সোমবার ● ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
প্রথম পাতা » এগিয়ে যাও বাংলাদেশ » স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ইয়ুথ এর ৮ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ইয়ুথ এর ৮ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন
রাঙামাটি :: “হাত খরচের টাকা বাঁচিয়ে, সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের স্বপ্ন পূরণ করি” স্লোগানে ২০১৬ সালে পার্বত্য রাঙামাটিতে যাত্রা শুরু করা তরুণদের স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন ইয়ুথ অর্গানাইজেশন ফর ইউনিটি ট্রাস্ট অ্যান্ড হেল্প (ইয়ুথ)-এর ৮ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে পালন করা হয়েছে।
দিনটি ঘিরে সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগীতা ও কেক কাটা ছাড়াও অনুষ্ঠিত হয় প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর বিশেষ আলোচনা সভা।
হাত খরচের টাকা বাঁচিয়ে সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের স্বপ্ন পুরণ করি’ এই শ্লোগানে দরিদ্র শিশুদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণের কর্মসূচি হাতে নিয়ে ২০১৬ সালে যাত্রা শুরু করে সংগঠনটি। কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় ও স্কুল পর্যায়ের কিছু ত্যাগী তরুণ এই অসীম সাহসি পদক্ষেপ নিয়ে প্রাথমিকভাবে ২১জন শিশুকে নিয়মিত শিক্ষা উপকরণ দিতে থাকে। পর্যায়ক্রমে সংখ্যা বাড়ি শিশু সংখ্যা ৬৫জনে বর্ধিত করে নিয়মিত তাদের শিক্ষা উপকরণ দিয়ে যাচ্ছে তারা।
প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর কর্মসূচির মধ্যে শনিবার সকালে রাঙামাটি শিশু একাডেমি মিলনায়তনে ২শতাধিক শিশুদের অংশগ্রহণে চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রতিযোগিতার পর আলোচনা সভা, পুরস্কার ও শিক্ষা উপকরণ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন- রাঙামাটি পৌরসভার মেয়র মো. আকবর হোসেন চৌধুরী।
বিশেষ অতিথি হিসেবে- রাঙামাটি প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার আল হক, ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও সাবেক প্যানেল মেয়র মো. জামাল উদ্দিন, দৈনিক রাঙামাটি পত্রিকার ব্যবস্থাপনা সম্পাদক সুফিয়া কামাল ঝিমি, বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলা রাঙামাটি জেলার সভাপতি মনসুর আহম্মেদ মান্না উপস্থিত ছিলেন।
ইয়ুথ এর প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক মো. ইকবাল হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সভাপতি ম্যারিলিন এনি মারমা।
এসময় বক্তারা বলেন, বিশ্ব সভ্যতা আজ যে পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে তা শিক্ষা এবং তরুণদের ত্যাগের কারণেই সম্ভব হয়েছে। বক্তারা বলেন, আমাদের দেশ অর্ননীতিতে দুর্বল হওয়া সহ সামাজিক নানা প্রতিবন্ধকতার কারণে এখনও বিপুল সংখ্যক শিশু শিক্ষার বাইরে থাকছে। অথচ উন্নত জাতি গড়তে দেশের সকল শিশুকে শিক্ষার আওতায় নিয়ে আসার কোনো বিকল্প নেই।
দরিদ্র পিড়ীত অভিভাবকরা যাতে অর্থাভাবে তার শিশুটির পড়ালেখা বন্ধ করে না দেয়, সে বিষয়ে সকল সচেতন মানুষকে আন্তরিক হতে হবে। ইয়ুথ এই কাজটি করে জাতির এগিয়ে চলার গতিকে বেগবান করছে। এই সংগঠনের পৃষ্ঠপোষকতায় সকল পর্যায়ের বিদগ্ধ ব্যক্তিদের এগিয়ে আসা উচিৎ; এই প্রক্রিয়াতেই আমরা একটি আলোকিত জাতি গড়ে তুলতে সক্ষম হবো।
আলোচনা সভার পর ইয়ুথ এর ৮ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেক কাটেন অতিথিরা।
পরে চিত্রাংকন প্রতিযোগিতার বিজয়ীরাসহ অংশ নেওয়া প্রতিযোগিদের মাঝে পুরস্কার ও ৬৫জন সুবিধাবঞ্চিত শিশুকে মাঝে শিক্ষা উপকরণ প্রদান করা হয়।