বুধবার ● ৯ নভেম্বর ২০২২
প্রথম পাতা » অপরাধ » বিএনটি নেতা কামাল খুন : মামলা নেই , গ্রেফতারও শূন্য
বিএনটি নেতা কামাল খুন : মামলা নেই , গ্রেফতারও শূন্য
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: সিলেটে বিএনপি নেতা আ ফ ম কামাল খুনের ঘটনায় প্রায় চল্লিশ ঘন্টাও হয়ে গেলেও মামলা হয়নি। আলোচিত এই ঘটনায় পুলিশ কাউকে গ্রেফতারও করতে পারেনি।
গত রবিবার রাত আটটার দিকে সিলেট নগরীর বড়বাজার এলাকায় খুন হন আ ফ ম কামাল (৪৫)। তিনি সিলেট জেলা বিএনপির সর্বশেষ পূর্ণাঙ্গ কমিটির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। এর আগে সিলেট ল কলেজ ছাত্রসংসদের ভিপি ছিলেন তিনি।
আজ মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে সিলেট মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ বলেন, ‘আ ফ ম কামাল খুনের ঘটনায় এখনও মামলা হয়নি। মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘এ ঘটনায় এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি। পুলিশ তৎপর রয়েছে।’
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, বিএনপি নেতা আ ফ ম কামাল সিলেট বিমানবন্দর এলাকা থেকে আম্বরখানা বড়বাজার হয়ে গোয়াইটুলার দিকে যাচ্ছিলেন। তার গাড়িকে অনুসরণ করছিল দুটি মোটরসাইকেল। তাতে আরোহী ছিলেন তিনজন। পরে আরেকটি মোটরসাইকেলে থাকা দুই ব্যক্তি বড়বাজার ১১৮নং বাসার সামনে কামালের গাড়ির গতিরোধ করে। পরে তাকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে খুনিরা পালিয়ে যায়।
স্থানীয়রা কামালকে উদ্ধার করে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মূলত অতিরিক্ত রক্তক্ষরণেই মারা যান কামাল। এমনটাই জানিয়েছেন ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান শামছুল ইসলাম। তিনি জানান, কামালের দেহে ২৫টি ছুরিকাঘাত করা হয়। তার বাঁ হাতে ১৬টি, বাম বগলের নিচে ২টি, বুকের বামপাশে ১টি ও বাম পায়ে ৬টি আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
পুলিশ সূত্র বলছে, আ ফ কামাল খুনের ঘটনায় সরাসরি অংশ নেয় পাঁচজন। তন্মধ্যে আজিজুর রহমান সম্রাট, শাকিল ও রাজু নামের তিনজন ছিল। এদের মধ্যে সম্রাট ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। তবে তিনি আগে ছাত্রদলের কর্মী ছিলেন। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর দল পাল্টে ছাত্রলীগে চলে আসেন সম্রাট। আম্বরখানা এলাকায় সম্রাটের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের একটি ছোট গ্রুপ আছে বলেও জানা গেছে।
পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কামাল খুন কোনো রাজনৈতিক কারণে নয়, ব্যবসায়িক কারণে ঘটতে পারে। রাজনীতির পাশাপাশি ব্যবসায়ও জড়িত ছিলেন তিনি। জিন্দাবাজারে তার ট্রাভেল এজেন্সির ব্যবসা রয়েছে। তিনি পাথর ব্যবসায়ও জড়িত ছিলেন। গেল অক্টোবরে কামালের সঙ্গে ভিসা সংক্রান্ত বিষয়ে সম্রাটের ঝামেলাও হয়েছিল। সম্রাট কোতোয়ালি থানায় কামালকে আসামি করে মামলা করেছিলেন।
পুলিশ কর্মকর্তা আজবাহার আলী শেখ বলেন, আ ফ ম কামাল রাজনীতির পাশাপাশি পাথর ব্যবসা এবং নগরের জিন্দাবাজার এলাকায় একটি ট্রাভেল এজেন্সির ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। সম্প্রতি তাঁর ট্রাভেল এজেন্সি আজিজুর রহমান সম্রাট নামের একজনের আত্মীয়কে সৌদি আরবে এক কাজের কথা বলে অন্য কাজের জন্য ভিসার ব্যবস্থা করে।
এ ঘটনায় সম্রাট গত ২১ অক্টোবর আ ফ ম কামালসহ ১০ জনের নামোল্লেখ করে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন। এরই জের ধরে এই হত্যাকাণ্ড বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, যেভাবে খুন করা হয়েছে, তাতে মনে হচ্ছে এটি পূর্বপরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।
কামাল খুনের ঘটনায় গত রবিবার রাতে উত্তপ্ত ছিল সিলেট নগর। বিক্ষুব্ধ বিএনপি নেতা-কর্মীরা নগরীতে বিক্ষোভ করেন, আওয়ামী লীগের ব্যানার, পোস্টার ছিঁড়ে ফেলেন। পরে আওয়ামী লীগও পাল্টা মিছিল করে, বিএনপির ব্যানার, পোস্টার ছিঁড়ে ফেলে।
সিলেটে আদালত প্রাঙ্গনে স্ট্রোক করে মারা গেলেন তরুণ আইনজীবী
বিশ্বনাথ :: সিলেটে আদালত প্রাঙ্গনে স্ট্রোক করে মারা গেছেন তরুণ আইনজীবী মো. সালমান সিদ্দিকী আদনান। আজ মঙ্গলবার সকালে এ ঘটনা ঘটে। আদনান সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি জকিগঞ্জে।
তার বাবার নাম আখলাছ আলী। আদনান সিলেট নগরীর শেরুলিবাগ এলাকায় বসবাস করছিলেন। আইনজীবীরা জানান, অন্যান্য দিনের মতো আজও কর্মস্থল সিলেট আদালত প্রাঙ্গনে আসেন সালমান সিদ্দিকী আদনান।
সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তিনি স্ট্রোক করে লুটিয়ে পড়েন। পরে সহকর্মীরা তাকে দ্রুত পার্কভিউ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান আদনানের মৃত্যুর বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, এ ঘটনায় আইনজীবীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
বিশ্বনাথে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী দয়াল উদ্দিনের উঠান বৈঠক
বিশ্বনাথ :: সিলেটের বিশ্বনাথ ৬ নং ইউনিয়ন পরিষদের সম্ভাব্য চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী, তরুণ ব্যবসায়ী দয়াল উদ্দিনের সমর্থনে সোমবার (৭ নভেম্বর) উত্তর ধর্মদা গ্রামে তিন ওয়ার্ডবাসীর সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
পুরান সিরাজপুর গ্রামের প্রবীণ মুরব্বী আইয়ুব আলী সভাপতিত্বে ও মোতাহির আলীর পরিচালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন, বিশ্বনাথ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী, তরুণ ব্যবসায়ী দয়াল উদ্দিন।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বিশ্বনাথ ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আব্দুল মোমিন মামুন, হাজী হিরণ মিয়া, আইয়ুব আলী মিরাসদার, শেখ নূর মিয়া, শেখ মনির মিয়া, আব্দুল হান্নান, আনসার আলী, আরশ আলী, কবির মিয়া, কাওছার মিয়া, শেখ ফজর রহমান, নজরুল ইসলাম নাজ, মুমিন মতুর্জা শিপন, সুমন মাওন প্রমুখ। সভায় নতুন সিরাজপুর, পুরান সিরাজপুর, সাবসেন, তাজমহরমপুর, উত্তর ধর্মদা নোয়াগাঁও, বাওনপুর, ইলিমপুর, হিমিদপুর, রামপুর গ্রামের বিপুল সংখ্যক লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
সভায় বক্তারা বলেছেন, দয়াল উদ্দিন একজন ভাল মানুষ। সে একজন যোগ্য যুবক। তাঁর মাধ্যমে ইউনিয়নবাসী উপকার ও উপকৃত হবে। এমন যুবককে ইউনিয়নের চেয়ারম্যান করলে অবশ্য গবীর-দু:খী মানুষ সেবা পাবে। দয়াল উদ্দিনের জন্য সাবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে তাঁর বিজয় সুনিশ্চিত করতে সবার প্রতি অনুরোধ জানানো হয়।