয়ন ত্বরাণি¦ত করতে দলমত নির্বিশেষে আগামী ২রা নভেম্বর সারাদিন নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ফারুক আহমদকে বিজয়ী করুন।
দেখবেন সকল উন্নয়নের অশিংদার হবেন বিশ্বনাথ পৌরবাসীও।
পৌরবাসীর কাছে সবার কাছে নিজের নির্বাচনী প্রতীক ‘নৌকা’ মার্কায় ভোট, দোয়া ও সহযোগীতা চেয়ে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমদ।
উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহ আসাদুজ্জামান আসাদের সভাপতিত্বে ও পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক আলতাব হোসেনের পরিচালনায় নির্বাচনী জনসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি অ্যাডভোকেট শাহ ফরিদ আহমদ, অ্যাডভোকেট শাহ মোশাহিদ আলী, সুজাত আলী রফিক, যুগ্ম সম্পাদক সাইফুল আলম রুহেল, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট রনজিত সরকার, প্রচার সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্বাস উদ্দিন, দপ্তর সম্পাদক আখতারুজ্জামান চৌধুরী জগলু, সদস্য এএইচএম ফিরুজ আলী, বালাগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাকুর রহমান মফুর, বিশ্বনাথ উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম নুনু মিয়া।
সভায় বক্তব্য রাখেন বিশ্বনাথ পৌর আওয়ামী লীগের আহবায়ক আব্দুল জলিল জালাল, খাজাঞ্চী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শংকর চন্দ্র ধর, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক আশিক আলী, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান আতিক, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পার্থ সারথী দাশ পাপ্পু, সাধারণ সম্পাদক মোবারক হোসাইন। সভার শুরুতে কোরআন তেলাওয়াত করেন ক্বারী সাইফুর রহমান ও গীতাপাঠ করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য জয়ন্ত আচার্য্য।
মোবাইল মার্কার সমর্থনের শেষ নির্বাচনী
প্রচার মিছিলে লোকে লোকারণ্য
বিশ্বনাথ :: ২রা নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য সিলেটের বিশ্বনাথ পৌরসভার প্রথম নির্বাচনের স্বতন্ত্র প্রার্থী যুক্তরাজ্যের নিউহাম বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মুমিন খান মুন্নার নির্বাচনী প্রতীক ‘মোবাইল ফোন’ মার্কার শেষ নির্বাচনী প্রচার মিছিলে ছিলো লোকে লোকারণ্য। ‘মোবাইল-মোবাইল’ স্লোগানে মুমিন খান মুন্নাকে সাথে নিয়ে পৌর শহরের প্রধান প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করেন মোবাইল মাকার সমর্থকেরা।
প্রচার মিছিলের পূর্বে শেষ নির্বাচনী পথসভায় স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী বিএনপি নেতা মুমিন খান মুন্না বলেন, বর্তমানে বিশ্বনাথ একটি অবহেলিত ও উন্নয়ন বঞ্চিত এলাকা হিসেবে পরিনত হয়েছে। সঠিক নেতৃত্বের অভাবে পৌরসভায় উন্নয়ন তরান্বিত হচ্ছে না। আপনারা আমাকে নির্বাচিত করলে পৌরবাসীকে সাথে নিয়ে পৌরসভার ড্রেনেজ ও পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন, নিরাপদ ও পর্যাপ্ত পানি সরবরাহ, বাসিয়া নদীর সর্বোচ্চ ব্যবহার ও সুরক্ষা, স্থায়ী বর্জ্য ব্যবস্থাপনা করা, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ভিত্তিক সামাজিক কার্যক্রম জোরদার করা, খেলার মাঠ ও শিশুপার্ক নির্মাণ, কাচাবাজারগুলোর উন্নয়ন, পৌর পাবলিক লাইব্রেরী প্রতিষ্ঠা, শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচী উন্নয়ন, পৌর শহরে গণশৌচারগার নির্মাণ, পরিকল্পিত ও প্রশস্ত রাস্তা নির্মাণ, পৌরবাসীকে বৈদ্যুতিক বাতির আওতায় আনা, পৌর নাগরিকদের সমঅধিকার নিশ্চিতকরণ, পৌর নাগরিকদের সকল সরকারি সেবা সহজকরণ, স¤প্রীতি, সহনশীলতা ও মানবিক বিকাশে উচ্চতর নাগরিক ফোরাম গঠন ও পৌর প্রশাসনের জবাবদিহীতাসহ পৌরসভার উন্নয়নে সার্বিকভাবে কাজ করে যাব।
পথসভায় বক্তব্য রাখেন বিশ্বনাথ উপজেলা বিএনপির সহ সভাপতি গৌছ আলী, নাজমুল ইসলাম রুহেল চেয়ারম্যান, যুগ্ম সম্পাদক কদর আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক সুরমান খান, সহ সাংগঠনিক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান তালুকদার গিয়াস, সদস্য জসিম উদ্দিন জুনেদ, যুক্তরাজ্য বিএনপি নেতা বাবুল মিয়া, পৌর বিএনপির সহ সভাপতি তাজ উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সুফিয়ান, ক্রীড়া সম্পাদক সাবুল মিয়া, সহ ক্রীড়া সম্পাদক তুলাই মিয়া। প্রচার মিছিলে বিএনপির শীর্ষ স্থানীয় নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন শ্রেণী- পেশার ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
বিশ্বনাথে পৌরসভার ৮০% ভোটার
জগ মার্কার বিজয় চান -মুহিবুর রহমান
বিশ্বনাথ ::আগামী ২রা নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য সিলেটের বিশ্বনাথ পৌরসভার প্রথম নির্বাচনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মুহিবুর রহমান বলেছেন, প্রচার-প্রচারণা কালে আমি বুঝতে পেরেছি পৌরসভার ৮০% ভোটার আমার নির্বাচনী প্রতীক ‘জগ’ মার্কার বিজয় চান। আর এবার আমি দলমত নির্বিশেষে সকল শ্রেণীর ভোটারের ভোটে নির্বাচিত হলে নবগঠিত এ পৌরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডে উন্নয়নের রোল মডেলসহ গরিব-দুঃখী মেহনতি মানুষের কল্যাণে কাজ করার সুযোগ চাই।
তিনি আরো বলেন, আমি নির্বাচিত হলে বিশ্বনাথে একটা মহিলা ডিগ্রি কলেজসহ আরো একাধিক কলেজ স্থাপনের, ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নতি, কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থানে, বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা জোরদার, খেলাধুলার একাধিক মাঠের ব্যবস্থা ও মাত্রাতিরিক্ত ট্যাক্স থেকে জনসাধারণকে মুক্তি দেওয়াসহ ঘুষ-দূর্নীতিমুক্ত সমাজ গঠনে কাজ করে যাব।
তিনি সোমবার (৩১ অক্টোবর) বিকেলে সিলেটের বিশ্বনাথ পৌর এলাকার জানাইয়া গ্রামের ফুটবল মাঠে নিজের নির্বাচনী প্রতীক ‘জগ’ মার্কার শেষ নির্বাচনী পথসভায় একথাগুলো বলেন। এরপূর্বে পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ড থেকে সভাস্থলে খন্ড খন্ড মিছিল এসে পথসভাকে জনসভায় রুপান্তরিত করে। এসময় ‘জগ-জগ’ স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে জানাইয়া মাঠ।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ফারুক আহমদের সভাপতিত্বে ও সংগঠক বাউল সমুজের পরিচালনায় পথসভায় বক্তব্য রাখেন যুক্তরাজ্য প্রবাসী শাহ আলম, জানাইয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক নিশি কান্ত পাল। সভার শুরুতে কোরআন তেলাওয়াত করেন আব্দুস শহিদ। এসময় পৌরসভার ৯ ওয়ার্ডের বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
বিশ্বনাথে ‘চামচ’ মার্কার সমর্থনে শেষ নির্বাচনী প্রচার মিছিল অনুষ্ঠিত
বিশ্বনাথ :: ২রা নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য সিলেটের বিশ্বনাথ পৌরসভার প্রথম নির্বাচনের স্বতন্ত্র প্রার্থী পৌর আঞ্জুমানে আল-ইসলাহ’র সভাপতি তালুকদার ফয়জুল ইসলামের নির্বাচনী প্রতীক ‘চামচ’ মার্কার শেষ নির্বাচনী প্রচার মিছিল সোমবার (৩১ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসময় ‘চামচ-চামচ’ স্লোগানে তালুকদার ফয়জল ইসলামকে সাথে নিয়ে পৌর শহরের প্রধান প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করেন চামচ মার্কার সমর্থকেরা।
এরপূর্বে পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ড থেকে সভাস্থলে খন্ড খন্ড মিছিল এসে চামচ প্রতীকের নির্বাচনী কার্যালয়ে জড়ো হন। এসময় মেয়র প্রার্থী তালুকদার ফয়জুল ইসলাম বলেন, ২রা নভেম্বরের নির্বাচনে আপনার আমার চামচ প্রতীকে ভোট দিয়ে আমাকে নির্বাচিত করলে আমি আপনাদেরকে একটি মডেল পৌরসভা উপহার দেব।
সমবন্টনের মাধ্যমে এলাকার উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড পরিচালিত করব।
প্রচার মিছিলে পৌরসভার ৯ ওয়ার্ডের বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।