শুক্রবার ● ১৮ জুন ২০২১
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » তিন মাসের ব্যবধানে দুই ভাইয়ের মৃত্যু
তিন মাসের ব্যবধানে দুই ভাইয়ের মৃত্যু
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: একই তারিখে দুই ভাইয়ের মৃত্যুতে শোকে স্তব্ধ একটি পরিবার। তাই ঝিনাইদহের চান্দুয়ালী গ্রামে এখন শোকের মাতম। মাত্র তিন মাসের ব্যবধানে পুলিশ কর্মকর্তা দুই ভাইয়ের মৃত্যুতে হতবাক ও বাকরুদ্ধ গ্রামবাসি। বড় ভাই এসআই শফিউদ্দীন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান গত ১৭ ফেব্রয়ারি। ঠিক তিন মাস পর ছোট ভাই এএসআই শামিম উদ্দীন মারা গেলেন ১৭ জুন বৃহস্পতিবার। এসআই শফিউদ্দীন ও এএসআই শামীম উদ্দীন ঝিনাইদহ সদর উপজেলার চান্দুয়ালী গ্রামের মৃত মমতাজ উদ্দীন মন্ডলের ছেলে। মামাতো ভাই চান্দুয়ালী গ্রামের ইব্রাহীম জানান, বড় ভাই এসআই শফিউদ্দীন নড়াইল সদর থানায় কর্মরত ছিলেন। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি গত ১৭ ফেব্রয়ারি মারা যান। সেই শোক কাটিয়ে উঠতে না উঠতে ঠিক তিনমাস পর কুষ্টিয়া পুলিশে কর্মরত এএসআই শামীম উদ্দীন করোনা পরবর্তী ফুসফুস ক্যন্সারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে চান্দুয়ালী বাজার সংলগ্ন বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় মানুষের তিল ধরণের ঠাঁই ছিল না। আত্মীয় স্বজন পাড়ার প্রতিবেশি ছাড়াও গ্রামবাসি এএসআই শামীম উদ্দীনের মৃতদেহ দেখার জন্য ছুটে আসেন। তার খালাতো ভাই স্কুল শিক্ষক গোবিন্দপুর গ্রামের জাহাঙ্গীর জানান, এএসআই শামীম উদ্দীন খুবই নম্র ভদ্র ছিলেন। তার একটি শিশু সন্তান রয়েছে। মাত্র তিন মাসের ব্যবধানে দুই ভাইয়ের মৃত্যুতে পরিবারটি শোকে মুহ্যমান।
২৪ঘন্টায় খুলনা বিভাগে ১৮ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৭২৫
ঝিনাইদহ :: খুলনা বিভাগে ২৪ ঘন্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সর্বোচ্চ ১৮ জনের মৃত্যু ও ৭২৫ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। সুস্থ হয়েছেন আরও ২৮১ জন। বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) দুপুরে বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক ডাঃ রাশেদা সুলতানা এই তথ্য নিশ্চিত করেন। বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের দফতর সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘন্টায় খুলনায় ৪ জন, কুষ্টিয়ায় ৪ জন, যশোরে ৩ জন, চুয়াডাঙ্গায় ২ জন, মেহেরপুরে ২ জন, বাগেরহাটে একজন, মাগুরায় একজন ও ঝিনাইদহে একজন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। খুলনা বিভাগের মধ্যে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় চুয়াডাঙ্গায় গত বছরের ১৯ মার্চ। করোনা সংক্রমণের শুরু থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত বিভাগের ১০ জেলায় মোট শনাক্ত হয়েছে ৪২ হাজার ৬১১ জন। আর মারা গেছেন ৭৬৭ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩৩ হাজার ৮২৭ জন। বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, খুলনায় ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছে ১৮১ জন। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা শনাক্ত হয়েছে ১২ হাজার ২২৩ জন। আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২০১ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৯ হাজার ৮৭০ জন। ঝিনাইদহে ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছে ৩১ জন। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা শনাক্ত হয়েছে ৩ হাজার ৩২৮ জন। মারা গেছেন ৬১ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৮৫৫ জন। বাগেরহাটে ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছেন ৫২ জন। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা শনাক্ত হলো ২ হাজার ৩৯০ জন। আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৬৩ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৬৬৫ জন। সাতক্ষীরায় গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ৮৮ জন। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা শনাক্ত হয়েছেন ২ হাজার ৭১১ জন এবং মারা গেছেন ৫৫ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ হাজার ৮২৪ জন। যশোরে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ২০৩ জন। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা শনাক্ত হয়েছেন ৮ হাজার ৯৫৩ জন। মারা গেছেন ৯৯ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৬ হাজার ৭৪১ জন। নড়াইলে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ৩৮ জন। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা শনাক্ত হয়েছেন ২ হাজার ১৬৪ জন। মারা গেছেন ২৮ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৮৪৭ জন। মাগুরায় ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ১১ জন। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা শনাক্ত হয়েছেন ১ হাজার ৩৬৫ জন। এ সময় মারা গেছেন ২৪ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ২২০ জন। কুষ্টিয়ায় ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছে ৭৩ জন। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা শনাক্ত হয়েছেন ৫ হাজার ৯০৬ জন। মারা গেছেন ১৪০ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৪ হাজার ৯৩৫ জন। চুয়াডাঙ্গায় ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ৫৯ জন। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা শনাক্ত হয়েছেন ২ হাজার ৪০৪ জন। মারা গেছেন ৬৬ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৯২৯ জন। মেহেরপুরে নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ১৯ জন। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা শনাক্ত হয়েছেন ১ হাজার ২৬৭ জন। আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৩০ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৯৪১ জন।
ঝিনাইদহ সীমান্ত থেকে সাড়ে ৫ মাসে ৯২৮ জন আটক
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার বাকোশপোতা গ্রাম থেকে অবৈধ পথে ভারতে প্রবেশের সময় নারী ও শিশুসহ ৫ জনকে আটক করেছে বিজিবি। বৃহস্পতিবার ভোর ৫টার দিকে তাদের আটক করা হয়। এই নিয়ে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ১৭ জুন পর্যন্ত ৯২৮ জনকে আটক করলো বিজিবি। মহেশপুর ৫৮ বিজিবির সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম খান এক ই-মেইল বার্তায় জানান, বৃহস্পতিবার যাদের আটক করা হয়েছে তারা হলেন, সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি থানার লাউতাড়া গ্রামের মৃত হাজু শীলের স্ত্রী ফুলমতি শীল (৬৫), একই গ্রামের সুরঞ্জন শীলের স্ত্রী মিতা শীল (৩২), তার ছেলে জয় শীল (০৯), খুলনা জেলার ডুমুরিয়া থানার পূর্ব ঝিলের ডাঙ্গা গ্রামের দেবাশীষ মন্ডলের স্ত্রী বনানী মন্ডল (২৭) ও তার ছেলে দেব মন্ডল (০৮)। বিজিবির প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে তিনি উল্লেখ করা হয়, মহেশপুর ব্যাটালিয়নের অধিনস্ত খোসালপুর বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকার নেপা গ্রামের বাকোশপোতা নামক স্থান থেকে তাদের আটক করা হয়। তারা অবৈধভাবে বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করছিল। বিজিবি সুত্রে জানা গেছে, করোনা মহামারির মধ্যেও সীমান্তে অবৈধ পারাপার থেমে নেই। ওপারে কাটাতারের বেড়া না থাকায় দালালদের মাধ্যমে অবৈধ পথে প্রায় প্রতিদিন মানুষ যাতায়াত করছে। অবৈধ পারাপারকারীদের মধ্যে খুব কম সংখ্যক বিজিবির হাতে আটক হচ্ছে বলে সীমান্তে বসবাসকারীরা অভিযোগ করেন।