বৃহস্পতিবার ● ৩০ মার্চ ২০২৩
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » চুয়েটে ফেসবুকে বাকবিতন্ডার জেরে মারামারি : আহত -১
চুয়েটে ফেসবুকে বাকবিতন্ডার জেরে মারামারি : আহত -১
আমির হামজা, রাউজান প্রতিনিধি :: চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েট) দ্বিতীয় বর্ষের (২০ ব্যাচ) কিছু শিক্ষার্থীদের দৌরাত্ম্য বেড়েই চলছে। মারামারি, ঝগড়াঝাটি, র্যাগিংসহ আন্তঃহল আধিপত্য বিস্তার প্রভৃতি যেন তাদের নিত্যনৈমিত্তিক কাজ। এ যেন শিক্ষাঙ্গানে এলাকার পাড়ার কিশোর গ্যাং এর উৎপাত! গত সোমবার (২৭ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন ইমাম গাজ্জালী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের সামনে নিজ বিভাগ ও বর্ষের ২ শিক্ষার্থীর হাতে মারধরের শিকার হন বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং (বিএমই) বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ সাগর। এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ দপ্তরে অভিযোগ না করলেও বিভাগীয় প্রধানকে জানিয়েছেন বলে দাবী করেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী। আর অভিযুক্ত ২ শিক্ষার্থী হলেন দীপ পাল ও সিফাত চৌধুরী।
আহত শিক্ষার্থীর ভাষ্যমতে জানা যায়, বিভাগের একটি অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের মেসেঞ্জার গ্রুপে ঝামেলার সৃষ্টি হয়। ঘটনার রেশ ধরে তাকে সহপাঠীরা ইমাম গাজ্জালী কলেজের সামনে ডেকে নেয়। ওখানেই তিনি এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষির শিকার হন বলে জানা যায়। এরপর তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসার জন্য গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। তার ডান চোখের পাশের অংশ ফেটে যায়। বর্তমানে তিনি চোখে ঝাপসা দেখছেন।
এদিকে বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান তোফায়েল আহমেদ জানান, এরকম কোনো অভিযোগ আমার কাছে আসে নি। তবে আমি ফোনে একটি মেসেজ পেয়েছি সেখানে নাম পর্যন্ত উল্লেখ নেই। আর এধরনের ঘটনা ছাত্রকল্যাণ দপ্তরে অভিযোগ করা উচিত।
উল্লেখ্য, আহত মোহাম্মদ সাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু হলের ও অভিযুক্ত ২ জন শহীদ মোহাম্মদ শাহ হলের আবাসিক শিক্ষার্থী। তাই, এ ঘটনা নিয়ে গতকাল (মঙ্গলবার) রাত ১০ টায় দুই হলের শিক্ষার্থীদের মাঝে নতুন করে সংঘর্ষের পরিস্থিতি তৈরি হয়। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ দপ্তরের উপ-পরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট শিক্ষকগণ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ দপ্তরে উপ-পরিচালক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, আহত শিক্ষার্থী আমাদের কাছে কোনো অভিযোগ করেনি। বরং বলেছে যে সে পড়ে গিয়ে এই আঘাত পেয়েছে। অভিযোগ পেলে আমরা ব্যবস্থা নেবো। উক্ত ঘটনা সত্যতা নিশ্চিত করতে একাধিকবার অভিযুক্ত দীপ পাল ও সিফাত চৌধুরীর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তারা ফোন ধরেন নি।