বুধবার ● ১৬ নভেম্বর ২০২২
প্রথম পাতা » উপ সম্পাদকীয় » পাহাড়ে দুঃসাহসিক সাংবাদিকতার পথিকৃৎ মকছুদ আহমেদ
পাহাড়ে দুঃসাহসিক সাংবাদিকতার পথিকৃৎ মকছুদ আহমেদ
ইয়াছিন রানা হোসেল :: আজকের পার্বত্য চট্টগ্রাম আর ষাটের দশকের পার্বত্য চট্টগ্রামের বাস্তবতার মধ্যে অনেক ভিন্নতা রয়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা ছিল অত্যন্ত নাজুক। অধিকাংশ স্থানে পায়ে হেঁটেই চলাচল করা ছাড়া উপায় ছিল না। লোকজন যেখানে খেয়ে পড়ে বেঁচে থাকাটা দায় ছিল। সাংবাদিকতা সেখানে বিলাসিতা বৈ কিছু ছিল না। জীবনের তাগিদে লোকজন দিনরাত কঠোর পরিশ্রমে ব্যস্ত থাকতো। আর সেই দুঃসময়ে সময়ে সাংবাদিকতার মত কঠিন কাজটিকেই পেশা হিসেবে নিয়েছিলেন এ কে এম মকছুদ আহমেদ। দুর্গম পার্বত্য চট্টগ্রামে সংবাদ সংগ্রহে তিনি ছুটে চলেছেন পাহাড়ের এই প্রান্ত থেকে ওই প্রান্তে। দুঃসাহসিক নাবিকের মত তাঁর ছুটে চলা। এই যেন কলম্বাসের আমেরিকা বিজয়। আরব্য ইতিহাসের নায়ক সিন্দাবাদের মত জয়ের নেশায় ছুটে চলা। ষাটের দশকের কঠিন বাস্তবতায় সাংবাদিকতাকে পেশা হিসেবে নিয়ে এ কে এম মকছুদ আহমেদ পার্বত্য চট্টগ্রামের সমস্যা সম্ভাবনাকে তুলে ধরেছেন দেশ বিদেশের কাছে। তাঁর লেখার ফলেই পার্বত্য চট্টগ্রামে অবকাঠামোগত উন্নয়ন সহ সব দিকে উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে। তিনি শুরু করেছিলেন ১৯৬৯ সালের ১৫ নভেম্বর। দৈনিক আজাদী পত্রিকার মাধ্যমেই তাঁর সাংবাদিকতার শুরু। তারপর দেশ বিদেশের অসংখ্য পত্র পত্রিকা ও রেডিওতে কাজ করেছেন তিনি।নিজের সম্পাদনায় প্রকাশ করেছেন সাপ্তাহিক বনভুমি। পরবর্তীতে দৈনিক গিরিদর্পণ। আর এই দুইটি পত্রিকার হাত ধরেই পাহাড়ে সৃষ্টি হয়েছে অসংখ্য সাংবাদিক ও সংবাদপত্র। এ কে এম মকছুদ আহমেদ শুরু করেছেন বলেই তাঁর দেখানো পথ ধরে সাংবাদিকতার মত চ্যালেঞ্জিং পেশায় যুক্ত হয়েছে অনেকে। আরো অনেকে যুক্ত হচ্ছেন। তাই পার্বত্য চট্টগ্রামের সাংবাদিকতার পথিকৃৎ নিঃসন্দেহে এ কে এম মকছুদ আহমেদ।