শিরোনাম:
●   যুব সমাজের জলোৎসব অনুষ্ঠান প্রত্যাখানের মধ্যদিয়ে রাঙামাটিতে মারমা সম্প্রদায়ের জলকেলি উৎসব ●   কাপ্তাই ৪১বিজিবি’র ২৯ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন ●   ইউপিডিএফ এর বিরুদ্ধে রবি আজিয়াটা কোম্পনির ২ টেকনিশিয়ানকে অপহরণ অভিযোগ ●   ঝটিকা মিছিল করে পতিত ফ্যাসিবাদী শক্তির রাজনীতিতে পুনর্বাসনের সুযোগ নেই ●   পার্বতীপুরে আওয়ামী লীগের চার নেতা সহ ১৩ জন আটক ●   কাউখালীতে মারমা তরুণী ধর্ষণের ঘটনায় থানায় মামলা ●   বাঘাইছড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অক্সিজেনের অভাবে শিশু মৃত্যু ●   অন্তর্বতীকালিন সরকারের নির্দিষ্ট কোন রাজনৈতিক এজেন্ডা থাকার কথা নয় : জুঁই চাকমা ●   অবিলম্বে গাজায় ইসরায়েলী গণহত্যা বন্ধ করতে হবে : গণতন্ত্র মঞ্চ ●   পরীক্ষায় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে ঈশ্বরগঞ্জে কেন্দ্র সচিবসহ ৪ জনকে বরখাস্ত ●   ফটিকছড়িতে হালদা নদীতে পরে যুবকের মৃত্যু ●   কাল ১৮এপ্রিল রাঙামাটিতে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সংবাদ সম্মেলন ●   শিক্ষা উপবৃত্তি রেজিস্ট্রেশনের সময় বাড়ালো রাঙামাটি জেলা পরিষদ ●   অস্ত্রের মুখে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ শিক্ষার্থীসহ ড্রাইভারকে অপহরণের ঘটনায় পিসিপির নিন্দা ●   কাপ্তাইয়ে সুইডেন শিক্ষার্থীদের ব্লকেড কর্মসূচি ●   সমাজের মাদকের আগ্রাসন ভয়াবহতা রূপ পেয়েছে : কাপ্তাই ইউএনও ●   রাজস্থলীতে মারমা সম্প্রদায়ের জলকেলি উৎসব পালিত ●   ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস এবং ঐতিহাসিক মহান মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে স্মৃতিচারণ ●   মধ্যপাড়া কঠিনশীলা খনিতে দূর্ঘটনায় শ্রমিকের মৃত্যু ●   রাউজানে ২ মাদক ব্যবসায়ী ও ছিনতাইকারী গ্রেপ্তার
ঢাকা, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২

Daily Sonar Bangla
রবিবার ● ১১ জুলাই ২০২১
প্রথম পাতা » এগিয়ে যাও বাংলাদেশ » সাদিয়া কোভিড-১৯ স্প্রে আবিস্কার করে বিশ্বজুড়ে সাড়া
প্রথম পাতা » এগিয়ে যাও বাংলাদেশ » সাদিয়া কোভিড-১৯ স্প্রে আবিস্কার করে বিশ্বজুড়ে সাড়া
৩৭০ বার পঠিত
রবিবার ● ১১ জুলাই ২০২১
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

সাদিয়া কোভিড-১৯ স্প্রে আবিস্কার করে বিশ্বজুড়ে সাড়া

ছবি : সংবাদ সংক্রান্তবিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: যুক্তরাজ্যের চেস্টারে বসবাসকারী সিলেটের বিশ্বনাথের মেয়ে সাদিয়া খানম যুক্তরাজ্যে ‘ভলটিক’ নামক একটি কোভিড-১৯ নিরোধক স্প্রে আবিস্কার করে বিশ্বব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন। সাদিয়া বিশ্বনাথ উপজেলার মোহাম্মদপুর গ্রামের কবির আহমদ ও ফরিদা আহমদ দম্পতির কন্যা। কবির আহমদ যুক্তরাজ্যের একজন রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ী। ‘ভলটিক স্প্রে’ আবিস্কার করা সাদিয়া নিজের কাজের পাশাপাশি বাবার রেস্টুরেন্ট ‘ক্যাফে ইন্ডিয়াতে’ও কাজ করেন।
জানা গেছে, ‘ভলটিক’ স্প্রে যেকোনো স্থানে ব্যবহারের সাথে সাথে সবধরনের প্যাথোজন (ভাইরাস, ভ্যাক্টেরিয়া, ফাঙ্গি) টেনে এনে মেরে ফেলতে সক্ষম। ‘ভলটিক’ স্প্রে কোনো স্থানে একবার ব্যবহার করলে ১৫দিন পর্যন্ত ওই জায়গায় সম্পুর্ণরুপে কোভিডমুক্ত থাকে।
যুক্তরাজ্যের হাসপাতালগুলো বলেছে, ভাইরাস নিরোধে এই স্প্রে শতভাগ কার্যকর। তাছাড়া এই স্প্রে ব্যবহার করে হাসপাতালগুলোর প্রায় ৭০ পার্সেন্ট পরিচ্ছন্নতা খরচ কমিয়ে আনা সম্ভব।
২৫ বছর বয়েসি সাদিয়ার ‘ভলটিক’ স্প্রে আবিস্কারের সাথে সাথে ইতোমধ্যে তিনি ১০ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি মূল্যের অর্ডার পেয়েছেন। এনএইচএস যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতাল ও কেয়ার হোমে পরীক্ষামূলকভাবে এই স্প্রে ব্যবহার করে সফল হয়েছে। নাসার ল্যাবে এই স্প্রে ব্যবহার হচ্ছে। ইতোমধ্যে সাদিয়া এই ‘ভলটিক’ স্প্রে বিশ্বের ১৩টি দেশ অর্ডার করেছে। মেডিকেল যন্ত্রপাতি, হোটেল, মোটেল, রেস্টুরেন্ট, এয়ারলাইন্স ইন্ডাষ্ট্রি, আর্ম ফোর্সেস, নিউক্লিয়ার স্টেশনে ব্যবহার করা যায়।
সারাবিশ্ব কোভিড-১৯ এ জর্জরিত তাই তিনি রেস্টুরেন্টে কাজের পাশাপাশি কোভিড নিরোধক কিছু আবিষ্কার করতে গবেষণা শুরু করেন। রেস্টুরেন্টকে তিনি কেস স্টাডি হিসেবে ব্যবহার করেন। প্রায় ১৪ মাসের গবেষণার পর একসময় সাফল্য ধরা দেয়। তিনি আবিস্কার করে ফেলেন বিশেষ স্প্রে ‘ভলটিক’।
সাদিয়া খানম তার এক প্রতিক্রিয়ায় সাংবাদিকদের বলেন, তিনি অত্যন্ত আনন্দিত যে তাঁর এই স্প্রে বিশ্বজুড়ে ব্যবহার হবে। শুধু অর্থ উপার্জনই বড় কথা নয়। এটা মানুষকে কোভিড-১৯ মুক্ত জীবনযাপন করতে সাহায্য করবে। স্প্রে থেকে প্রাপ্ত অর্থ দিয়ে তিনি আলজাইমার রোগের ওপর অধিকতর গবেষণা করবেন এবং বিশ্বকে এই রোগের প্রতিষেধক দিতে পারবেন বলে আশাবাদী।
সাদিয়া খানমের পরিবার যুক্তরাজ্যের চেস্টারে বসবাস করেন। তিন ভাই-বোনের মধ্যে তিনি সবার বড়। বাবা কবির আহমদ রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ী। মা ফরিদা আহমদ গৃহিনী। তাঁর দাদা আজমত আলী যুক্তরাজ্যে আসেন ১৯৬৪ সালে। সাদিয়ার বয়স যখন ১৪ বছর তখন তাঁর দাদা আলজাইমার রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েন। তখন তিনি সংকল্প করেন বড় হয়ে বিজ্ঞানী হবেন এবং আলজাইমার রোগের প্রতিষেধক আবিষ্কার করবেন। ছোটকাল থেকেই তিনি বিজ্ঞানের প্রতি ঝোঁকে পড়েন। কিন্তু তাঁর বাবা প্রথমে তাঁকে স্থানীয় বাকবার্ণ মাদ্রাসায় ভর্তি করে দেন। তিনি চেয়েছিলেন মেয়ের শিক্ষাজীবন ধর্মীয় শিক্ষার মধ্য দিয়ে শুরু হোক। বাকবার্ণ মাদ্রাসা থেকে তিনি কৃতিত্বের সাথে আলিমা কোর্সসহ জিসিএসই পাশ করেন। এরপর মানচেষ্টারের হলিক্রস সিক্সথ ফর্ম কলেজ থেকে জিসিএসই, মানচেস্টার ইউনিভার্সিটি থেকে বায়ো-মেডিকেলে গ্রাজুয়েশন শেষ করে চেস্টার ইউনিভার্সিটি থেকে জেনেটিক্সে মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি আলজাইমার ও নিউরোডিজেনারেশন নিয়ে গবেষণা শুরু করেন। সাদিয়া খানমের ছোট বোন জামিলা আহমদ কমার্শিয়াল ল’ নিয়ে পড়ছেন। ছোট ভাই হামজা আহমদের বয়স ৩। সাদিয়া সিলেটের দক্ষিণ সুরমার সিলামের শেখপাড়ার মৌলভী বাড়ির মরহুম আউয়ালের নাতনী।
এ বিষয়ে সাদিয়ার বাবা কবির আহমদ বলেন, আমরা আল্লাহ তায়ালার প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। তিনিই সবকে সব জিনিস দেন না। আমার মেয়েকে এই স্প্রে আবিস্কারের জ্ঞান দিয়েছেন নিশ্চয় একটি কারণে। মেয়ের এই আবিস্কারের মাধ্যমে আমার মেয়ে বিশ্বের মানুষকে সাহায্য করতে পারবে-এর চেয়ে আনন্দের আর কিছু নেই। তিনি আরো বলেন, তাঁর মেয়ে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন। ধর্মীয় অনুশাসনের মধ্য দিয়ে জীবনযাপন করেন। তিনিও ১৩ বছর যাবত অ্যালকোহলমুক্ত রেস্টুরেন্ট ব্যবসা পরিচালনা করেন।





আর্কাইভ