সোমবার ● ৭ নভেম্বর ২০২২
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » সিলেটে শয়ন কক্ষ থেকে স্বামী-স্ত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
সিলেটে শয়ন কক্ষ থেকে স্বামী-স্ত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: সিলেট নগরেরর পাঠানটুলা এলাকা থেকে রিপন দাস ও শিপা তালুকদার নামে স্বামী-স্ত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। রবিবার (৬ নভেম্বর) সকাল ১১ টায় সিলেট নগরের পাঠাটুলার পল্লবী আ/এ সি ২৫ নম্বর বাসা থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সকালে ঘরের ভেতর থেকে তাদের ছোট্ট মেয়ের কান্নার শব্দ শুনে ডাকাডাকি করেন বাসার অন্যান্যরা। এসময় অনেক ডাকাডাকি করার পরও ভেতর থেকে দরজা না খোলায় তারা পুলিশে খবর দেন। পরে বেলা ১১টার পুলিশ ঘটনা এসে ঝুলন্ত অবস্থায় আলাদা দুই কক্ষ থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে।
শিপা তালুকদার সুনামগঞ্জ সদরের মনপুর ইউনিয়নের ফন্দিয়া গ্রামের নির্ণয় তালুকদারের মেয়ে ও রিপন দাস জামালগঞ্জ উপজেলার ফেনারবাগ ইউনিয়নের রাজাবাজ গ্রামের সুভাষ দাসের ছেলে।
এদিকে, শয়ন কক্ষের খাটের উপর থেকে একটি চিরকুট উদ্ধার করেছে পুলিশ।ওই চিরকুটে লেখা রয়েছে- আমার পাপের প্রায়শ্চিত্ত করেছি, তোমরা আমার সন্তানকে খেয়াল রেখো। তবে চিরকুটটি কার লেখা এখনও নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ।
রিপন দাস একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করতেন। নিহত দম্পতির দুই বছরের একটি শিশু সন্তান রয়েছে। তার নাম ঋত্বিক তালুকদার।
নিহতদের প্রতিবেশী শিল্পী সরকার বলেন, প্রায় সাত মাস ধরে তারা এই বাসায় ভাড়া থাকতেন। কখনো ঝগড়া বিবাদ শুনিনি। সকাল ৯ টার দিকে বন্ধ ঘরে শিশুটির কান্না শুনতে পান। বাহির থেকে তারা অনেক ডাকাডাকি করেন। কিন্তু ভেতর থেকে কোনো সাড়া শব্দ না পাওয়ায় ৯৯৯-এ ফোন দিয়ে জানানো হয়।
খবর পেয়ে এসএমপির জালালাবাদ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে এবং ঘরের জানালা খুলে দুই কক্ষে স্বামী-স্ত্রী দুই জনের মরদেহ সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেচানো ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়।
প্রতিবেশীরা জানান, আমরা কখনও তাদের ঝগড়া ফ্যাসাদ শুনতে পাইনি। এরপরও তারা দুজনের গলায় দঁড়ি দিয়ে আত্মহত্যার বিষয়টি সম্পর্কে কিছুই বলতে পারছেন না।
নিহত শিপা দাসের ভাই নিবারণ দাস অভিযোগ করে বলেন, আমার বোনকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে এরপর ভগ্নিপতি রিপন আত্মহত্যা করেছে বলে ধারণা করছেন।
নিহত রিপনের জেটাতো ভাই অনুকূল তালুকদার বলেন, রিপন একটি বিস্কুট কোম্পানির পরিবেশকের অধীনে সেলসম্যান হিসেবে কাজ করতেন। কিন্তু কী কারণে তারা গলায় দঁড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে তা তিনি বলতে পারছেন না।
স্বজনদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, রাতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। সকাল ৯টার দিকে ঘরের ভেতর থেকে মেয়ের কান্না শুনতে পান। পারিবারিক কলহের কারণেই ঘটনাটি ঘটেছে বলে ধারণা করছেন তারা।
এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার আজবাহার আলী শেখ, এডিসি গৌতম দেবসহ অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। তবে কি কারণে তাদের মৃত্যু হয়েছে তা ক্ষতিয়ে দেখছে পুলিশ।
জালালাবাদ থানার ওসি নাজমুল হুদা খান বলেন, ‘সকাল ১১টার দিকে আমরা খবর পাই। তারপর ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়। ঠিক কী কারণে এই ঘটনা ঘটেছে, তা এখনও জানা যায়নি। তবে প্রাথমিকভাবে পারিবারিক কলহের তথ্য জানা গেছে। ময়না তদন্তের জন্য মরদেহগুলো ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে। আর বন্ধ ঘর থেকে শিশুটিকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।’
বিশ্বনাথ পৌরসভার প্রথম মেয়র মুহিব সংবর্ধিত
বিশ্বনাথ :: সদ্য নির্বাচিত সিলেটের বিশ্বনাথ পৌরসভার প্রথম মেয়র ও উপজেলা পরিষদের দু’বারের সাবেক চেয়ারম্যান মুহিবুর রহমানকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে। শনিবার (৫ নভেম্বর) সকালে পৌর এলাকার জানাইয়া গ্রামবাসীর উদ্যোগে গ্রামের মরহুম হাজী তোতা মিয়ার বাড়িতে ওই সংবর্ধনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে সংবর্ধিত অতিথিকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
সংবর্ধিত অতিথির বক্তব্যে মুহিবুর রহমান বলেন, আমি মৃত্যুর পূর্ব মুহুর্ত পর্যন্ত ঘুষ-দূর্নীতি, দালালী-বাটপারি, অনিয়ম ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেই যাব। মানুষের কল্যাণে কাজ করা জন্যই মানুষ আমাকে বিশাল ভোটের ব্যবধানে নির্বাচিত করেছেন। আমি নিজের কাজের মাধ্যমেই মানুষের আস্তার প্রতিদান দিয়েই বিশ্বনাথ পৌরসভাকে একটি মডেল পৌরসভায় রুপান্তরিত করব।
আমার সাথে সাথে যারাই কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন তাদেরকেও শতভাগ সচ্ছতা ও জবাবদিহিতার মধ্যে থেকে এলাকার উন্নয়নে কাজ করতে হবে।
গ্রামের মুরব্বী শফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে ও বিশ্বনাথ ক্রিকেট এসোসিয়শনের সাধারণ সম্পাদক একেএম তুহেমের পরিচালনায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন অ্যাডভোকেট আব্দুর রাজ্জাক, জানাইয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক নিশি কান্ত পাল, মুরব্বী আনোয়ার হোসেন, ৮নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী নূরুল হক, আব্দুল মান্নান। সভার শুরুতে কোরআন তেলাওয়াত করেন বিশ্বনাথ জামেয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম মাদানিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা ছালেহ আহমদ ও স্বাগত বক্তব্য রাখেন মাওলানা ফখরুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস ছত্তার, বিশ্বনাথ ইউনিয়ন পরিষদের ২নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার আব্দুস শহিদ, প্রবাসী সমুজ আলী, আবুল হোসেন, বিশ্বনাথ জামেয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম গ্রামের মুরব্বী কালীনন্দন চৌধুরী, রজিব উল্লাহ, তাজ উদ্দিন, ময়না মিয়া, আলকাছ আলী, সামছুল ইসলাম, আব্দুর রহিম, বাউল সমুজ আলী, অরুন দেবনাথ, সিরাজ মিয়া, রহমত আলী, শফিক আলী, গৌছ আলী, আব্দুল মুতালিব, মখলিছ মিয়া, মনোহর আলী, সংগঠক ফখরুল আহমদ, সাঈদ আহমদ, খলিল আহমদ, ৮নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী ইউনুছ আলী, শাহজাহান সিরাজ, শাহ আমির উদ্দিন, নাজিম উদ্দিন প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ সফল করতে বিশ্বনাথে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত
বিশ্বনাথ :: আগামী ২০ নভেম্বর সিলেট আলীয়া মাদ্রাসার মাঠে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)’র বিভাগীয় গণসমাবেশ সফল করার লক্ষে বিশ্বনাথ উপজেলা ও পৌর বিএনপি এবং অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
পৌর শহরের নতুন বাজার এলাকাস্থ বিএনপি কার্যালয়ে শনিবার (৫ নভেম্বর) বিকেলে প্রস্তুতি সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গৌছ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন পৌর বিএনপির সভাপতি হাজী আব্দুল হাই, উপজেলা বিএনপির সহ সভাপতি আলতাবুর রহমান, নাজমুল ইসলাম রুহেল চেয়ারম্যান, আব্বাস আলী, ডা. মাহবুব আলী জহির, তাজ উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক লিলু মিয়া, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বশির আহমদ, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক প্রভাষক মোনায়েম খান, জামাল মিয়া, মনির মিয়া, কাওছার খান, কুদ্দুছ আলী, শামীম আহমদ মেম্বার, আসাদুজ্জামান নূর, সাংগঠনিক সম্পাদক সুরমান খান, আব্দুল মোমিন মামুন মেম্বার, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক তালুকদার গিয়াস উদ্দিন, দপ্তর সম্পাদক আমির আলী, আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট খালেদ আহমদ, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদব ক্বারী লোকমান আহমদ, সমবায় সম্পাদক হাসান মাহমুদ রিপন, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক বেগম স্বপ্না শাহীন, পৌর বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সুফিয়ান, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক ফরিদ মিয়া, ত্রাণ ও পুনর্বাসন সম্পাদক হাসমত আলী, বিএনপি নেতা আরব খান, জাহিদুল ইসলাম, খসরুজ্জামান খসরু, গণি শাহ, আব্দুল বাছিত, জালাল উদ্দিন মেম্বার, ইকবাল হোসেন, ফরিদ মিয়া, আমির আলী, আব্দুল ওয়াহিদ, সিরাজ উদ্দিন, রাশিদ আলী, বিএনপি নেত্রী নাজমা বেগম,
উপজেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক শামছুল ইসলাম, যুগ্ম আহবায়ক তানভীর হোসেন, সোহাগ আহমদ চন্দন, আব্দুল হান্নান বাবুল, পৌর যুবদলের আহবায়ক শাহ আমির উদ্দিন, যুগ্ম আহবায়ক শাহ লিলু, ওয়াসিম আলী, শাহরিয়ার নাজিম, শাহ টিপু, যুবদল নেতা রুমেল আলী, আসক আলী, আরিফ আহমদ, ফয়জুল ইসলাম, সুহেল আহমদ, এমদাদ হোসেন, কদ্দুছ আহমদ, নূর আলী, আব্দুল ওয়াহিদ, সেবুল সরকার, নেপুর আলী, ছুনো মিয়া, হাসান মো. মিরাশ, সুমন আহমদ, শিপন আহমদ, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক মুহিবুর রহমান মাহবুব, তাজ উদ্দিন কিনু, ছমিদ আলী, সদস্য সচিব আশিকুর রহমান রানা, সদস্য আব্দুল হক, মজনু মিয়া, তাজুল ইসলাম, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক আরশ আলী, তকলিছ উদ্দিন, আব্দুল গনি, সদস্য সচিব আহমেদ দুলাল মিয়া, সদস্য সুহেল আহমদ, জয়নাল আহমদ, উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক হোসাইন আহমদ প্রবেল, যুগ্ম আহবায়ক এনামুল হক, আক্তার আহমদ, আব্দুল কাইয়ুম, ছাত্রদল নেতা রুসন আহমদ, আলী আহমদ শামীস, তাজুল ইসলাম প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।