বৃহস্পতিবার ● ১৩ জুলাই ২০২৩
প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » সরকার পতনের এক দফা দাবি জানিয়ে পদযাত্রা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে গণতন্ত্র মঞ্চ
সরকার পতনের এক দফা দাবি জানিয়ে পদযাত্রা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে গণতন্ত্র মঞ্চ
ঢাকা :: সরকার পতনের এক দফা দাবি জানিয়ে পদযাত্রা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে গণতন্ত্র মঞ্চ। বুধবার ১২ জুলাই জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক। তিনি সংবিধান ও রাষ্ট্র ব্যবস্থা গণতান্ত্রিক সংস্কারের মাধ্যমে জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তি, ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য ৩১ দফা রূপরেখা ঘোষণা করেন।
বিএনপির সঙ্গে সমন্বিতভাবে একদফা দাবি ও কর্মসূচি দিয়েছে গণতন্ত্র মঞ্চ।
‘যুগপৎ ধারায় বৃহত্তর গণআন্দোলনের এক দফার যৌথ ঘোষণা’য় বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশের জনগণের ভোটাধিকার হরণকারী বর্তমান ফ্যাসিবাদী, কর্তৃত্ববাদী অবৈধ সরকারের পদত্যাগ ও বিদ্যমান অবৈধ সংসদের বিলুপ্তি, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠন ও নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করে তার অধীনে অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের ব্যবস্থা, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ সব রাজবন্দির মুক্তি, মিথ্যা-গায়েবি মামলা প্রত্যাহার, ফরমায়েসি সাজা বাতিল এবং সংবিধান ও রাষ্ট্রব্যবস্থার গণতান্ত্রিক সংস্কারের মাধ্যমে জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তি, ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার এক দফা দাবিতে রাজপথে সক্রিয় বিরোধী রাজনৈতিক জোট ও দলগুলোর যুগপৎ ধারায় ঐক্যবদ্ধ বৃহত্তর গণআন্দোলন গড় তোলা ও সফল করার ঘোষণা প্রদান করছে।’
প্রাথমিক কর্মসূচি উল্লেখ করে সাইফুল হক জানান, এক দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আগামী ১৮ জুলাই মঙ্গলবার, ঢাকা মহানগরীসহ সারা দেশে মহানগরী ও জেলা পর্যায়ে পদযাত্রা। ঢাকা মহানগরীতে সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত গাবতলী থেকে যাত্রাবাড়ী পর্যন্ত এবং ১৯ জুলাই বুধবার, ঢাকা মহানগরীতে সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা উত্তরার আব্দুল্লাহপুর থেকে পুরান ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্ক পর্যন্ত পদযাত্রা।
গণতন্ত্র মঞ্চের ৩১ দফা রূপরেখার উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- সংবিধানের এককেন্দ্রিক অগণতান্ত্রিক ক্ষমতা কাঠামো এবং অগণতান্ত্রিক ও বিতর্কিত সাংবিধানিক সংশোধনী এনেছে, সেসব সাংবিধানিক সংশোধনী ও পরিবর্তনগুলো পর্যালোচনা করে রহিত/সংশোধন এবং অন্যান্য অত্যাবশ্যকীয় সাংবিধানিক সংস্কার করা হবে, সংবিধানে গণভোট ব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তন, মতবিনিময় ও পারস্পরিক বোঝাপড়ার ভিত্তিতে জাতীয় সমঝোতা প্রতিষ্ঠা করা হবে, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ অন্তর্বর্তী সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন, রাষ্ট্রপতি, সরকারের প্রধানমন্ত্রী এবং মন্ত্রিসভার নির্বাহী ক্ষমতায় ভারসাম্য, পরপর দুই টার্মের অতিরিক্ত কেউ প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করতে না পারা, দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট সংসদীয় ব্যবস্থার প্রবর্তন, আস্থাভোট ও অর্থবিলের বিষয় ব্যতীত অন্যসব বিষয়ে সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংস্কার, নির্বাচন কমিশন ও দুর্নীতি দমন কমিশনের মতো সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের নিয়োগের জন্য সাংবিধানিক কমিশনের আইন প্রণয়ন, ইভিএম নয় সব কেন্দ্রে পেপার-ব্যালট, বিচার বিভাগের কার্যকর স্বাধীনতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নিম্ন আদালতকে সরকারের হস্তক্ষেপমুক্ত করে উচ্চ আদালতের অধীনস্ত করা, প্রশাসনিক সংস্কার কমিশন গঠন, মিডিয়া কমিশন গঠন, সংবিধান অনুযায়ী ন্যায়পাল নিয়োগ, গুম-খুনের বিচার নিশ্চিত, প্রবৃদ্ধির সুফল সুষম বণ্টানের মাধ্যমে ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য দূরীকরণ, ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের ঘরবাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, উপাসনালয় ভাঙচুর ও তাদের সম্পত্তি দখলের জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম রব, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম।