শুক্রবার ● ৬ জানুয়ারী ২০২৩
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » জনগনের গনতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নিয়ে সরকার এখন স্মার্ট বাংলাদেশের কথা বলে আরেক নতুন প্রতারণা : সাইফুল হক
জনগনের গনতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নিয়ে সরকার এখন স্মার্ট বাংলাদেশের কথা বলে আরেক নতুন প্রতারণা : সাইফুল হক
ঢাকা প্রতিনিধি :: বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির দশম কংগ্রেসে পার্টির সাধারণ সম্পাদক জননেতা সাইফুল হক বলেছেন গত চার বছর ধরে জবরদস্তি করে ক্ষমতায় থাকতে যেয়ে সরকার সমগ্র দেশ ও জনগনের গনতান্ত্রিক ভবিষ্যৎকে ভয়াবহ বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিয়েছে। ভোটের অধিকারসহ জনগনের গনতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নিয়ে সরকার এখন স্মার্ট বাংলাদেশের কথা বলে আরেক নতুন প্রতারণা শুরু করেছে।অধিকারবিহীন মানুষের স্মার্ট হবার কোনো সুযোগ নেই। ডিজিটাল বাংলাদেশের কথা বলে গত দেড় দশকে লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা পাচার করা হয়েছে৷ অথনৈতিক দিক দিয়েও বাংলাদেশকে গভীর সংকটের মুখে ফেলা হয়েছে। এই সরকারের কাছে এখন দেশ, জনগণ, কোনো কিছুই এখন নিরাপদ নয়।
তিনি সংকট উত্তরণে সরকারের পদত্যাগ ও নির্বাচনকালীন অন্তর্বতীকালীন সরকার গঠন করতে বিশ্বাসযোগ্য রাজনৈতিক পদক্ষেপ নেবার আহবান জানান।তা না হলে বিরোধীদল ও জনগনের গনসংগ্রামের পথে সরকারকে বিদায় দেওয়া ছাড়া জনগনের অন্য কোনো পথ থাকবে না।
আজ সকালে ইঞ্জিনিয়ারর্স ইন্সটিটিউশনের প্রাঙ্গনে দশম কংগ্রেসের সমাবেশে তিনি এ বক্তব্য রাখেন।
পার্টির এ দশম কংগ্রেসের উদ্বোধন করতে যেয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা ডক্টর জাফরউল্লাহ চৌধুরী বলেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির মতো লড়াকু দল আছে বলেই এখনো আশা আছে, ভরসা আছে। তিনি বলেন তাদের জানবাজী লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে আশা করা যায় এ দুঃসময়কে আমরা অতিক্রম করতে পারবো। তিনি বলেন, সমাজতন্ত্র ছাড়া দেশ ও জনগণের মুক্তি নেই।তিনি বলেন সরকারের অপশাসনের বিরুদ্ধে আজ সকল বিরোধী দল ও জনগন রাজপথে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। জনগনের এ ঐক্যই সরকারকে পিছু হঠতে বাধ্য করবে।তিনি বলেন দেশের কোটি কোটি মানুষ আজ অনাহারে।এই মানুষের জন্যই আজ বিপ্লব প্রয়োজন। বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি এ সংগ্রামে নের্তৃত্ব প্রদান করবে এ আশা ব্যক্ত করা যায়।
এর আগে ইঞ্জিনিয়ারর্স ইন্সটিটিউশনের চত্বরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন ডাক্তার জাফরউল্লাহ চৌধুরী ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন সাইফুল হক।
কংগ্রেসের মুক্তিযুদ্ধের শহীদসহ সকল শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে শহীদ বেদিতে শ্রদ্ধা জানানো হয়।শ্রদ্ধা জানান ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (এল-এল) লিবারেশন ও নেপালের কমিউনিস্ট পার্টি (ইউএমএল) ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর কংগ্রেসে আগত বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির কয়েক হাজার নেতা কর্মীদের একটি বর্ণাঢ্য র্যালী রাজপথ প্রদক্ষিণ করে।
বিকালে ইন্সটিটিউট মিলনায়তনে জাতীয় নেতৃবৃন্দের উপস্তিতিতে আলোচনা সভা শুরু হয়েছে।
আগামীকাল থেকে ইন্সটিটিউট এর সেমিনার হলে কংগ্রেসের কার্য অধিবেশন শুরু হবে।