শুক্রবার ● ১২ মে ২০২৩
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » বিশ্বনাথে প্রবাসীর কুকুরের উৎপাতে অতিষ্ঠ গ্রামবাসী
বিশ্বনাথে প্রবাসীর কুকুরের উৎপাতে অতিষ্ঠ গ্রামবাসী
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: সিলেটের বিশ্বনাথে হাসের খামারের নামে পরিচালিত বিদেশেী কুকুরের খামারের কুকুরের উৎপাতে অতিষ্ঠ হয়ে উয়েছেন উপজেলার পুরান সিরাজপুর গ্রামবাসী। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়ে এলাকাবাসীর পক্ষ হতে বুধবার (১০ মে) উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত আবেদন করা হয়েছে। এলাকাবাসীর পক্ষে পুরান সিরাজপুর গ্রামের মৃত মনোহর আলীর পুত্র সেলিম আহমদের স্বাক্ষরিত এবং এলাকার আরও শতাধিক লোকের স্বাক্ষর সংযুক্ত ওই আবেদনে অভিযোগ করা হয়, পুরান সিরাজপুর গ্রামের মৃত সিকন্দর আলীর পুত্র যুক্তরাজ্য প্রবাসী রফিক মিয়ার হাঁসের খামার নামধারী একটি বিদেশী শিকারী কুকুরের খামার রয়েছে। আর ওই খামারের কেয়ারটেকারের দায়িত্বে রয়েছেন একই গ্রামের মৃত তবারক আলীর পুত্র তেরাব আলী। ওই খামারে দেশী-বিদেশী প্রজাতির ও হিংস্র প্রকৃতির ৪-৫টি কুকুর পালন করা হয়। এসব কুকুর প্রতিদিন দুপুরে ছেড়ে দেন কেয়ারটেকারের দায়িত্বে থাকা তেরাব আলী। তখন কুকুরগুলো মানুষের হাঁস-মুরগি ও গরু-ছাগল কামড়িয়ে ফেলে। কুকুরের কামরে ইতিমধ্যে গ্রামের মানুষের অনেক হাঁস, মুরগি, গরু ও ছাগল মারা গেছে। এতে অতিষ্ঠ হয়ে হাঁস, মুরগি, গরু ও ছাগল পালন বন্ধ করে দিয়েছেন গ্রামের অনেক মানুষ। ওই খামারের পার্শ্ববর্তী দাখিল মাদ্রাসা ও স্কুলে ছাত্র-ছাত্রীরা যাওয়া আসার সময় এবং গ্রামের লোকজন যাতায়াতের সময় কুকুরগুলো তাদেরকে তাড়া করে। এমতাবস্থায় গ্রামের মানুষ আতংকিত। এ বিষয়ে গ্রামবাসী শালিস বৈঠকের উদ্যোগ নিয়ে তা প্রত্যাখান করে গ্রামবাসীকে হুমকি দেন খামারের মালিক যুক্তরাজ্য প্রবাসী রফিক মিয়া ও কেয়ারটেকার তেরাব আলী। এমকি গ্রাম পঞ্চায়েতের লোকজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে হয়রানীমূলক মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়। পালিত হিস্র কুকুরের আক্রমণ থেকে গ্রামবাসীকে রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করতে আবেদন জানানো হয়। এ বিষয়ে কথা হলে অভিযুক্ত তেরাব আলী বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
সঠিক উন্নয়ন বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয় : মেয়র মুহিব
বিশ্বনাথ :: সিলেটের বিশ্বনাথ পৌরসভার মেয়র মুহিবুর রহমান বলেছেন, সত্যকে গোপন করে, মিথ্যাকে প্রতিষ্ঠিত করা যায় না। সত্য এক সময় না, এক সময় প্রতিষ্ঠিত হবেই। তাই গরীব-অসহায়দের সাহায্য করার মনমানসিকতা না থাকলে ও সততা ছাড়া কখনও সঠিক উন্নয়ন বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়। জনসাধারণের কাঙ্খিত উন্নয়ন বাস্তবায়ন করতে হলে হিংস্বা-বিদ্বেষ ত্যাগ করে কাজ করতে হয় জনপ্রতিনিধিদের। সর্বমহলের সার্বিক সহযোগীতায় দ্রুত বিশ্বনাথ পৌরসভাকে একটি ‘মডেল পৌরসভা’য় রূপান্তরিত করা সম্ভব হবে। তিনি আরোও বলেন, ২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফজর আলীকে আমি আমার সন্তানের মতোই দেখি, আর তার মাধ্যমেই ২নং ওয়ার্ডের কাঙ্খিত সকল উন্নয়ন বাস্তবায়িত হবে। তিনি বৃহস্পতিবার (১১ মে) রাতে সিলেটের বিশ্বনাথ পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের রাজনগর-মোল্লারগাঁও গ্রামবাসীর উদ্যোগে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত ও প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথাগুলো বলেন। অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত ও বিশেষ অতিথির বক্তব্যে উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জুলিয়া বেগম বলেন, আপনারা আমাকে বিপুল পরিমাণ ভোট দিয়ে নির্বাচিত করে ছিলেন, কিন্তু উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমাকে কোন বরাদ্ধ না দেওয়ার কারণে আমি কোন উন্নয়ন করতে পারিনি। সংবর্ধিত ও বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফজর আলী বলেন, বিশ্বনাথ ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার থাকাকালীন সময়ে আমি এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন করেছি। তারপরও কিছু লোক মিথ্যায় আশ্রয় নিয়ে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচারে ব্যস্থ ছিলেন, আছেন। এর বিচার আমি ওয়ার্ডবাসীর কাছে দিলাম। এলাকার মুরব্বী যুক্তরাজ্য প্রবাসী হাজী আরকুম আলীর সভাপতিত্বে ও উপজেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি সালমান রাব্বানীর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আব্দুল মতিন, সংগঠক মারুফ হোসেন মারুফ। বক্তব্য রাখেন গ্রামের মুরব্বী মঞ্জুর আলী, আলী হোসেন ইংরেজ। সভার শুরুতে কোরআন তেলাওয়াত করেন জাকির হোসেন ও স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রবাসী আশিকুর রহমান। আলোচনা সভা শেষে সংবর্ধিত অতিথিদেরকে রাজনগর-মোল্লারগাঁও গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়। এসময় অনুষ্ঠানে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।