বৃহস্পতিবার ● ১৭ নভেম্বর ২০২২
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » বিভাগীয় গণসমাবেশ সফল করতে বিএনপির লিফলেট বিতরণ
বিভাগীয় গণসমাবেশ সফল করতে বিএনপির লিফলেট বিতরণ
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: আগামী ১৯ নভেম্বর সিলেট আলীয়া মাদ্রাসার মাঠে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)’র বিভাগীয় গণসমাবেশ সফল করতে সিলেটের বিশ্বনাথ পৌর শহরে লিফলেট বিতরণ করেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেস্টা মন্ডলীর সদস্য ইলিয়াসপত্নী তাহসিনা রুশদীর লুনা। বুধবার (১৬ নভেম্বর) বিকেলে জেলা, উপজেলা পৌর বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে লুনা পৌর শহরের নতুন ও পুরাণ বাজার এলাকায় লিফলেট বিতরণ করেন।
লিফলেট বিতরণকালে বিএনপি নেত্রী তাহসিনা রুশদীর লুনার সাথে জেলা শাখার নেতৃবৃন্দের মধ্যে জেলা বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি মোজাহিদ আলী, বর্তমান কার্যনির্বাহী সদস্য অ্যাডভোকেট হাসান আহমদ পাটোয়ারী রিপন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব শাকিল মুর্শেদ, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট সাঈদ আহমদ এবং উপজেলা-পৌর শাখার নেতৃবৃন্দের উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গৌছ আলী, পৌর বিএনপির সভাপতি আব্দুল হাই, উপজেলা বিএনপির সহ সভাপতি নাজমুল ইসলাম রুহেল চেয়ারম্যান, নূর উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক লিলু মিয়া, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বশির আহমদ, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক প্রভাষক মোনায়েম খান, কাওছার খান, শামীম আহমদ মেম্বার, সাংগঠনিক সম্পাদক সুরমান খান, আব্দুল মুমিন মামুন মেম্বার, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক তালুকদার গিয়াস উদ্দিন, ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক এমাদ উদ্দিন খান, পৌর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক শামছুল ইসলাম, মো. শাহজাহান, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রহমান খালেদ, গোবিন্দ মালাকার, ত্রাণ ও পূনর্বাসন সম্পাদক হাসমত আলী, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক ফরিদ মিয়া প্রমুখ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বিশ্বনাথে আ’লীগ নেতা সুমনের জন্মবার্ষিকীতে পথশিশুদের মাঝে খাবার বিতরণ
বিশ্বনাথ :: সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আজিজ সুমনের জন্মবার্ষিকীতে উপলক্ষে বুধবার (১৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় পৌর শহরের বাসিয়া সেতুর উপর পথশিশুদের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়েছে। উপজেলা-পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও উপজেলা-পৌর-সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের উদ্যোগে প্রায় শতাধিক পথশিশুর মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়।
পথশিশুদের মাঝে খাবার বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন- পৌর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য রাজু আহমদ খান, উপজেলা কৃষক লীগের সহ সভাপতি মারফত আলী, উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বদরুল আলম, পৌর সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি রফিক আলী, উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহ বুরহান আহমদ রুবেল, সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ আহমদ, ছাত্রলীগ নেতা সিরাজুল ইসলাম রুকন, জাকির হোসেন মামুন, জুয়েল আহমদ, আবিদুর রহমান, শিপন আহমদ, মারুফ আহমদ, রুমন আহমদ, ফারাবী ইমন, পাবেল আহমদ, নাঈম আহমদ, মুরশাদ আলী, ইমন মিয়া, রিপন আহমদ, হোসাইন আহমদ, ইসলাম আলী, ইব্রাহিম আলী, সাইদুল ইসলাম, জয়, ফারাবী আহমদ, সৈকত আলী, আনহার আলী, আবু বক্কর, রাজু আহমদ, রেজাউল ইসলাম, কাওছার আহমদ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
বিশ্বনাথে সাইফুলের হত্যাকারীদের সুষ্ঠু বিচার দাবি করলেন বাবা
বিশ্বনাথ :: সিলেটের বিশ্বনাথে ২৫ অক্টোবর রাতে ঘাতকদের হামলায় নিহত হন অটোরিকশা চালক (সিএনজি) সাইফুল ইসলাম (২৮)। তিনি উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের চরচন্ডি গ্রামের হাফিজ আব্দুল মান্নানের ছেলে। সাইফুল ইসলামের মৃত্যুর পর নিহতের পিতা বাদী হয়ে বিশ্বনাথ থানায় ৪ জনকে আসামী করে মামলা করেন। মামলা নং ১৪। সাইফুলের হত্যাকারীদের সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছেন তার পিতা হাফিজ আব্দুল মান্নান।
এছাড়া মামলায় অজ্ঞাতনামা হিসেবে আরো ৩/৪ জনকে আসামী করা হয়। মামলার পর থানা পুলিশ এজাহার নামীয় আসামী চরচন্ডি গ্রামের মৃত: আব্দুল গফুরের ছেলে নূরুল আমিন (৪৫), তার ভাই নূরুল ইসলাম (৫০) ও আনরপুর গ্রামের আপ্তাব আলীর পুত্র সুন্দর আলীকে (৩০) পুলিশ গ্রেফতার করে। বর্তমানে তারা জেলহাজতে রয়েছেন। মামলার ৪নং আসামী চরচন্ডি গ্রামের নূরুল ইসলামের ছেলে সেবুল মিয়া (২৫) এখনও পলাতক রয়েছে। সে দেশের বাহিরে যাওয়ার শংকা রয়েছে বলে নিহত সাইফুলের পরিবারের ধারনা।
নিহত অটোরিকশা চালক সাইফুল ইসলামের পিতা হাফিজ আব্দুল মান্নান বলেন, ঘাতকেরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আমার ছেলেকে হত্যা করে। অটোরিকশা (সিএনজি) বন্ধ করে বাড়ীতে প্রবেশ করা মাত্রই ৪ জন ঘাতক দারালো চাকু দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করে আমার ছেলেকে খুন করে ফেলে যায়। ঘাতকদের অমানবিক আচরণে বাবা হিসেবে নিজেকে বড় অসহায় মনে হচ্ছে।
ছেলের সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানিয়ে আরো বলেন, আমার মৃত্যুর পূর্বে ছেলের বিচার দেখে যেতে চাই। আমার মৃত্যুর পূর্বে ছেলের ঘাতকদের বিচার দেখে গেলে পরকালে শান্তি পাব। তিনি সরকার ও পুলিশ প্রশাসনের কাছে ছেলে হত্যাকারীদের দৃষ্ঠান্তমূলক শাস্থি দাবি করেন। ছেলেকে কুপানোর সময় তার চিৎকার শুনে ভায়ের স্ত্রী এবং আমার অন্যান্য ছেলে মেয়ে আসলে তাদেরকেও ঘাতকেরা কুপিয়ে জখম করে। এখনও আশংকা জনক অবস্থায় রয়েছেন আমার ভাইয়ের স্ত্রী।
তিনি আরো বলেন, বিবাদীদের সাথে জায়গা নিয়ে বিরোধ ছিল। বিরোধের কারণে মামলা মোকদ্দমা ছিল। আসামীরা আমার স্ত্রী এবং সন্তানদের খুন ও জখমের হুমকি দিয়েছিল ঘটনার পূর্ব থেকেই।