শুক্রবার ● ৯ জুলাই ২০২১
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » সৎ বোনদের মারধর করে বসতঘর দখল চেষ্টার অভিযোগ
সৎ বোনদের মারধর করে বসতঘর দখল চেষ্টার অভিযোগ
নোয়াখালী প্রতিনিধি :: নোয়াখালী সুবর্ণচরে সৎ ভাইদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ একটি পরিবার। তিন বোন, ভাবী ও সৎ মাকে ঘর থেকে জোর পূর্বক বের করে বসতঘর জবর দখলের চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগি মমতাজ বেগম চরজব্বার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। মামলার পর অভিযুক্তরা হুমকি ধমকি প্রদান করছেন বলেও জানান নির্যাতিতরা।
ঘটনাটি ঘটে ৬ জুলাই মঙ্গলবার বেলা ১১ টায়। সুবর্ণচর উপজেলার ৩নং চরক্লার্ক ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের মধ্য কেরামতপুর গ্রামের মৃত মোস্তফা মিয়ার বাড়ীতে।
গতকাল ৮ জুলাই সরজমিনে গেলে ভুক্তভোগি মমতাজ বেগম অভিযোগ করে বলেন, “আমার বাবা মোস্তফা মিয়া মারা যাওয়ার আগে আমাদের থাকার জন্য ঘর ছিলোনা, তখন আমার বাবার অনুরোধে আমার বড় ভাই প্রবাসী নুরনবী আমাদের থাকার জন্য ঘর নির্মান করে দেন। দীর্ঘ বছর ধরে আমরা সেই ঘরে বসবাস করে আসছি। আমার সৎ ৩ ভাই জসিম অলি উদ্দিন ও নিজাম উদ্দিন তারা সবাই ১০/১২ বছর ধরে মাইজদী শহরে থাকে । মৃত্যুকালে তারা কেউ আমার বাবার খোঁজ খবর নেয়নি। মৃত্যুর কয়েক বছর পূর্বে আমার বাবা অসুস্থ্য হলে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় তারা কৌশলে দলীল বানিয়ে আমার বাবার কাছ থেকে টিপসই নিয়ে কিছু জায়গাজমি হাতিয়ে নেয়। আমার বাবার সকল দলীলে তার সাক্ষর আছে কিন্তু তারা যেটা দেখায় সেটাতে টিপসই আমার বাবা মরার আগে সব আমাদেরকে বলে যায়। ১১ মাস আগে আমার বাবা মারা গেলে তারা সবাই মাইজদী থেকে আমার বাবাকে মাটি দিতে আসে।
তখন আমরা মনে করেছিলাম কয়েকদিন থেকে তারা চলে যাবে পরে যখন তারা আমাদের ঘর ছেড়ে চলে যাবার কথা বলে আমার স্থানীয় চেয়ারম্যান আব্লু বাসারকে বিষয়টি অবহিত করি তখন তিনি মানবিক দৃস্টিতে তাদেরকে ৩ মাস থাকার জন্য বলে। তাদেরকে জায়গা দেয়ার পর এখন তারাই আমাদেরকে ঘর থেকে বের করে সকল জায়গাজমি আতœসাৎ করার পায়তারা করছে।
ভুক্তভোগি প্রবাসী নুর নবীর স্ত্রী বলেন, “মঙ্গলবার ১১ টার সময় নিজাম, জসিম, অলি উদ্দিন তারা হঠাৎ করে আমাদের সবাইকে ঘর থেকে বের হয়ে যেতে গালমন্ধ করে আমি প্রতিবাদ করলে তারা আমাকে এলোপাতাড়ি কিলঘুষি মেরে রক্তাক্ত করে এবং আমি বের না হলে আমার দুধের শিশুকে গলা টিপে ধরে আমি বের না হলে আমার শিশুকে হত্যা করবে বলে আমাকে হুমকি দেয় পরে প্রাণভয়ে আমি বাচ্চাকে নিয়ে বাহিরে দাঁড়িয়ে থাকি।
মামলার বাদী মমতাজ বেগম আরো বলেন, ঘরে মাত্র ৩ রুম আমরা ৩ বোন এবং মা থাকি আমার সৎ ভাইয়েরা যখন তখন আমার ভাবির রুমে ডুকে পড়ে, আমার রুমে ডুকে পড়ে যা আমাদের কে বিভ্রান্তকর পরিস্থিতিতে পেলে তারা এসব করে আমাদের এই বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করার চেষ্টা করছে, আমার সৎ ভাই অলি এবং নিজামের জন্য আলাদা বাড়ী আছে তারা সেখানে বাড়ি না করে আমাদের উচ্ছেদ করার পায়তারায় লিপ্ত।
অভিযুক্ত অলি উদ্দিন অভিযোগ অস্বিকার করে বলেন, “আমরা দীর্ঘদিন মাইজদী ছিলাম যেহেতু বাবার ঘর আমাদেরও থাকার ঘর আছে, পাশে আমার বাড়ী আছে ঘর করতে গেলে তারা বাঁধা দেয়।
অভিযুক্ত নিজাম বলেন, “নুরনবীর বৌকে কেউ মারধর করেনি। নুরনবী আমার সৎ ভাই তাদের চক্রান্তে আমরা দীর্ঘদিন বাহিরে ছিলাম, জায়গা জমির বিষয়ে কোর্টে মামলা চলামান সে রায় আমাদের পক্ষে আসার কারনে তারা এসব নাটক সাজাচ্ছে। কোর্টে মামলা চলমান কোর্ট যা রায় দেয় সেটাই আমরা মেনে নিবো।
চরজব্বার থানার এসআই নুরুল ইসলাম বলেন, তাদের দুই পক্ষে জায়গাজমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছে, ঘরে থাকাকে কেন্দ্র করে তাদের ঝামেলা সৃস্টি হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
নোয়াখালীতে চার দিন ধরে আলেম নিখোঁজ! সন্ধান চেয়ে সংবাদ সম্মেলন
নোয়াখালী :: নোয়াখালী থেকে নিখোঁজ আল্লামা মুফতি মাহমুদুল হাসান গুনবীর সন্ধান চেয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে সাংবাদিক সম্মেলন করা হয়েছে।
শুক্রবার (৯ জুলাই) সকালে নোয়াখালী টিভি সাংবাদিক ফোরাম কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলনে অনুষ্ঠিত হয়। নিখোঁজ মুফতি মাহমুদুল হাসান গুনবীর কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার গুনবতী গ্রামের মৃত আবদুল কাদেরের পুত্র।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মুফতি মাহমুদুল হাসান গুনবীর স্বজনরা জানান, গত মঙ্গলবার সকালে তিনি নোয়াখালী সদরের করমুল্যাহ ইউনিয়নের পশ্চিম শুল্লাকিয়া গ্রামে ওস্তাদ ক্বারী ইউছুফের সাথে দেখা করতে আসেন। এ সময় আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্য পরিচয়ে সাদা পোশাকে কয়েকজন লোক তাঁকে তুলে নিয়ে যায়। এর পর থেকে থানাসহ আইন শৃংখলা বাহিনীর বিভিন্ন দপ্তরে গিয়েও কোন সন্ধান পাচ্ছেনা স্বজনরা। থানায় সাধারণ ডায়রী করতে গেলেও পুলিশ তা গ্রহন করেনি বলে অভিযোগ স্বজনদের। মুফতি মাহমুদুল হাসানের স্ত্রী ও তিন সন্তান রয়েছে। মুফতি মাহমুদুল হাসানকে উদ্ধার করে স্বজনদের সাথে ফিরিয়ে দিতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছে।
নোয়াখালীতে সেনা সদস্যদের ত্রাণ বিতরণ
নোয়াখালী :: নোয়াখালীতে দুস্থ জনসাধারণের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেছেন ১৬ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারির সেনাসদস্যরা।
শুক্রবার (৯ জুলাই) সকালে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এ ত্রাণ বিতরণ করা হয়।
এ বিষয়ে কুমিল্লা সেনানিবাসের ১৬ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারি ক্যাপ্টেন শাখাওয়াত বলেন, দেশ ও জনগণের সেবায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সর্বত্র নিয়োজিত। দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে সেনা সদরের নির্দেশনায় বেসামরিক প্রশাসনকে সাহায্য করতে সেনাবাহিনী দেশের সর্বত্র কাজ করছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ১৬ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারির দায়িত্বপূর্ণ এলাকা নোয়াখালীর দুস্থ মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করছে আমাদের সেনাসদস্যরা। একই সাথে আমরা আমাদের দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে পালন করে যাবো।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, প্রশাসনের পাশাপাশি করোনা মোকাবিলায় সেনাবাহিনী অগ্রণী ভূমিকা পালনে তারা সন্তুষ্ট। শুধু তাই নয়,দেশের যেকোনো দূর্যোগ মোকাবিলায় সেনাবাহিনী সামনে থেকে কাজ করে বলেও মন্তব্য করেন।
উল্লেখ্য, নোয়াখালীতে গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে আরও ১৪২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এতে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১২ দশমিক ৭ শতাংশ।জেলায় মোট করোনায় শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার ৩০৩ জন। মোট আক্রান্তের হার ১২ দশমিক ৭ শতাংশ। গত ২৪ ঘন্টায় জেলায় করোনায় ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই নিয়ে জেলাতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫১ জনে।