শুক্রবার ● ২৮ এপ্রিল ২০২৩
প্রথম পাতা » এগিয়ে যাও বাংলাদেশ » বর্ণাঢ্য আয়োজনে রাঙামাটিতে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস পালিত
বর্ণাঢ্য আয়োজনে রাঙামাটিতে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস পালিত
স্টাফ রিপোর্টার :: বর্ণাঢ্য আয়োজনে রাঙামাটিতে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস পালিত হয়েছে।
এ উপলক্ষে শুক্রবার ২৮ এপ্রিল রাঙামাটি জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির আয়োজনে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
‘বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণ বিনামূল্যে আইনি সেবার দ্বার উন্মোচন’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির উদ্যোগে রাঙামাটি জেলা জজ আদালত প্রাঙ্গনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপি।
রাঙামাটি সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ এবং লিগ্যাল এইড রাঙামাটির চেয়ারম্যান সহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু হানিফ, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরী, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মীর তাওহীদ হক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সাইফুল ইসলাম, রাঙামাটি পৌরসভা মেয়র মো. আকবর হোসেন চৌধুরী, রাঙামাটি সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শহীদুজ্জামান মহসিন রোমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহ ইমরান, রাঙামাটি জেলা বারের সভাপতি ও পিপি মো. রফিকুল ইসলাম, জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার মো. জুনাইদসহ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটবৃন্দ, লিগ্যাল এইডের প্যানেল আইনজীবীবৃন্দ, লিগ্যাল এইডের সেবা গ্রহীতারা উপস্থিত ছিলেন ।
এসময় বক্তারা বলেন, অসহায়, দুঃস্থ মানুষের আইনি সহায়তা পেতে এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে রাঙামাটি লিগ্যাল এইড। যার মধ্য দিয়ে বিনামূল্যে আইনি সহায়তা পেয়ে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় সহায়ক ভূমিকা রাখছে। আপোষে বিরোধ মীংমাসা করায় আদালতের মামলা জটের চাপ কমছে অন্যদিকে দ্রুত সমস্যার সমাধান হচ্ছে।
রাঙামাটি জেলা লিগ্যাল এইড কমিটি জানায়, জেলায় ১ হাজার ৩৭৮টি আপোষে বিরোধ মীমাংসার আবেদনের মধ্যে ১ হাজার ৩১৬টি মামলা নিষ্পত্তি করা হয়েছে।
আপোষে বিরোধ মীমাংসার মাধ্যমে ১ কোটি ৩৯ লাখ ৩১ হাজার ২৯৪ টাকা আদায় করা হয়েছে।
উল্লেখ্য জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস উপলক্ষে ২০১৬ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা লিগ্যাল এইড কল সেন্টার ‘জাতীয় হেল্পলাইন’-এর উদ্বোধন করেন। এ হেল্পলাইনে ১৬৪৩০ নম্বরে ফোন করে যেকোন ব্যক্তি জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদানকারী সংস্থার মাধ্যমে বিনামূল্যে আইনি সহায়তা পাচ্ছেন। দেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠী, শ্রমিক, সহিংসতার শিকার নারী-শিশু এবং পাচারের শিকার মানুষের জন্য আইনি সেবা নিশ্চিত করতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার জাতীয় আইনগত সহায়তা আইন-২০০০ প্রণয়নের মধ্য দিয়ে সরকারি খরচায় আইনগত সহায়তা কার্যক্রম শুরু করে। পরে এই আইনের অধীনে বিভিন্ন বিধি প্রণীত হয়। বিধিতে কোন কোন ব্যক্তি আইনি সহায়তা পাবেন তা নির্ধারণ করা হয়।